কুড়িগ্রামের ফুলবাড়ি উপজেলায় চলমান পানির সংকটের কারণে পাট চাষিরা চরম সমস্যার সম্মুখীন হয়েছেন। পাট কাঁটার উপযোগী হলেও পানির অভাবে কৃষকরা তা জাগ দিতে পারছেন না। যার কারণে তারা চরম দুশ্চিন্তায় আছেন।
বিষয়টি বৃহস্পতিবার (১৬ জুলাই) গণমাধ্যমকে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মোছা: নিলুফা ইয়াছমিন নিশ্চিত করেছেন।
উপজেলার বিভিন্ন এলাকার কৃষকদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, পানির অভাবে তারা পাট জাগ দিতে পারছেন না, তবে ধরলা, বারোমাসিয়া ও নীলকমল নদী তীরবর্তী এলাকার কৃষকরা গত এক সপ্তাহ ধরে পাট কেটে জাগ দেওয়ার কাজ শুরু করেছেন। তবে কিছু কৃষক অতিরিক্ত খরচ করে ২-৩ কিলোমিটার দূরে বিভিন্ন জলাশয়ে নিয়ে গিয়ে পাট জাগ দিচ্ছেন।
কাশিপুর ইউনিয়নের অনন্তপুর গ্রামের পাট চাষি বদিউজ্জামাল জানান, তিনি আধা বিঘা জমিতে পাট চাষ করেছেন। কিন্তু বৃষ্টির অভাবে পাট জাগ দিতে পারছেন না।
অপরদিকে, গজেরকুটি এলাকার পাট চাষি কিশোর চন্দ্র রায় ও ধীরেন চন্দ্র রায় জানান, গেল ২-৩ দিন বৃষ্টি হলেও ধানের জমিতে পানি জমেনি, ফলে তারা পাট কাটতে ও জাগ দিতে পারছেন না।
এদিকে কৃষকদের আশঙ্কা, আগামী এক সপ্তাহে ভারী বৃষ্টিপাত না হলে পাট চাষে বড় ধরনের ক্ষতি হতে পারে। প্রতি বছর একই সমস্যা সম্মুখীন হওয়ায় কৃষকরা পাট চাষে আগ্রহ হারিয়ে ফেলতে পারেন। তাদের অভিযোগ, উৎপাদন খরচ বাড়লেও বাজারে ন্যায্য মূল্য পাওয়া যাচ্ছে না।
এই পরিস্থিতির মধ্যে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মোছা: নিলুফা ইয়াছমিন জানিয়েছেন, কৃষি বিভাগ সব সময় পাট চাষে কৃষকদের উৎসাহিত করছে এবং চাষিদের প্রয়োজনীয় পরামর্শ ও প্রণোদনা দেওয়া হয়েছে। এ বছর উপজেলার ৬ ইউনিয়নে ৪৮০ হেক্টর জমিতে পাট চাষ হয়েছে। এর মধ্যে নদী তীরবর্তী এলাকার ৭৫ হেক্টর জমির পাট কেটে জাগ দেওয়া সম্পন্ন হয়েছে।
তিনি আশাবাদী, আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে ভারী বৃষ্টিপাত হলে পাট চাষিরা তাদের সমস্যার সমাধান পাবেন।
এসকে//