জাতীয়

ফিরে দেখা জুলাই গণঅভ্যুত্থান

সারাদেশে চিরুনি অভিযান

২০২৪ সালের ২২ জুলাই, সোমবার। এদিন কোটা সংস্কার আন্দোলনকে কেন্দ্র করে দেশের বিভিন্ন স্থানে সংঘর্ষ, হামলা, ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ‘চিরুনি অভিযান’ শুরু করে। এছাড়া সারাদেশে বিএনপি ও জামায়াতে ইসলামীর নেতাকর্মীসহ ১২শ’ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়।  

২২ জুলাই রাত ৯টার দিকে কোটা সংস্কার সংক্রান্ত জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সারসংক্ষেপে স্বাক্ষর করেন তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এর আগে দুপুরে শেখ হাসিনা কিছু ব্যবসায়ীর সাথে গণভবনে বৈঠক করেন।  

তিনি বিভিন্ন স্থাপনায় হামলা ও সহিংসতার জন্য বিএনপি, জামায়াতে ইসলামী ও ছাত্রশিবিরকে দায়ী করেন। তাদের বিরুদ্ধে ‘আরও শক্ত অ্যাকশন’ নেওয়ার কথা জানান।

এদিকে ২২ জুলাই পঞ্চম দিনের মতো পুরো দেশকে ইন্টারনেটবিহীন রাখে সরকার। এক নির্বাহী আদেশে সাধারণ ছুটি আরও একদিন (২৩ জুলাই) বাড়ানো হয়।

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক নাহিদ ইসলাম চার দফা দাবিতে ৪৮ ঘণ্টার আল্টিমেটাম দিয়ে ‘কমপ্লিট শাটডাউন’ কর্মসূচি স্থগিত করেন।

২২ জুলাই সোমবার ছিল কারফিউর তৃতীয় দিন। এদিন ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন দুইজন আন্দোলকারীর মৃত্যু হয়। সোমবার পর্যন্ত ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল থেকে আন্দোলনে নিহত ৬৮টি লাশ স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হয়। 

২২ জুলাই সেনাবাহিনী প্রধান ঢাকা মহানগরীর বিভিন্ন স্থানে সেনা সদস্যদের কার্যক্রম পরিদর্শন করেন। যাত্রাবাড়ী এলাকা পরিদর্শন করেন তৎকালীন পুলিশের আইজি চৌধুরী আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, ‘প্রতিটি অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডের জন্য পাই পাই করে হিসাব দিতে হবে।’

 

এমএ//

এ সম্পর্কিত আরও পড়ুন #জুলাই #জুলাই গণঅভ্যুত্থান