আবহাওয়া একটু স্বাভাবিক হওয়ায় সাগরে নেমেছেন জেলেরা। গভীর সাগরে গিয়ে হতাশ হতে হয়নি তাদের। এক ট্রলারেই ৬৫ মণ ইলিশ মাছ নিয়ে ফিরেছেন আলীপুর মৎস্য অবতরন কেন্দ্রের ঘাটে। এসব মাছ বিক্রি হয়েছে ৩৯ লাখ টাকার মাছ।
রোববার (১৩ জুলাই) দুপুরে পটুয়াখালীর আলীপুর মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রে এসব মাছ মেসার্স খান ফিস নামের একটি ট্রলার আড়ৎ ঘাটে নিলামে তোলা হয়। সেখানে ৩৯ লাখ টাকায় ডাকে বিক্রি হয় মাছগুলো। খান ফিশের আড়ৎ ম্যানেজার মো. সাগর ইসলাম বায়ান্ন টিভিকে এ তথ্য জানিয়েছেন।
এর আগে শনিবার (১২ জুলাই) কুয়াকাটা থেকে পূর্ব-দক্ষিণ দিকে প্রায় আনুমানিক ১৫০ কিলোমিটার দূরে গভীর সমুদ্রে ইলিশগুলো ধরা পড়ে।
জানা যায়, এফবি সাদিয়া-২ নামের মাছ ধরার ট্রলারটি ৯ জুলাই আলীপুর ঘাট থেকে ২৩ জন জেলে নিয়ে সমুদ্রে মাছ ধরতে যায়। গত দুদিন সমুদ্রের জাল ফেলে মাছগুলো ধরা হয় ।
ট্রলারের মাঝি শাহাবুদ্দিন বলেন, ‘৯ জুলাই আলীপুর ঘাট থেকে ২৩ জন জেলে নিয়ে সমুদ্রে ছেড়ে যাই। গভীর সমুদ্রে জাল ফেলে মাছগুলো পেয়েছি। ৫৮ দিনের নিষেধাজ্ঞার পরে দফায় দফায় বৈরী আবহাওয়ার কারনে সমুদ্রে মাছ ধরতে পারিনি । এই প্রথম বেশি মাছ পেয়েছি।
খান ফিশের আড়ৎ ম্যানেজার মো. সাগর ইসলাম বলেন, ‘অনেক দিন ধরে সাগরে খুব কম মাছ ধরা পড়ছে। বৈরী আবহাওয়া জেলেরা আর্থিক সমস্যায় পড়েন। ভালো মাছ বিক্রি করে আগের লোকসান থেকে নিজেদের রক্ষা করতে পারবেন । আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে ভালো মাছ পাওয়া যাবে বলে আশা করছি,
তিনি বলেন , মাছগুলো আলীপুর মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রে নিয়ে এসে আকার অনুযায়ী তিন ভাগ করা হয়। ৯০০ গ্রাম থেকে এককেজি ওজনের ইলিশ মণ ৯৫ হাজার টাকা (কেজি ২৩৭৫ টাকা), ৬০০ থেকে ৮০০ গ্রাম ওজনের ইলিশ মন ৭০ হাজার টাকা (কেজি ১৭৫০ টাকা) এবং ৪০০ থেকে ৫০০ গ্রাম ওজনের ইলিশ মন ৫৬ হাজার টাকা (কেজি ১৪০০ টাকা) দরে বিক্রি হয়েছে। অন্যান্য মাছ এক লাখ ১৭ হাজার টাকায় বিক্রি করা হয়। সব মিলিয়ে ওই ট্রলারে আসা মাছগুলো ৩৯ লাখ ৬০ হাজার ১৪০ টাকায় বিক্রি হয়েছে।
কলাপাড়া উপজেলা সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা অপু সাহা বায়ান্ন কে বলেন, দীর্ঘদিন নিষেধাজ্ঞা ও বৈরী আবহাওয়ায় জেলেরা লোকসানে জর্জরিত হয়েছেন। কিছুদিন ধরে ভালো পরিমাণ মাছ পেয়েছে। এটা নিষেধাজ্ঞার সুফলও বলা যায়। আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে সামনে বেশ ভালো মাছ পাবেন বলে আশা করি।
আই/এ