Connect with us

জাতীয়

ফুলবাড়ীতে মাদকের করাল গ্রাসে তরুন-যুব সমাজ

Published

on

স্ত্রী-দুই ছেলেসহ চার সদস্যের সুখের সংসার। যেন সাজানো বাগান। বড় ছেলে(ছদ্দ নাম) জীবন অনার্স শেষ বর্ষের শিক্ষার্থী।

করোনা কালে কলেজ বন্ধ থাকায় বড় ছেলে পড়াশুনার পাশাপাশি বাড়ীতে মুরগীর ফার্ম দিয়ে নিজের পায়ে দ্বারানোর চেষ্টা করছেন। একটু হলেও সংসারের সহযোগীতা করছেন। ছোট ছেলে(ছদ্দ নাম) আকাশ -দ্বাদশ শ্রেণীতে পড়ে। সামনে এইচ এসসি পরীক্ষা দিবে।

স্ত্রী-দুই ছেলেসহ চার সদস্যের সংসার ভালই চলছিল। আমার ছোট আকাশ পড়াশুনার পাশাপাশি কখন কিভাবে যে বন্ধুদের সাথে সঙ্গ দিতে দিতে কখন যে মাদকাসক্ত হয়ে পড়েছে তা আমার জানা ছিল না। যখন জানতে পারলাম আমার ছোট-ছেলে মরণ নেশায় জড়িয়ে পড়েছেন,তখন থেকে আজও পর্যন্ত শত চেষ্টা করেও তাকে স্বাভাবিক জীবনে ফেরাতে পারিনি।

নেশার টাকার জন্য প্রায় বাড়ীতে ভাংচুর করতো সে। কখনো তার হাতে লাঞ্ছনার শিকার হয়েছি বলে হাউ-মাউ করে কেঁধে উঠেন অসহায় এক বাবা। তিনি পেশা একজন ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী। নাম না প্রকাশের শর্তে কান্না জড়িত কন্ঠে জানান, ছোট-ছেলেটাকে স্বাভাবিক জীবনে ফেরাতে এক এক করে দুই রংপুরের মাদক নিরাময় কেন্দ্রে পাঠাই। এখনও রংপুরের শান্তি মাদক নিরাময় কেন্দ্রে চিকিৎসাধীন আছে। ছেলেটা মাদকাসক্ত হওয়ায় সমাজে অনেক ছোট হয়ে বসবাস করছি।

যেন লজ্ঝায় কাউকে মুখ দেখাতে পারছিনা। শেষ বারের মতো মাদকাসক্ত সন্তানকে স্বাভাবিক জীবনে ফেরার জন্য রংপুর শহরে শান্তি মাদক নিরাময় ক্লিনিকে ভর্তি করে দিয়েছি। জানি না কি হবে। এই সমস্যার শিকার শুধু তিনি একা নন। চারিদিকে সবুজের ঘেরা দেশের উত্তরের জেলা কুড়িগ্রামের ফুলবাড়ী সীমান্তঘেষা এলাকায় অনেক পরিবারের চিত্র এটি।

Advertisement

ফুলবাড়ী উপজেলার ৩৬ কিলোমিটার ভারত-বাংলাদেশ সীমান্ত হওয়ায় লালমনিরহাট ১৫ বিজিবি’র সদস্যরা সর্তক অবস্থানে টহল অব্যাহত থাকলেও সুকৌশলে ভারতের উৎপাদিত মাদক দ্রব্য ইয়াবা ট্যাবলেট, ফেন্সিডিল, গাঁজা, মদ সীমান্ত পথে ভারত থেকে পাঁচার করে নিয়ে আসছেন চোরাকারবারীরা।

এই সব মাদক দ্রব্য স্কুল-কলেজ পড়–য়া শিক্ষার্থীসহ যুব সমাজ বিপথগামী করে দেশ ও জাতিকে অন্ধকারের ঠেঁলে দিচ্ছে। মাদকের কাঁচা টাকার সু-গন্ধে খুব সহজেই মাদক ব্যবসার সঙ্গে অনেকেই জড়িয়ে যান সীমান্ত স্কুল-কলেজ পড়–য়া শিক্ষার্থীসহ অনেক উচ্চ শিক্ষিত বেকার যুবক জীবন-জীবিকার তাগিতেই মাদক ব্যবসার সঙ্গে জড়িয়ে পড়েন। পুরো উপজেলার ছয়টি ইউনিয়নের ঘুরে এসব তথ্য জানা গেছে।

ফুলবাড়ী থানা সুত্রে জানা গেছে, থানা পুলিশসহ বিভিন্ন আইন শৃংখলা বাহিনীর সদস্যরা মাদক বিরোধী অভিযানে মাদক নির্মুল ও মাদক মুক্ত ফুলবাড়ী গড়তে রাত দিন অক্লান্ত পরিশ্রম করে মাদক বিরোধী অভিযান অব্যাহত রেখে গত ১ বছরে পুলিশ মাদক দ্রব্য নিয়ন্ত্রণ ও চোরাচালান প্রতিরোধ আইনে ফুলবাড়ী থানায় মোট ১৯১ টি মামলা দায়ের হয়েছে।

২০২০ সালে ১ লা জানুয়ারী থেকে ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত ফুলবাড়ী থানা পুলিশসহ বিভিন্ন আইন শৃংখলা বাহিনীর হাতে মোট ৩৩৮ কেজি ২২ গ্রাম গাঁজা, ৬ হাজার ৬০৯ পিচ ইয়াবা ট্যাবলেট, ১ হাজার ১৬১ বোতল ফেন্সিডিল, ১৮ বোতল মদ ও ২৬৬ বোতল স্কাপ সিরাপ উদ্ধার ও ২২৮ জন মাদক ব্যবসায়ীকে গ্রেফতার করেছে। পুলিশসহ বিভিন্ন আইন শৃংখলা বাহিনীর সদস্যরা দিন রাত কট্টর শ্রম করে গত ১ বছরে ছয় মাসে ১৯১ টি মাদক মামলা ও বিপুল পরিমান মাদক দ্রব্য উদ্ধার এবং ২২৮ জন মাদক ব্যবসায়ীকে গ্রেফতার করলেও কোন ক্রমেই থামছে না মাদক ব্যবসা।

উপজেলার ৬ টি ইউনিয়নের মাদকের নিরাপদ রুট গুলো হলো -সীমান্তঘেষা ১ নং নাওডাঙ্গা ইউনিয়নের চর-গোরকমন্ডল, আনন্দ বাজার, চর-আবাসন, গোরক মন্ডল, বিডিআর বাজার, নামাটারী, কৃষ্ণানন্দ বকসী, বালাতাড়ি, ধুলারকুটি, ক্যাম্পের ছড়া, জুগিটারী, গজেরকুটি, ঠোস খলিশাকোঠাল, খলিশাকোঠাল,বাদশার বাজার, চওড়াবাড়ী, কুরুষাফেরুষা, পূর্বফুলমতি, বালারহাট ও বারাইটারী, নাওডাঙ্গা বকুলতলা।

Advertisement

সীমান্তঘেষা ২ নং শিমুলবাড়ী ইউনিয়নের ঠাকুরপাট, বোর্ডের হাট, টেপরীর বাজার, আছিয়ার বাজার, রসুন শিমুলবাড়ী, ভুরিয়ার কুটি,জুম্মাড়পাড়। সীমান্তঘেষা ৩ নং ফুলবাড়ী সদর ইউনিয়নের ব্রাকমোড়, পানিমাছকুটি, চাঁন্দের বাজার, আব্দুল্লাবাজার, চৌত্তাবাড়ী মোড়, নাখারজান, ঠোস বিদ্যাবাগিস, দাসিয়ারছড়া, সীমান্তঘেষা ৬ নং কাশিপুর ইউনিয়নে গংগাহাট বাজার, আজোয়াটারী, কাশিয়াবাড়ী, বেড়াকুটি, অনন্তপুর, ধর্মপুর, বালাবাড়ীসহ উপজেলার বড়ভিটা,খরিবাড়ী,আমতলা,।

এই সব রুটে কুড়িগ্রাম, নাগেশ্বরী, রংপুর, কাউনিয়া, রাজারহাট ও লালমনিরহাট থেকে শতশত তরুন-যুবকসহ বিভিন্ন বয়সী মাদক সেবনকারীর ঢল নামে। ফুলবাড়ী থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) রাজীব কুমার রায় জানান, জেলা পুলিশ সুপার স্যারের নিদের্শে আমাদের থানা পুলিশসহ বিভিন্ন আইন শৃংখলা বাহিনীর সদস্যরা ফুলবাড়ী থানাকে মাদক মুক্ত করার জন্য অক্লান্ত পরিশ্রম চালিয়ে যাচ্ছে।

প্রতিনিয়ত মাদক বিরোধী অভিযান চালিয়ে গত ১ বছরে মাদক ও চোরাচানের উপর ১৯১ টি মামলা ও বিপুল পরিমান মাদক দ্রব্য উদ্ধার এবং ২২৮ মাদক ব্যবসায়ীকে গ্রেফতার করা হয়েছে। প্রতিদিনেই মাদকের বিরুদ্ধে অভিযান চলছে চলবে। তিনি আরও জানান, স্থানীয় সচেতনমহল ও জনপ্রতিনিধিরা পুলিশসহ আইন শৃংখলা বাহিনীকে সহযোগিতা করলে চোরাচালানের বিরুদ্ধে ও মাদক সেবনকারী এবং মাদক ব্যবসায়ী একে বারে নির্মূল করা সম্ভব।

এ প্রসঙ্গে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) লালমনিরহাট ১৫ ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লে.কর্নেল এস এম তৌহিদুল-আলম জানান, সীমান্তে রাত-দিন ২৪ ঘন্টা আমাদের বিজিবি’র সদস্যরা সর্তক অবস্থান থেকে ডিউটি পালন করছে। তবে কিছু অসাধু চোরাকারবারী তাদের কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে।

বিজিবিসহ বিভিন্ন আইন শৃংখলা বাহিনীকে স্থানীয় জনপ্রতিনিধি, সুশীল সমাজ, মসজিদের ইমামসহ সব ধরনের জনসাধারণ সহযোগীতা করলে সীমান্তে চোরাচানানসহ বিভিন্ন অপরাধ মূলক কর্মকান্ড নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব হবে।

Advertisement

এস মুন্নী

Advertisement

জাতীয়

চার বছরে মাধ্যমিকে শিক্ষার্থী কমেছে ১০ লাখ

Avatar of author

Published

on

করোনাভাইরাস সংক্রমণ শুরুর আগের বছর ২০১৯ সালে দেশে মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে মোট শিক্ষার্থী ছিল ৯২ লাখ ৩ হাজার ৪২৭ জন। ২০২৩ সালে সংখ্যাটা দাঁড়িয়েছে ৮১ লাখ ৬৬ হাজার ১৮৮ জনে। অর্থাৎ এই চার বছরে শিক্ষার্থীর সংখ্যা কমেছে ১০ লাখের বেশি। শিক্ষার্থী কমার এই সংখ্যা আশঙ্কাজনক বলে দাবি করছেন সংশ্লিষ্টরা।

বৃহস্পতিবার (২৮ মার্চ) এ তথ্য প্রকাশ করেছে বাংলাদেশ শিক্ষা তথ্য ও পরিসংখ্যান ব্যুরো (ব্যানবেইস)। সংস্থাটি শিক্ষার্থী কমার সুনির্দিষ্ট কোনো কারণ উল্লেখ করেনি।

ব্যানবেইস বলছে, সারা দেশের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান থেকে তথ্য সংগ্রহ করে তা উপস্থাপন করা হয়েছে। এখানে ব্যানবেইসের নিজস্ব কোনো পর্যালোচনা নেই। এই তথ্য নিয়ে সরকারের নীতি নির্ধারক ও সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় ও দপ্তর কাজ করতে পারে।

শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের সচিব সোলেমান খান গণমাধ্যমকে বলেন, মাধ্যমিকে শিক্ষার্থী কমে যাওয়ার কারণ সবাই জানে। করোনা প্রতিঘাতের কারণে অনেক প্রতিষ্ঠান বন্ধ হয়ে যায়। এ কারণে শিক্ষার্থীদের অনেকে কর্মজীবনে প্রবেশ করে। তাদের ক্লাস রুমে ফিরিয়ে আনার জন্য শিক্ষা মন্ত্রণালয় কাজ করছে।

ব্যানবেইসের তথ্য বলছে, মাধ্যমিকে কমে যাওয়া শিক্ষার্থীর মধ্যে ৫৫ শতাংশই ছাত্রী। এই শিক্ষার্থীরা দেশের ১৮ হাজার ৯৬৮টি বিদ্যালয়ে পড়ত। মাধ্যমিক স্কুলে শিক্ষার্থী কমলেও কলেজ পর্যায়ে শিক্ষার্থীর সংখ্যা ১ লাখ ৮০ হাজারের মতো বেড়েছে। একই সময়ে মাদ্রাসায় প্রায় ৫০ হাজার শিক্ষার্থী বেড়েছে। একইভাবে কারিগরি ও ইংরেজি মাধ্যমেও শিক্ষার্থী বেড়েছে।

Advertisement

ব্যানবেইসের প্রতিবেদনে বলা হয়, চার বছরের ব্যবধানে সরকারের অধীনে থাকা মাদ্রাসাগুলোতে (দাখিল ও আলিম ধারার মাদ্রাসা) আড়াই লাখের বেশি শিক্ষার্থী বেড়েছে। বর্তমানে মাদ্রাসাগুলোতে শিক্ষার্থী ২৭ লাখ ৫৮ হাজারের বেশি। এর মধ্যে ছাত্রী প্রায় ৫৪ শতাংশ।

ব্যানবেইসের খসড়া প্রতিবেদন অনুযায়ী, বর্তমানে ১২৩টি ইংরেজি মাধ্যম স্কুলে পড়াশোনা করছে ২৮ হাজারের বেশি শিক্ষার্থী; যা চার বছর আগে ছিল ২৬ হাজারের বেশি।

প্রসঙ্গত, সরকার কারিগরি শিক্ষায় গুরুত্ব দিচ্ছে। এর ফলে কারিগরি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের সংখ্যা দিনে দিনে বাড়ছে। বর্তমানে ৫ হাজার ৩৯৫টি (এর মধ্যে ৫৮৮টি সরকারি) কারিগরি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে মোট শিক্ষার্থী প্রায় সাড়ে ৭ লাখ। চার বছর আগে যা ছিল ৭ লাখের মতো। ওই সময় কারিগরি প্রতিষ্ঠান ছিল ২ হাজার ৩০৯টি। প্রাথমিক, মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিকে ছাত্রছাত্রীর সংখ্যায় সমতা এলেও কারিগরিতে ছাত্রীদের হার এখনো অনেক কম। কারিগরিতে যত শিক্ষার্থী পড়ে, তার মধ্যে ২৯ শতাংশের মতো ছাত্রী।

এএম/

Advertisement
পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

জাতীয়

দূষণে বাংলাদেশে বছরে মারা যাচ্ছেন ২ লাখ ৭২ হাজার মানুষ

Avatar of author

Published

on

দূষণ এবং পরিবেশগত স্বাস্থ্যঝুঁকির দিক দিয়ে তুলনামূলক বেশি ক্ষতি করছে দরিদ্র, পাঁচ বছরের কম শিশু, বয়স্ক এবং নারীদের। এছাড়াও প্রতিবছর বায়ুদূষণ, অনিরাপদ পানি, নিম্নমানের স্যানিটেশন ও হাইজিন এবং সীসা দূষণে অকালে প্রাণ হারাচ্ছেন ২ লাখ ৭২ হাজারের বেশি মানুষ। দূষণ এবং পরিবেশগত স্বাস্থ্যঝুঁকির দিক থেকে বাংলাদেশ উদ্বেগজনক অবস্থায় রয়েছে বলে জানিয়েছে বিশ্বব্যাংক।

বৃহস্পতিবার (২৮ মার্চ) বিশ্বব্যাংক প্রকাশিত দ্য বাংলাদেশ কান্ট্রি এনভায়রেন্টমেন্ট অ্যানালাইসিস (সিইএ) রিপোর্ট থেকে এসব তথ্য জানা গেছে।

রিপোর্টে বলা হয়েছে, বায়ুদূষণ, অনিরাপদ পানি, নিম্ন মানের স্বাস্থ্যব্যবস্থা ও স্বাস্থ্যবিধি এবং সীসা দূষণে বছরে দুই লাখ ৭২ হাজারের বেশি অকালমৃত্যু ঘটে। পরিবেশগত কারণে ২০১৯ সালে বাংলাদেশের জিডিপির ১৭ দশমিক ৬ শতাংশের মতো ক্ষতি হয়েছে। ঘরের ও বাইরের বায়ুদূষণে স্বাস্থ্যের ওপর সবচেয়ে ক্ষতিকর প্রভাব ফেলে। যা ৫৫ শতাংশ অকালমৃত্যুর জন্য দায়ী।

এ বিষয়ে বাংলাদেশ এবং ভুটানে নিযুক্ত বিশ্বব্যাংকের কান্ট্রি ডিরেক্টর আবদুলায়ে সেক গণমাধ্যমে বলেন, পরিবেশের ক্ষতি করে অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি হলে তা টেকসই হতে পারে না। শক্তিশালী প্রবৃদ্ধির গতিপথ টেকসই রাখতে এবং শহর ও গ্রামাঞ্চলের মানুষের জীবনমানের উন্নতি করতে বাংলাদেশ কোনোভাবেই পরিবেশকে উপেক্ষা করতে পারবে না। উচ্চ মধ্যম আয়ের দেশে উন্নীত হওয়ার লক্ষ্য অর্জনে পরিবেশের ক্ষয় রোধ এবং জলবায়ু সহিষ্ণুতা নিশ্চিত করা খুবই গুরুত্বপূর্ণ।

সিইএ রিপোর্টে আরও বলা হয়, পরিবেশ দূষণ শিশুদের ওপর মারাত্মক প্রভাব ফেলছে। সীসা বিষক্রিয়া শিশুদের মস্তিকের বিকাশে অপরিবর্তনীয় ক্ষতি করছে। এর ফলে বছরে প্রাক্কলিত আইকিউ ক্ষতি হচ্ছে প্রায় ২০ মিলিয়ন পয়েন্ট। গৃহস্থালিতে কঠিন জ্বালানির মাধ্যমে রান্না বায়ুদূষণের অন্যতম উৎস এবং তা নারী ও শিশুদের বেশি ক্ষতি করছে। শিল্পের বর্জ্য এবং অনিয়ন্ত্রিত প্লাস্টিকসহ বিভিন্ন বর্জ্য এবং অন্যান্য উৎস থেকে আসা অপরিশোধিত ময়লাযুক্ত পানির কারণে বাংলাদেশের নদীগুলোর পানির গুণগত মানের মারাত্মক অবনতি ঘটেছে।

Advertisement

এতে বলা হয়, বায়ুদূষণ নিয়ন্ত্রণে সময়মতো এবং জরুরি হস্তক্ষেপ, উন্নত পানি, স্যানিটেশন ও হাইজিন (ওয়াশ) এবং সীসা দূষণ নিয়ন্ত্রণ প্রতি বছর ১ লাখ ৩৩ হাজারের বেশি অকালমৃত্যু ঠেকাতে পারে। সবুজ বিদ্যুৎ উৎপাদনে বিনিয়োগ, রান্নায় সবুজ জ্বালানি ব্যবহার এবং শিল্প-কারখানা থেকে দূষণ রোধে কঠোর নিয়ন্ত্রণ বায়ু দূষণ কমাতে পারে।

বিশ্বব্যাংকের সিনিয়র পরিবেশ বিশেষজ্ঞ এবং এই প্রতিবেদনের সহ-লেখক আনা লুইসা গোমেজ লিমা বলেন, সময়মতো এবং সঠিক নীতি ও কার্যক্রমের মাধ্যমে বাংলাদেশ পরিবেশ দূষণের ধারা পাল্টে ফেলতে পারে। পরিবেশ সুরক্ষা জোরদারে পদক্ষেপ এবং রান্নায় সবুজ জ্বালানির জন্য বিনিয়োগ ও অন্যান্য প্রণোদনা, সবুজ অর্থায়ন বাড়ানো, কার্যকর কার্বন মার্কেট প্রতিষ্ঠা এবং সচেতনতা বাড়ানো দূষণ কমাতে পারে এবং এর ফলে সবুজ প্রবৃদ্ধি অর্জন হতে পারে।

তিনি আরও বলেন, পরিবেশগত ব্যবস্থাপনার জন্য সুশাসন জোরদার ও প্রাতিষ্ঠানিক সক্ষমতা বাড়াতে এই রিপোর্টে পরিবেশগত অগ্রাধিকারসমূহ চিহ্নিত করা হয়েছে, বিভিন্ন পদক্ষেপের মূল্যায়ন এবং প্রয়োজনীয় সুপারিশ করা হয়েছে। সাক্ষ্য-প্রমাণের ভিত্তিতে অগ্রাধিকার নির্ধারণ, পরিবেশ নীতি পদ্ধতিগুলোর বৈচিত্রাকরণ ও জোরদারকরণ, সাংগঠনিক কাঠামো এবং প্রাতিষ্ঠানিক সক্ষমতা জোরদারকরণ এবং সবুজ অর্থায়নের জন্য সহায়ক পরিবেশ সৃষ্টির মাধ্যমে বাংলাদেশ এর পরিবেশকে রক্ষা করতে পারে।

এএম

 

Advertisement

 

 

পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

জাতীয়

কুড়িগ্রামে বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল পরিদর্শন করলেন ভুটানের রাজা

Avatar of author

Published

on

ভুটানের রাজা জিগমে খেসার নামগিয়েল ওয়াংচুক কুড়িগ্রাম ধরলা সেতুর পূর্ব প্রান্তে ভোগডাঙ্গা ইউনিয়নের মাধবরাম এলাকা পরিদর্শন করেন।

বৃহস্পতিবার (২৮ মার্চ) দুপুরে ভুটানিজ বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলের জন্য নির্ধারিত স্থান পরিদর্শন করেন তিনি। পরে তিনি সড়ক পথে জেলার ভুরুঙ্গামারী উপজেলার সোনাহাট স্থলবন্দর দিয়ে ভারত হয়ে ভুটানের উদ্দেশ্যে বাংলাদেশ ত্যাগ করেন ।

ভুটানের রাজা ১৪ সদস্যের সফর সঙ্গী নিয়ে সকালে সৈয়দপুর বিমান বন্দরে অবতরণ করেন। পরে সড়ক পথে দুপুর পৌনে ১২টায় কুড়িগ্রাম সার্কিট হাউজে পৌঁছেন। সেখানে মধ্যাহ্ন ভোজ শেষে দুপুর দেড়টায় অর্থনৈতিক অঞ্চলের নির্ধারিত স্থান পরিদর্শন করেন।

এ সময় তথ্যমন্ত্রী এম,এ আরাফাত, নৌ পরিবহণ প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরি, সংসদ সদস্য ডা. হামিদুল হক খন্দকার, সংসদ সদস্য বিপ্লব হাসান পলাশ, বেজার নির্বাহী চেয়ারম্যান শেখ ইউসুফ হারুন, জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ সাইদুল আরীফ ও পুলিশ সুপার আল আসাদ মো. মাহফুজুল ইসলাম উপস্থিত ছিলেন। এদিকে ভুটানের রাজার কুড়িগ্রাম সফরের বিষয়টি ইতিবাচক হিসেবে দেখছেন স্থানীয় ও ব্যবসায়ীরা।

উল্লেখ্য, আর ভুটানের রাজার আগমনকে ঘিরে কঠোর নিরাপত্তাসহ সকল প্রকার প্রস্তুতি গ্রহণ করেন স্থানীয় প্রশাসন। ধরলা নদীর পূর্ব পাড়ে ২১৯ একর জমির উপর গড়ে তোলা হবে জিটুজি ভিত্তিতে এ বিশেষায়িত অর্থনৈতিক অঞ্চল। ২০১৫ সালে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কুড়িগ্রাম সরকারি কলেজ মাঠে এক জনসভায় এ জেলায় একটি অর্থনৈতিক অঞ্চল প্রতিষ্ঠার ঘোষণা দেন। ভুটানের রাজার ৪ দিনের ঢাকা সফরের দ্বিতীয় দিন ২৫ মার্চ সোমবার ঢাকায় কুড়িগ্রামে ভুটানিজ বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে বাংলাদেশ ও ভুটান সরকারের মধ্যে একটি সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরিত হয়।

Advertisement

এএম/

পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

জাতীয়

বাংলাদেশ2 hours ago

বাংলাদেশে বাইডেনের শীর্ষ অগ্রাধিকার কী, স্পষ্ট করলো যুক্তরাষ্ট্র

বাংলাদেশের দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন ও গণতন্ত্রের বিযয় নিয়ে মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের নিয়মিত ব্রিফিংয়ে আবারও প্রশ্ন উঠেছে। স্থানীয় সময় বুধবার...

অপরাধ3 hours ago

হুন্ডিতে ৪০০ কোটি টাকা পাচার : আটক ৫

মোবাইল ব্যাংকিং সার্ভিস ব্যবহার করে ডিজিটাল হুন্ডির মাধ্যমে বিদেশে বসেই প্রায় ৪০০ কোটি টাকা পাচার করেছে একটি চক্র। অভিযান চালিয়ে...

জাতীয়3 hours ago

চার বছরে মাধ্যমিকে শিক্ষার্থী কমেছে ১০ লাখ

করোনাভাইরাস সংক্রমণ শুরুর আগের বছর ২০১৯ সালে দেশে মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে মোট শিক্ষার্থী ছিল ৯২ লাখ ৩ হাজার ৪২৭ জন। ২০২৩...

অপরাধ3 hours ago

দুই দশক পর সিরিয়াল কিলার আজরাইল গ্রেপ্তার

কক্সবাজারের মহেশখালীর আলোচিত সিরিয়ার কিলার মো. লোকমান ওরফে আজরাইলকে দুই দশক পর গ্রেপ্তার করেছে র‍্যাব। বৃহস্পতিবার (২৮ মার্চ) বিকেলে র‍্যাব-১৫...

আইন-বিচার3 hours ago

জবির প্রক্টর দ্বীন ইসলামের জামিন নামঞ্জুর

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) আইন বিভাগের শিক্ষার্থী ফাইরুজ সাদাফ অবন্তিকার আত্মহত্যায় প্ররোচনার মামলায় গ্রেপ্তার সহকারী প্রক্টর দ্বীন ইসলামের জামিন নামঞ্জুর করেছেন...

জাতীয়5 hours ago

দূষণে বাংলাদেশে বছরে মারা যাচ্ছেন ২ লাখ ৭২ হাজার মানুষ

দূষণ এবং পরিবেশগত স্বাস্থ্যঝুঁকির দিক দিয়ে তুলনামূলক বেশি ক্ষতি করছে দরিদ্র, পাঁচ বছরের কম শিশু, বয়স্ক এবং নারীদের। এছাড়াও প্রতিবছর...

অপরাধ7 hours ago

রেলওয়ের কার্যালয়ে দুদকের অভিযান

কেনাকাটায় কয়েকশ কোটি টাকা অনিয়মের অভিযোগে রাজশাহী পশ্চিমাঞ্চল রেলওয়ের জিএম কার্যালয়ে অভিযান চালিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন। সাম্প্রতিক বছরগুলোতে পশ্চিমাঞ্চল রেলওয়ের...

জাতীয়7 hours ago

কুড়িগ্রামে বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল পরিদর্শন করলেন ভুটানের রাজা

ভুটানের রাজা জিগমে খেসার নামগিয়েল ওয়াংচুক কুড়িগ্রাম ধরলা সেতুর পূর্ব প্রান্তে ভোগডাঙ্গা ইউনিয়নের মাধবরাম এলাকা পরিদর্শন করেন। বৃহস্পতিবার (২৮ মার্চ)...

জাতীয়9 hours ago

কারওয়ান বাজার স্থানান্তরের প্রক্রিয়া শুরু

রাজধানীর সবচেয়ে বড় কাঁচামালের আড়ৎ কারওয়ান বাজার স্থানান্তর প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। কারওয়ান বাজারের কোনো দোকানই থাকছে না। শহরকে যানজটমুক্ত করার...

আইন-বিচার9 hours ago

ড. ইউনূস দেশে ফিরলে আসল কাহিনী জানা যাবে : ব্যারিস্টার মামুন

শ্রমিক ঠকানোর মামলায় সাজাপ্রাপ্ত ড. মুহম্মদ ইউনূসের সম্প্রতি পুরস্কারকাণ্ড নিয়ে সমালোচনার ঝড় বইছে। বিষয়টি নিয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেছেন তারি...

Advertisement
বাংলাদেশ5 days ago

জিম্মি বাংলাদেশি জাহাজে থাকা জলদস্যুদের ঘিরে ফেলা হচ্ছে

ডিবি-হারুন
বাংলাদেশ4 days ago

মাস্টারমাইন্ড স্কুলের ছাত্র অপহরণ: চাঞ্চল্যকর তথ্য পেয়েছেন গোয়েন্দারা

বাংলাদেশ4 days ago

৮ জেলায় শক্তিশালী কালবৈশাখী ঝড় ও শিলাবৃষ্টির শঙ্কা

জাতীয়3 days ago

জিম্মি বাংলাদেশি জাহাজে অভিযানের পক্ষে নয় মালিকপক্ষ

আন্তর্জাতিক6 days ago

গাজায় যুদ্ধবিরতিতে যুক্তরাষ্ট্রের প্রস্তাব আটকে দিল চীন-রাশিয়া

আন্তর্জাতিক5 days ago

বিশ্বের বৃহত্তম উড়োজাহাজ ‘উইন্ডরানার’ওড়ার অপেক্ষায়

আন্তর্জাতিক6 days ago

গায়ের চামড়া কেটে মায়ের জন্য জুতা বানালেন ছেলে

এশিয়া3 days ago

যেকারণে যুক্তরাষ্ট্র সফর বাতিল করলেন ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী

ক্রিকেট6 days ago

প্রথম ওভারেই ২ উইকেট পেলেন মোস্তাফিজ

বাংলাদেশ1 day ago

দ্রুত ভিসা দেওয়ার নির্দেশনা ইতা‌লি দূতাবাসের

প্রধানমন্ত্রী-শেখ-হাসিনা
জাতীয়1 day ago

গায়ের চাদর না পুড়িয়ে বউদের ভারতীয় শাড়ি পোড়ান: প্রধানমন্ত্রী

ফুটবল4 days ago

ইংল্যান্ডকে হারিয়ে ব্রাজিল কোচ জানালেন এটা মাত্র শুরু

টুকিটাকি6 days ago

জিলাপির প্যাঁচে লুকিয়ে আছে যে রহস্য!

অর্থনীতি2 weeks ago

বাজারে লেবুর সরবরাহ বেশি, তবুও দাম চড়া

রেশমা
বাংলাদেশ2 weeks ago

রাজধানীতে অচেতন অবস্থায় উদ্ধার কিশোরীর ঠিকানা খুঁজছে পুলিশ

হলিউড3 weeks ago

নীল দুনিয়ায় অভিনেত্রী সোফিয়ার রহস্যজনক মৃত্যু

ফুটবল3 weeks ago

জামালকে ঠিকঠাক বেতন দেয়নি আর্জেন্টাইন ক্লাব

টুকিটাকি4 weeks ago

রণবীরের ‘অ্যানিম্যাল’ দেখে শখ, মাইনাস ২৫ ডিগ্রিতে বসলো বিয়ের আসর

অর্থনীতি4 weeks ago

গরুর মাংসের দাম কেজি প্রতি পৌনে ৬ লাখ টাকা!

অপরাধ1 month ago

ডিবিতে যে অভিযোগ দিলেন তিশার বাবা

সর্বাধিক পঠিত