বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, “রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে পারস্পরিক একটা বোঝাপড়া থাকতে হবে, এই বোঝাপড়া না থাকলে এই যে আমরা কাদা ছোড়াছুড়ি করছি, গণতন্ত্রে কাদা ছোড়াছুড়ি হবে, অনেক কথা আসবে, কিন্তু এর একটা সীমা থাকা দরকার। তা না হলে যেটা হয়, একটা তিক্ততা সৃষ্টি হয়, যে তিক্ততা ভবিষ্যতে গিয়ে রাজনীতিকে আরও কুলষিত করে।”
বৃহস্পতিবার (৩১ জুলাই) জাতীয় প্রেস ক্লাবে জুলাই-আগস্ট অভ্যুত্থানের বর্ষপূর্তি উপলক্ষ্যে আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
ফখরুল বলেন, ‘আমাদের কাছে এসে ভিড় করছে লোকজন, যে আমাদের সমস্যা হচ্ছে। আগে তো এমপি ছিল, মেয়র ছিল, তাঁরা কথা বলতে পারত, এখন কিন্তু তারা কথা বলতে পারছে না। এই যে বিষয়টা, এটা সবাইকে অনুধাবন করতে হবে।’
সংস্কার নিয়ে তিনি বলেন, “আমার বিশ্বাস যে, এত সমস্যার পরেও ১২টা মৌলিক বিষয়ে ঐকমত্য এসছে, বাকিগুলোতে ঐকমত্যে যাওয়ার চেষ্টা হচ্ছে। প্রতিদিন বৈঠক হচ্ছে কয়েক ঘন্টা ধরে…অনেকগুলো বিষয় আছে যেগুলো আমরাও ঠিক বুঝি না যে তারা যেগুলো করতে চান।
তিনি আরও বলেন, “আমার মনে হয়, এগুলোকে বাদ দিয়ে যে মৌলিক বিষয়গুলো আছে সেই বিষয়গুলোর সমাধান করে অতিদ্রুত, নির্বাচনের যেটা মোটামুটি ধারণা পাওয়া গেছে লন্ডনে তারেক রহমান সাহেব এবং আমাদের অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টার বৈঠকের মধ্য দিয়ে, যে ফেব্রুয়ারির মাঝামাঝিতে নির্বাচনটা হবে…আমার মনে হয় সেটা হলেই বোধহয় অনেক সমস্যা, অনেক দ্বিধা কাটিয়ে আমরা একটা জায়গায় পৌঁছাতে পারব।”
গত বছর অভ্যুত্থানের পর পল্টনে বিএনপির সভা থেকে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর তিন মাসের মধ্যে নির্বাচন আয়োজনের দাবি জানিয়েছিলেন। সেই প্রসঙ্গ টেনে তিনি বলেন, ‘তখন আমার খুব সমালোচনা হয়েছিল। আপনারা বলেছিলেন যে বিএনপি ও মির্জা ফখরুল ক্ষমতায় যাওয়ার জন্য এত অস্থির হয়ে গিয়েছে কেন? এখন আপনারাই বলছেন যে ব্যাপারটা ক্ষমতায় যাওয়ার জন্য নয়, যার শক্তি, যার ক্ষমতা, যার মালিকানা, তার হাতেই ক্ষমতা ফিরিয়ে দিতে হবে।’
প্রসঙ্গত, আলোচনা সভায় আওয়ামী লীগ সরকারের সময়ে নির্যাতিত পাঁচ সম্পাদককে বিশেষ অবদানের জন্য সম্মাননা দেওয়া হয়। তাঁদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন আমার দেশ পত্রিকার সম্পাদক মাহমুদুর রহমান ও মানবজমিন পত্রিকার সম্পাদক মতিউর রহমান চৌধুরী। তবে দৈনিক যায়যায়দিনের সম্পাদক শফিক রেহমান, নিউ এজ সম্পাদক নুরুল কবির ও দৈনিক সংগ্রামের সম্পাদক আবুল আসাদ উপস্থিত ছিলেন না।
আই/এ