কুমিল্লার মুরাদনগরে মব তৈরি করে মা ও দুই সন্তানসহ ৩ জনকে পিটিয়ে হত্যার ঘটনায় ২ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন স্থানীয় কড়ইবাড়ি গ্রামের বাসিন্দা মো. সাবির আহমেদ (৪৮) ও মো. নাজিম উদ্দীন বাবুল (৫৬)। এর আগে গত শুক্রবার নিহতের মেয়ে রিক্তা আক্তার বাদী হয়ে বাঙ্গরা বাজার থানায় এ মামলাটি দায়ের করেন।
শনিবার (৫ জুলাই) দুপুরে বাঙ্গরা বাজার থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাহফুজুর রহমান গণমাধ্যমকে এ তথ্য জানিয়েছেন।
তিনি জানান, শুক্রবার গভীর রাতে নিহত রুবির আক্তারের মেয়ে স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান শিমুল বিল্লালসহ ৩৮ জনকে এজাহার নামীয় এবং অজ্ঞাত আরও ২০ থেকে ২৫ জনকে আসামি করে মামলা দায়ের করেন।
পরে হত্যাকাণ্ডে জড়িত থাকার অভিযোগে শুক্রবার রাতে যৌথবাহিনী অভিযান চালিয়ে দু’জনকে গ্রেপ্তার করেছ। তাদের আদালতে সোপর্দ করার প্রক্রিয়া চলছে।
ওসি জানান, যারা ঘটনার সঙ্গে জড়িত তাদের শনাক্ত করে আইনের আওতায় আনা হবে। ঢালাওভাবে এলাকায় গ্রেপ্তারের জন্য কাউকে হয়রানি করা হচ্ছে না। এতে লোকজনের আতঙ্কিত হওয়ার কারণ নেই।
এর আগে বৃহস্পতিবার সকালে মুরাদনগর উপজেলার বাঙ্গরা বাজার থানার কড়ইবাড়ি গ্রামে মোবাইল ফোন ছিনতাই ও ‘মাদক ব্যবসার’ অভিযোগ তুলে স্থানীয় কিছু লোকজন মব তৈরি করে। পরে একই পরিবারের ৩ জনকে পিটিয়ে ও কুপিয়ে হত্যা করে।
মামলার বাদী রিক্তা আক্তার বলেন, জরুরি সেবা ৯৯৯ নম্বরে কল দেওয়ার পর পুলিশ ঘটনাস্থলে আসে। তিনি দুই সন্তান নিয়ে পাশের দুটি বাসায় আশ্রয় নেওয়ার চেষ্টা করলেও সেখান থেকে বের করে দেয়া হয়। পরে সন্ধ্যা পর্যন্ত বাড়ির পাশে একটি টয়লেটের ট্যাংকিতে লুকিয়ে সন্তানদের নিয়ে প্রাণে বেঁচে যান।
তার দাবি, ‘চেয়ারম্যানের নির্দেশে কিছু মানুষ তার মা ভাই-বোনদের হত্যা করেছে। প্রশাসনের কাছে নিরাপত্তার দাবিও জানিয়েছেন তিনি।
আই/এ