চাঁপাইনবাবগঞ্জের এক বাসচালককে মারধরের জেরে রাজশাহী-চাঁপাইনবাবগঞ্জ রুটে বাস চলাচল বন্ধ রাখা হয়েছে। এতে চরম ভোগান্তিতে পড়েছেন এ রুটের যাত্রীরা।
রোববার (২৭ জুলাই) সকাল থেকে এ রুটে বাস চলাচল বন্ধ করে দেয়া হয়। বিকেল পর্যন্ত বিষয়টি অমিমাংশিত থাকায় বাস চলাচল করতে দেখা যায়নি। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন রাজশাহী সড়ক পরিবহন গ্রুপের সাধারণ সম্পাদক নজরুল ইসলাম হেলাল।
জানা যায়, গত শনিবার (২৬ জুলাই) চাঁপাইনবাবগঞ্জের এক বাস চালকের সাথে রাজশাহীর চালক ও শ্রমিকদের বাগবিতণ্ডা হয়। একপর্যায়ে চাঁপাইনবাবগঞ্জের এক চালককে মারধর করে রাজশাহীর চালকরা। ঘটনার পর চাঁপাইনবাবগঞ্জে রাজশাহীর একটি বাস ভাংচুর করেন বাস চালকরা। এতে পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে উঠে।
এর প্রেক্ষিতে রোববার সকাল থেকে এ দুই জেলার মধ্যে বাস চলাচল বন্ধ করা হয়। তবে কিছু কিছু বাস চালকরা বলছেন, রাজশাহী নগরী থেকে গোদাগাড়ীর বালিয়াঘাটা মোড় পর্যন্ত বাস চলাচল করছে। চাঁপাইনবাবগঞ্জ থেকে কোনো বাস ছাড়ছে না বা যাচ্ছে না।
এদিকে, বাস চালকদের মধ্যে দ্বন্দ্বের কারণে হঠাৎ করেই এ রুটে বাস চলাচল বন্ধ করে দেয়ায় সাধারণ যাত্রীরা চরম দুর্ভোগে পড়েছেন। চাঁপাইনবাবগঞ্জের যাত্রীরা অতিরিক্ত ভাড়া দিয়ে রাজশাহী আসছেন আবার রাজশাহীর যাত্রীর যাত্রীরাও অতিরিক্ত ভাড়া দিয়ে চাঁপাই যাচ্ছেন। এতে সময় ও অর্থ দুটোই ব্যয় হলেও যাত্রীরা নির্দিষ্ঠ সময়ে গন্তব্যে পৌঁছাতে পারছেন না।
এ রুটের যাত্রী আব্দুল্লাহ জানান, রাজশাহী থেকে যে বাস যাচ্ছে সেটি গোদাগাড়ীর পর আর যাচ্ছে না। সেখান থেকে অতিরিক্ত ভাড়া দিয়ে যাত্রীদের চাঁপাইনবাবগঞ্জ যেতে হচ্ছে। যাত্রীরা বলছেন, তাদের জিম্মি করে চালকদের এমন কর্মকাণ্ড মেনে নেয়ার মত নয়। তাদের নিজেদের মধ্যে সমস্যা নিজেরা সমাধান করে নিবে। কিন্তু তা না করে বাস বন্ধ করে যাত্রীদের দুর্ভোগে ফেলেছে। এটা অন্যায় বলেও যাত্রীরা মন্তব্য করেন।
রাজশাহী সড়ক পরিবহন গ্রুপের সাধারণ সম্পাদক নজরুল ইসলাম হেলাল জানান, আমরা বিষয়টি সমাধানের চেষ্টা করছি। আশা করছি, দ্রুত বাস চলাচল স্বাভাবিক হবে। তবে কখন নাগাদ বাস চলাচল স্বাভাবিক হবে সেটি তিনি নিশ্চিত করতে পারেন নি।
এ বিষয়ে রাজশাহী মহানগর পুলিশের মুখপাত্র ও অতিরিক্ত উপ পুলিশ কমিশনার গাজিউর রহমান বায়ান্ন টিভিকে বলেন, এটি বাস মালিকদের বিষয় এটাতে তাদের কোনো সংশ্লিষ্টতা নেই। এ বিষয়ে পুলিশের বক্তব্য প্রয়োজন আছে তিনি মনে করেন না।
আই/এ