সিলেটের ভোলাগঞ্জ থেকে অবৈধভাবে পাথর উত্তোলনের ঘটনায় তদন্তে নেমেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। সিলেট সমন্বিত জেলা কার্যালয় দুদকের উপপরিচালক নাজমুস সাদাত রাফির নেতৃত্বে একটি বিশেষ দল অভিযান চালাচ্ছে।
বুধবার (১৩ আগস্ট) দুদকের জনসংযোগ বিভাগের উপপরিচালক মো. আকতারুল ইসলাম জানান, স্থানীয় প্রশাসনের সঙ্গে অসাধু ব্যক্তিদের যোগসাজশে কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার সাদাপাথর এলাকায় অবৈধভাবে পাথর উত্তোলনের মাধ্যমে রাষ্ট্রীয় সম্পদ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। অভিযান শেষে এ বিষয়ে বিস্তারিত জানানো হবে।
সাদা পাথরের প্রাকৃতিক সৌন্দর্য ও পর্যটন গুরুত্বের কারণে ভোলাগঞ্জ স্পটটি গেল কয়েক বছরে পর্যটকদের আকর্ষণের কেন্দ্র হয়ে উঠেছিল। নদীর উৎসমুখে পাহাড়ি ঢলের তেড়ে ভেসে আসা পাথরের বিশাল স্তূপ প্রাকৃতিক দৃশ্যকে মনোমুগ্ধকর করে তুলত। কিন্তু গেল এক বছরে অবাধ পাথর লুটের কারণে মনোরম এই এলাকা এখন ধ্বংসপ্রায়।
সরেজমিনে দেখা যায়, সাদা পাথরের ৭৫ শতাংশ ইতোমধ্যে গায়েব হয়ে গেছে। একসময় পর্যটকদের জন্য আকর্ষণের কেন্দ্রস্থল হিসেবে পরিচিত এই জায়গা এখন প্রায় শূন্য।
এর আগে, বিভিন্ন গণমাধ্যমে সাদা পাথর এলাকা থেকে পাথর লুটের খবর প্রকাশিত হলে তা দেশের বিভিন্ন মহলে প্রতিবাদ সৃষ্টি করেছিল। স্থানীয় ও জাতীয় পর্যায়ের নাগরিকেরা প্রাকৃতিক সৌন্দর্য ধ্বংসের ঘটনায় উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন।
দেখা যায়, ভোলাগঞ্জের সাদা পাথরের ৭৫ শতাংশই গায়েব। আছে মাত্র ২৫ শতাংশ। একসময় প্রচুর পরিমাণে সাদা পাথর দেখা যেত বলে জায়গাটার নামই হয়ে যায় ‘সাদা পাথর’। কিন্তু বর্তমানে পর্যটন কেন্দ্রটি অস্তিত্ব সংকটে।