চট্টগ্রাম নগরের বায়েজিদ থানার পাহাড়িকা হাউজিং সোসাইটির একটি ফ্ল্যাট থেকে গলা কাটা অবস্থায় এক নারীর খণ্ড-বিখণ্ড মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। পারিবারিক কলহের জেরে স্বামী তার স্ত্রীকে নির্মমভাবে হত্যা করে লাশ ১১ টুকরো করে ঘরের বিভিন্ন স্থানে ফেলে রাখে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করছে পুলিশ।
বুধবার (০৯ জুলাই) দিবাগত রাত সাড়ে ১২টার দিকে পাহাড়িকা আবাসিক এলাকার এফজে টাওয়ারের ১০তলা ফ্ল্যাটে এ ঘটনা ঘটে।
নিহত নারীর নাম ফাতেমা বেগম পলি (৩২)। তিনি পেশায় গৃহবধূ এবং ওই ফ্ল্যাটে গাড়িচালক স্বামী সুমনের সঙ্গে থাকতেন। তাদের আট বছরের একটি ছেলে সন্তান রয়েছে। ফাতেমার গ্রামের বাড়ি কুমিল্লার সদর দক্ষিণ উপজেলায়। তবে তারা চট্টগ্রামে বসবাস করতেন।
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বায়েজিদ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. কামরুজ্জামান জানান, রাতের দিকে প্রতিবেশীরা ফ্ল্যাট থেকে দুর্গন্ধ ও অস্বাভাবিক শব্দ শুনে পুলিশকে খবর দেন। পরে ফায়ার সার্ভিসের সহায়তায় দরজা ভেঙে ভেতরে ঢুকে পুলিশ ফাতেমার ক্ষতবিক্ষত মরদেহ উদ্ধার করে। মরদেহটি একাধিক টুকরো করে ঘরের বিভিন্ন জায়গায় ছড়িয়ে রাখা হয়েছিল।
তিনি আরও জানান, ঘটনার পরপরই স্থানীয় লোকজন ঘাতক স্বামীকে ধরে একটি বাড়িতে আটকে রাখে। তবে সে ঘরের জানালার গ্রিল কেটে পালিয়ে যায়।
পুলিশ ধারণা করছে, পারিবারিক কলহের জেরেই এ নৃশংস হত্যাকাণ্ড ঘটানো হয়েছে। ফাতেমার মরদেহ উদ্ধার করে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।
এসি//