রাজধানীর কাঁচাবাজারে আবারও বাড়তি দামে বিক্রি হচ্ছে ব্রয়লার মুরগি। ঈদের পর বাজারে কিছুটা স্বস্তি বিরাজ করলেও মাত্র এক সপ্তাহের ব্যবধানে কেজিপ্রতি মুরগির দাম ২০ টাকা পর্যন্ত বেড়েছে। একইসঙ্গে বেড়েছে সবজির দাম। অধিকাংশ কাঁচা পণ্যের দাম কেজিতে ২০ টাকা পর্যন্ত বেড়ে গেছে। বাজারভেদে প্রতিকেজি কাঁচামরিচ ৩০০ থেকে ৪০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। তবে মাছের বাজারে দামের তুলনামূলক স্থিতিশীলতা কিছুটা স্বস্তি দিচ্ছে ভোক্তাদের।
শুক্রবার (১১ জুলাই) সকালে রাজধানীর বেশকিছু বাজার ঘুরে দেখা গেছে প্রতিকেজি ব্রয়লার মুরগি এখন বিক্রি হচ্ছে ১৬৫ থেকে ১৭০ টাকা কেজি দরে। গেল সপ্তাহে তা ছিল ১৪৫–১৫০ টাকার মধ্যে। সোনালি মুরগির দামও বেড়ে ৩০০ টাকা ছুঁয়েছে, যা আগে ছিল ২৮০ টাকা।
গেল বছর কৃষি বিপণন অধিদপ্তর ব্রয়লারের সর্বোচ্চ মূল্য নির্ধারণ করেছিল ১৮০ টাকা, এবার বাজার আবার সেই সীমায় পৌঁছাতে চলেছে।
মুরগির পাশাপাশি গরু ও খাসির মাংসের দাম স্থির থাকলেও বিক্রি কম। বাজারে গরুর মাংস ৭৫০–৭৮০, খাসি ১১০০, ছাগল ১০০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। তবে বাজারে ক্রেতা নেই বললেই চলে।
এদিকে রাজধানীর কাঁচাবাজারগুলোতে পটোল ৭০-৮০ টাকা (পূর্বে ৬০-৭০ টাকা), ঢেঁড়শ ৬০ থেকে ৭০ (পূর্বে ৪০-৫০ টাকা), কাঁচামরিচ ২৫০-৩০০ টাকা (পূর্বে ১৬০-১৮০ টাকা), শসা: ৭০-৮০ টাকা (পূর্বে ৫০-৬০ টাকা), করলা: ৮০-৯০ টাকা (পূর্বে ৬০-৭০ টাকা) দরে বিক্রি হচ্ছে।
এছাড়া বরবটি প্রতি আঁটি ৬০ টাকা, কচুর চড়া ৮০ টাকা, বেগুন ৮০ টাকা, টমেটো ১৬০ টাকা, কলা প্রতিহালি ৫০ টাকা, লাউ প্রতিপিস ৬০, ঝিঙা ৬০ টাকা, মিষ্টি কুমড়া কেজি ২০ টাকা, পেঁপে ৪০ টাকায় বিক্রি হতে দেখা গেছে।
তবে আলু, পেঁয়াজ, রসুনের দামে তেমন পরিবর্তন দেখা যায়নি।
এদিকে মাছের বাজারে স্বস্তি পাচ্ছে ক্রেতারা। বনশ্রীর মাছের দোকানগুলোতে রুই-কাতল বিক্রি হচ্ছে ৩০০–৩৪০ টাকা কেজি দরে, পাবদা ৩৫০–৪০০, তেলাপিয়া-পাঙ্গাস ১৮০–২০০ এবং চিংড়ি ৬৫০–৭০০ টাকায়। দেশি শিং ও কৈ অবশ্য এখনও অনেক দামি—প্রতি কেজি ১২০০ ও ১০০০ টাকা।
এমএ//