বাংলাদেশ
৪ ঘণ্টা পর মহাসড়ক ছাড়লেন চা শ্রমিকরা
প্রায় ৪ ঘণ্টা অবস্থান করে আন্দোলনের পর হবিগঞ্জের জগদীশপুর মুক্তিযোদ্ধা চত্বরের ঢাকা-সিলেট মহাসড়ক ছেড়েছে চা শ্রমিকরা।
রোববার (২১ আগস্ট) দুপুর ৩টায় বাংলাদেশ চা-শ্রমিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক (ভারপ্রাপ্ত) নৃপেন পাল মহাসড়ক ছাড়ার ঘোষণা দেন।
নৃপেন পাল বলেন, আগামী ২৩ আগস্ট সরকার ও মালিকপক্ষের সঙ্গে বৈঠক করেন। তারা সেখানে বলেন ৩০০ টাকা মজুরির দাবি না মানলে, আগামী ২৪ আগস্ট মহাসড়ক অবরোধ করা হবে।
এর আগে সকাল ১১টায় হবিগঞ্জের মাধবপুর উপজেলার জগদীশপুরে ঢাকা-সিলেট মহাসড়ক অবরোধ করেন শ্রমিকরা। এ সময় মহাসড়কের উভয় পাশে শত শত যানবাহন আটকে পড়ে।
তাসনিয়া রহমান
জাতীয়
কুড়িগ্রামে বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল পরিদর্শন করলেন ভুটানের রাজা
ভুটানের রাজা জিগমে খেসার নামগিয়েল ওয়াংচুক কুড়িগ্রাম ধরলা সেতুর পূর্ব প্রান্তে ভোগডাঙ্গা ইউনিয়নের মাধবরাম এলাকা পরিদর্শন করেন।
বৃহস্পতিবার (২৮ মার্চ) দুপুরে ভুটানিজ বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলের জন্য নির্ধারিত স্থান পরিদর্শন করেন তিনি। পরে তিনি সড়ক পথে জেলার ভুরুঙ্গামারী উপজেলার সোনাহাট স্থলবন্দর দিয়ে ভারত হয়ে ভুটানের উদ্দেশ্যে বাংলাদেশ ত্যাগ করেন ।
ভুটানের রাজা ১৪ সদস্যের সফর সঙ্গী নিয়ে সকালে সৈয়দপুর বিমান বন্দরে অবতন করেন। পরে সড়ক পথে দুপুর পৌনে ১২টায় কুড়িগ্রাম সার্কিট হাউজে পৌছেন। সেখানে মধ্যান্য ভোজ শেষে দুপুর দেড়টায় অর্থনৈতিক অঞ্চলের নির্ধারিত স্থান পরিদর্শন করেন।
এ সময় তথ্যমন্ত্রী এম,এ আরাফাত, নৌ পরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী, সংসদ সদস্য ডাঃ হামিদুল হক খন্দকার, সংসদ সদস্য বিপ্লব হাসান পলাশ, বেজার নির্বাহী চেয়ারম্যান শেখ ইউসুফ হারুন, জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ সাইদুল আরীফ ও পুলিশ সুপার আল আসাদ মোঃ মাহফুজুল ইসলাম উপস্থিত ছিলেন। এদিকে ভুটানের রাজার কুড়িগ্রাম সফরের বিষয়টি ইতিবাচক হিসেবে দেখছেন স্থানীয় ও ব্যবসায়ীরা।
উল্লেখ্য, আর ভুটানের রাজার আগমনকে ঘিরে কঠোর নিরাপত্তাসহ সকল প্রকার প্রস্তুতি গ্রহণ করেন স্থানীয় প্রশাসন। ধরলা নদীর পুর্ব পাড়ে ২১৯ একর জমির উপর গড়ে তোলা হবে জিটুজি ভিত্তিতে এ বিশেষায়িত অর্থনৈতিক অঞ্চল। ২০১৫ সালে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কুড়িগ্রাম সরকারি কলেজ মাঠে এক জনসভায় এ জেলায় একটি অর্থনৈতিক অঞ্চল প্রতিষ্ঠার ঘোষণা দেন। ভুটানের রাজার ৪ দিনের ঢাকা সফরের দ্বিতীয় দিন ২৫ মার্চ সোমবার ঢাকায় কুড়িগ্রামে ভুটানিজ বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে বাংলাদেশ ও ভুটান সরকারের মধ্যে একটি সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরিত হয়।
এএম/
জাতীয়
কারওয়ান বাজার স্থানান্তরের প্রক্রিয়া শুরু
রাজধানীর সবচেয়ে বড় কাঁচামালের আড়ৎ কারওয়ান বাজার স্থানান্তর প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। কারওয়ান বাজারের কোনো দোকানই থাকছে না। শহরকে যানজটমুক্ত করার লক্ষ্যে ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশনা অনুযায়ী শহরকে সুন্দর রাখতে এই ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (২৮ মার্চ) কারওয়ান বাজারে অবস্থিত ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) আঞ্চলিক কার্যালয় সরানোর মধ্য দিয়ে এই প্রক্রিয়া শুরু হয়।
এসময় ডিএনসিসির অঞ্চল-৫ এর আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তা মোতাকাব্বীর আহমেদ বলেন, বাজার সরানোর অংশ হিসেবে আজ সকালে বাজারের ঝুঁকিপূর্ণ ভবনে থাকা উত্তর সিটির অঞ্চল-৫ এর আঞ্চলিক কার্যালয় স্থানান্তর কাজ শুরু হয়। এর মাধ্যমে কারওয়ান বাজার সরানোর কার্যক্রম শুরু হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, দুই থেকে তিন দিনের মধ্যে অফিসটি পূর্ণাঙ্গভাবে স্থানান্তরিত করব। প্রাথমিকভাবে এখানকার স্থায়ী বরাদ্দকৃত (আড়ৎ ভবন-১) ১৭৬টি আড়ৎ, দোকান সরিয়ে নেয়া হচ্ছে। অস্থায়ী দুই স্থান থেকে (দক্ষিণ পাশের ১১৮টি ও উত্তর পাশের ৬২টি) ১৮০টি দোকান গাবতলীর আমিনবাজারে সরিয়ে নেওয়া হচ্ছে। এছাড়া অন্য দোকানগুলো পুনর্বাসনের কার্যক্রম চলমান থাকবে।”
মোতাকাব্বির বলেন, ২০১০ সালে বুয়েট থেকে একটি প্রতিবেদনে বলা হয়েছিল রেকটো ফিটিং করার জন্য। পরে দেখা যায় রেকটো ফিটিং করতে যে পরিমাণ খরচ, এর থেকে না করাই শ্রেয়। স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয় থেকে ৩৫০ কোটি টাকার একটি প্রকল্প নেয়া ছিল যাত্রাবাড়ী ও আমিনবাজারে। যাত্রাবাড়ী ও আমিনবাজারে ব্যবসায়ীদের পুনর্বাসন করার কথা রয়েছে। ২০১০ সালের প্রকল্পটি পূর্ণাঙ্গ রূপ পেয়েছে। এই প্রকল্পের শতভাগ কাজ সম্পন্ন হয়েছে।
উল্লেখ্য, এর আগে গত ১৮ মার্চ কারওয়ান বাজার স্থানান্তরের বিষয়ে স্থানীয় সংসদ সদস্য ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান, ডিএনসিসির মেয়র আতিকুল ইসলাম ও ব্যবসায়ীরা বৈঠকে বসেন। বৈঠক শেষে সিদ্ধান্ত হয়, ঈদের পর কারওয়ান বাজারের ১৭৬টি পাইকারি দোকান গাবতলীতে সরিয়ে নেয়া হবে।
এএম/
আইন-বিচার
ড. ইউনূস দেশে ফিরলে আসল কাহিনী জানা যাবে : ব্যারিস্টার মামুন
শ্রমিক ঠকানোর মামলায় সাজাপ্রাপ্ত ড. মুহম্মদ ইউনূসের সম্প্রতি পুরস্কারকাণ্ড নিয়ে সমালোচনার ঝড় বইছে। বিষয়টি নিয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেছেন তারি আইনজীবী। ইউনূস সেন্টারের কর্মচারীর ওপর দায় চাপিয়েছেন তিনি। ড. মুহম্মদ ইউনূস দেশে ফিরলে আসল কাহিনী জানা যাবে। ইউনেস্কো তাকে কোনো সম্মাননা দেননি বলে শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরীর বক্তব্যকে দুঃখজনক বলেও মন্তব্য করেছেন তার আইনজীবী ব্যারিস্টার আবদুল্লাহ আল মামুন।
বৃহস্পতিবার (২৮ মার্চ) দুপুরে তিনি সাংবাদিকদের জানান, পুরস্কার নিয়ে ভুলভ্রান্তি হতে পারে। ইউনূস সেন্টারের এক কর্মচারী ভুল করে থাকতে পারে।
আবদুল্লাহ আল মামুন আরও বলেন, ‘ড. ইউনূস তো নিজেই সমুদ্র, তিনি কেন পুকুর চুরি করবেন। তাকে সম্মাননা দেয়ার জন্য বিশ্বের বিভিন্ন সংস্থা, ব্যক্তি উদগ্রীব থাকে। তাকে যে ভাষায় শিক্ষামন্ত্রী অপমান করেছেন তার নিন্দা করার ভাষা নেই।’
প্রসঙ্গত, বাংলাদেশে ইউনেস্কোর সঙ্গে কার্যক্রমের জন্য সরকারের ফোকাল পয়েন্ট হচ্ছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়, বাংলাদেশ ইউনেস্কো জাতীয় কমিশনের দায়িত্ব হচ্ছে- কেউ যাতে ইউনেস্কোর নামের অপব্যবহার কিংবা অপপ্রয়োগ না করতে পারে সেটি নিশ্চিত করা। সে হিসেবে ইউনেস্কোর নাম অপব্যবহারের ক্ষেত্রে ইউনেস্কো ঢাকা অফিস, বাংলাদেশ ইউনেস্কো জাতীয় কমিশন এবং ইউনেস্কোতে বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধির সঙ্গে পরামর্শ করে ইউনেস্কো সদর দফতরকে অবহিত করা হবে।
এএম/
- ঢাকা7 days ago
প্রেমের টানে মামিকে নিয়ে পালালেন ভাগ্নে
- বাংলাদেশ5 days ago
জিম্মি বাংলাদেশি জাহাজে থাকা জলদস্যুদের ঘিরে ফেলা হচ্ছে
- বাংলাদেশ4 days ago
মাস্টারমাইন্ড স্কুলের ছাত্র অপহরণ: চাঞ্চল্যকর তথ্য পেয়েছেন গোয়েন্দারা
- জাতীয়3 days ago
জিম্মি বাংলাদেশি জাহাজে অভিযানের পক্ষে নয় মালিকপক্ষ
- বাংলাদেশ4 days ago
৮ জেলায় শক্তিশালী কালবৈশাখী ঝড় ও শিলাবৃষ্টির শঙ্কা
- আন্তর্জাতিক6 days ago
গাজায় যুদ্ধবিরতিতে যুক্তরাষ্ট্রের প্রস্তাব আটকে দিল চীন-রাশিয়া
- আন্তর্জাতিক6 days ago
গায়ের চামড়া কেটে মায়ের জন্য জুতা বানালেন ছেলে
- আন্তর্জাতিক5 days ago
বিশ্বের বৃহত্তম উড়োজাহাজ ‘উইন্ডরানার’ওড়ার অপেক্ষায়