Connect with us

বাংলাদেশ

প্রতিষ্ঠানের কমিটির বিরুদ্ধে মানববন্ধন

Published

on

নাটোরের লালপুরে রামপাড়া স্কুল এন্ড কলেজের কমিটির বিরুদ্ধে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ মিছিল করেছে শিক্ষার্থী ও অভিভাবকসহ এলাকাবাসী। 

আজ বৃহস্পতিবার (৩০ জুন) সকাল ১১টার দিকে ওই স্কুল এন্ড কলেজর সামনে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান চলাকালীন প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা ও অভিভাবকসহ এলাকাবাসী মানববন্ধন কর্মসূচিতে অংশ নেন। পরে বিক্ষোভ মিছিল করে তারা।

দুড়দুড়িয়া ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপতি ও সাবেক সভাপতি মো. ইদ্রিস আলী লালু বলেন, চলমান এ্যাডহক কমিটি থাকা অবস্থায় নিয়মিত কমিটি গঠনের সমস্ত প্রস্তুতি গ্রহণের পরও গোপনীয়ভাবে কমিটি গঠন করা হয়েছে। অনৈতিকভাবে কমিটি গঠন ও অনুমোদন করানো হয়েছে। অবৈধ ও নিয়ম বহির্ভূতভাবে  করা ম্যানেজিং কমিটি বাতিলের দাবি জানান তিনি।

এ বিষয়ে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের প্রধান শিক্ষক মো. হযরত আলী বলেন, নিয়ম মেনে ম্যানেজিং কমিটি গঠন করা হয়েছে।

কমিটির নতুন সভাপতি ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি মো. আনিছুর রহমান বলেন, বিধিমোতাবেক কমিটি গঠন ও অনুমোদন করা হয়েছে।উল্লেখ্য, সাবেক সভাপতি মো. ইদ্রিস আলী লালু বর্তমান সংসদ সদস্য শহিদুল ইসলাম বকুল সমর্থিত। অপরদিকে বর্তমান সভাপতি মো. আনিসুর রহমান সাবেক সংসদ সদস্য আবুল কালাম আজাদের সমর্থক।

Advertisement
Advertisement

জাতীয়

আজ যারা বন্ধু, কাল তারা বন্ধু থাকবেন এমন নয়: সেনাপ্রধান

Avatar of author

Published

on

বিআইআইএসএস মিলনায়তনে আয়োজিত এক সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখছেন সেনাপ্রধান জেনারেল এসএম শফিউদ্দিন আহমেদ।সংগৃহীত ছবি

‘মিয়ানমারের সামরিক বাহিনীর সঙ্গে সম্পর্ক নিয়ে যা করা প্রয়োজন, তা অবশ্যই করা হবে। তবে দেশটির সামরিক নেতাদের সঙ্গে সখ্য ঝুঁকিপূর্ণ। কারণ, দেশটির সামরিক নেতাদের অনেকের বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক নিষেধাজ্ঞা রয়েছে। তাই এক বন্ধুকে খুশি করতে গিয়ে আরেকজনের বিরাগভাজন হতে পারি না। এ বাস্তবতা বুঝে যেটা ভালো, আমরা সেটাই করছি।’

বৃহস্পতিবার বেসরকারি গবেষণা প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ইন্টারন্যাশনাল অ্যান্ড স্ট্র্যাটেজিক স্টাডিজ (বিআইআইএসএস) মিলনায়তনে আয়োজিত এক সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে সেনাপ্রধান জেনারেল এসএম শফিউদ্দিন আহমেদ।

বিআইআইএসএস চেয়ারম্যান এএফএম গওসোল আযম সরকারের সভাপতিত্বে ‘ডিফেন্স ডিপ্লোম্যাসি : স্ট্র্যাটেজি ফর বাংলাদেশ’ শীর্ষক ওই সেমিনারে স্বাগত বক্তব্য দেন ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক মেজর জেনারেল মো. আবু বকর সিদ্দিক খান। সেমিনারে আরও উপস্থিত ছিলেন সেনাবাহিনীর চিফ অব জেনারেল স্টাফ লেফটেন্যান্ট জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান।

সেমিনারে সামরিক কূটনীতির বিভিন্ন দিক নিয়ে চারটি বিষয়ভিত্তিক বক্তব্য উপস্থাপন করা হয়। এসময় বক্তাদের  কেউ কেউ মিয়ানমারের সেনাবাহিনীর সঙ্গে সম্পর্ক জোরদারের প্রতি অধিক গুরুত্বারোপ করে সেনাপ্রধানের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন।

জবাবে সেনাপ্রধান মিয়ানমারের জেনারেলদের সঙ্গে সম্পর্ক জোরদারে বাস্তব সমস্যার কথা তুলে ধরে বলেন, ‘সামরিক কূটনীতি শুধু সামরিক বিষয়ের ওপর সীমাবদ্ধ নয়। বিশ্বের সঙ্গে যুক্ত হয়ে সামরিক কূটনীতি চলে। এজন্য সামর্থ্য বাড়াতে হবে। আর সামর্থ্য বাড়ানোর জন্য প্রয়োজন সম্পদ ও বাজেট। সামরিক বাহিনীর কাজ শুধু যুদ্ধ করা নয়; বরং জাতীয় স্বার্থরক্ষায় কিভাবে যুদ্ধ পরিহার করা যায়, সেটাও দেখা সামরিক বাহিনীর কাজ উল্লেখ করে সেনাপ্রধান বলেন, ‘ আজ যারা বন্ধু, কাল তারা বন্ধু থাকবেন এমন নয়। এটাও আমাদের ভুললে চলবে না।’

Advertisement

সেনাপ্রধান বলেন, বাংলাদেশের কূটনীতি হলো জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নীতি, সবার সঙ্গে বন্ধুত্ব, কারও সঙ্গে বৈরিতা নয়। সামরিক বাহিনী কূটনীতিতে যুক্ত হচ্ছে। কূটনীতি হলো, বিদেশের সঙ্গে জাতীয় স্বার্থরক্ষায় রাষ্ট্রের যে কোনো ব্যক্তির প্রচেষ্টা।

সামরিক বাহিনীর পাঁচটি দায়িত্বের উল্লেখ করে সেনাপ্রধান শফিউদ্দিন বলেন, `সামরিক বাহিনীর প্রধান দায়িত্ব রাষ্ট্রের সর্বভৌমত্ব রক্ষা করা। দ্বিতীয় কাজ- বেসামরিক প্রশাসনের সহযোগিতায় জাতিগঠনে দায়িত্ব পালন। তৃতীয় কাজ- বেসামরিক প্রশাসনের সহায়তায় দুর্যোগ মোকাবিলা করা। দুর্যোগ মোকাবিলা শুধু দেশের ভেতরে নয়। দেশের বাইরেও করা যায়। বাংলাদেশ সামরিক বাহিনী চীন, ভারত, শ্রীলংকা, মালদ্বীপ, ফিলিপাইন, তুরস্কে দুর্যোগ মোকাবিলায় কাজ করেছে। চতুর্থ কাজ হলো বেসামরিক প্রশাসনের সহায়তায় অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তা রক্ষা করা। পার্বত্য চট্টগ্রামে সেনাবাহিনী এই কাজ করছে। পঞ্চম কাজ হলো বিদেশে কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করা। এটা শুধু শান্তিরক্ষা কার্যক্রমের মাধ্যমে নয়। কাতারে পাঁচ হাজারের বেশি লোক পাঠিয়ে এই কাজ সেনাবাহিনী করেছে। এটা শুধু সেনাবাহিনীর লোক নয়, বরং পুলিশ ও বেসামরিক লোকও পাঠানো হয়েছে।‘

জাতিসংঘে শান্তিরক্ষা বাহিনীতে নিজের অংশগ্রহণের স্মৃতিচারণা করে তিনি বলেন, ‘২০১৪ সালের ঘটনা। আমি তখন মধ্য আফ্রিকায় জাতিসংঘ মিশনে নিযুক্ত হয়েছিলাম। ওই বছর ৯ অক্টোবর আমি অ্যামবুশের মুখে পড়ি। সৌভাগ্যবশত ওইদিনই আমি একটি বুলেটপ্রুফ আর্মাড ভেহিক্যাল সঙ্গে নিয়েছিলাম। সেখানে গ্রেনেড নিক্ষেপ হলেও আমি বেঁচে যাই। ওই ঘটনায় অন্য দেশের কয়েকজন সৈন্য প্রাণ দিয়েছেন। কয়েকজন বাংলাদেশি শান্তিরক্ষীসহ অনেকে আহত হন। কারণ, সব যানবাহনই বুলেটপ্রুফ ছিল না। তাই প্রথমে নিজেদের সুরক্ষা করতে হবে। তারপর আমাদের ওপর ম্যান্ডেট বাস্তবায়ন করতে হবে। তিনি আরও বলেন, জাতিসংঘের প্রেক্ষাপটে আমার অভিজ্ঞতা থেকে বলতে পারি, পুরো কাজটাই খুব চ্যালেঞ্জিং। অনেক নিরপেক্ষ থেকে কাজ করতে হয়।’

চিফ অব জেনারেল স্টাফ লেফটেন্যান্ট জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান বলেন, বঙ্গবন্ধুর নীতি ‘সবার সঙ্গে বন্ধুত্ব, কারও সঙ্গে বৈরিতা নয়’- এই নীতিতে বিশ্বাসী বাংলাদেশ। আমাদের ক‚টনীতিকরা সামরিক কূটনীতির প্রয়োজনীয়তা ও গুরুত্ব ভালোভাবে জানেন। ক্রয়ের ক্ষেত্রেও কোথা থেকে ক্রয় করলে সুবিধা পাওয়া যাবে, সেটা আলোচনা করা হয়। আমরা সবাই একসঙ্গে কাজ করি।

সেমিনারে চারটি বিষয়ভিত্তিক বক্তব্য উপস্থাপন করা হয়। ‘প্রতিরক্ষা কূটনীতির পরিবর্তনশীল ধারা এবং বাংলাদেশের পররাষ্ট্রনীতির লক্ষ্য অর্জন’ শীর্ষক বক্তব্য উপস্থাপন করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের অধ্যাপক ড. এএসএম আলী আশরাফ। এছাড়া, বিআইএসএস-এর গবেষণা ফেলো এএসএম তারেক হাসান শিমুল ‘ভূরাজনৈতিক প্রতিযোগিতা বৃদ্ধি : বাংলাদেশের প্রতিরক্ষা কূটনীতির চ্যালেঞ্জ ও সুযোগ’, মেজর জেনারেল (অব.) মাইন উল্লাহ চৌধুরী ‘জাতিসংঘ ও অন্যান্য বৈদেশিক মিশনে প্রতিরক্ষা কূটনীতি: দিগন্তের অনুসন্ধান’ এবং এয়ার ভাইস মার্শাল (অব.) মাহমুদ হোসেন ‘প্রতিরক্ষা কূটনীতির বর্তমান চর্চা এবং ভবিষ্যৎ গতিপথ: প্রেক্ষিত বাংলাদেশ’ বিষয়ে বক্তব্য উপস্থাপন করেন।

Advertisement

সেমিনারে বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও সংস্থার পদস্থ কর্মকর্তা, বিদেশি দূতাবাসের প্রতিনিধি, উচ্চপদস্থ সামরিক কর্মকর্তা, সাবেক কূটনীতিক, বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ও শিক্ষার্থী, আন্তর্জাতিক সংস্থার প্রতিনিধি এবং গণমাধ্যমের প্রতিনিধিরা অংশগ্রহণ করেন।

পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

বাংলাদেশ

মার্কিন প্রতিনিধি দলের ঢাকা সফর: ‘চমক’ নেই, অভিমত বিশ্লেষকদের

Published

on

সংগৃহীত ছবি

বাংলাদেশে আবারও আসছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিনিধিদল।  গত ৭ জানুয়ারি দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনের পর দ্বিতীয় বারের মতো বাইডেন সরকারের উচ্চ পর্যায়ের এই প্রতিনিধি দলটি আগামী ২১ এপ্রিল ঢাকায় আসছে।  মার্কিন দূতাবাস সূত্রে জানা গেছে, প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দেবেন যুক্তরাষ্ট্রেরর বাণিজ্য প্রতিনিধি কার্যালয়ের (ইউএসটিআর) দক্ষিণ ও মধ্য এশিয়াবিষয়ক সহকারী ব্রেন্ডান লিঞ্চ।  মার্কিন প্রতিনিধি দলের সফরকে ঘিরে নানা মহলে আলোচনা হলেও ‘নতুন ও গুরুত্বপূর্ণ’ কিছু দেখছে না ঢাকার কূটনৈতিক পাড়ার বাসিন্দা ও আন্তর্জাতিক বিশ্লেষকরা।

২১ এপ্রিল ঢাকা সফরে আসতে যাওয়া মার্কিন প্রতিনিধি দলের অন্য সদস্যদের নাম জানায়নি ডিপার্টমেন্ট অব স্টেট ও ঢাকাস্থ মার্কিন দূতাবাস।  এমনকি ঢাকা-ওয়াশিংটন এই বৈঠকে  বাংলাদেশে নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত পিটার ডি হাস উপস্থিত থাকবেন কিনা তাও জানায়নি।  বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব তপন কান্তি ঘোষ বাংলাদেশ প্রতিনিধি দলের নেতৃত্ব দেবেন।

মার্কিন প্রতিনিধি দলের ঢাকা সফরে দু’দেশের মধ্যে বাণিজ্য ও বিনিয়োগ সহযোগিতা ফোরাম চুক্তি (টিকফা) ছাড়াও শ্রম আইন সংস্কার, তথ্য আইনের সুরক্ষাসহ বিভিন্ন বিষয়ে আলোচনা হবে বলে বাণিজ্য মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে।

মার্কিন প্রতিনিধি দলের ঢাকা সফরের বিষয়টি এখন  কূটনৈতিক পাড়ার আলোচনার টেবিলে।  তবে তাদের সফরে ‘নতুনত্ব বা উল্লেখযোগ্য’ কিছু নেই বলে মনে করছেন সাবেক পররাষ্ট্র সচিব মো. তৌহিদ হোসেন।

বায়ান্ন টিভিকে তিনি বলেন, ‘এটি একটি রুটিন মাফিক আলোচনা। আগেই নির্ধারণ করা ছিলো। বাইডেন সরকারের নীতি অনুযায়ি যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশের সঙ্গে অংশীদারিত্বকে গুরুত্ব দেয়। একে আরও গভীর করতে চায়। জলবায়ু, নিরাপত্তাসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে দুই দেশের আরও নিবিড়ভাবে কাজ করার সুযোগ রয়েছে। তাই চলতি বছরে দুই দেশের মধ্যে একাধিক সফর ও বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে। এটিও একটি বৈঠক। এই বৈঠকের এজেন্ডা আগেই ঠিক করা আছে। তাই উল্লেখযোগ্য বা গুরুত্বপূর্ণ কিছু দেখছি না। ’

Advertisement

প্রায় একই মত প্রকাশ করেছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের সাবেক অধ্যাপক ড. ইমতিয়াজ আহমেদ। আন্তর্জাতিক এই বিশ্লেষক ও শিক্ষাবিদ বায়ান্ন টিভিকে বলেন, ‘প্রতিনিধি দলের সফরে ‘নতুনত্ব’ আছে বলে কিছু দেখছি না। এটি তাদের একটি ‘শিডিউল্ড সফর’।  তবে বাংলাদেশ ও যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিনিধি দলের বৈঠকের মাধ্যমে  টিকফাসহ শ্রম আইন সংস্কার, তথ্য আইনের সুরক্ষাসহ বিভিন্ন বিষয়ে দুই দেশের মধ্যকার দ্বিধা বা আপত্তি নিরসণ করে দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক উন্নয়নের সুযোগ রয়েছে।  বৈঠকে অমীমাংসিত বিষয়গুলোর ব্যাপারে যদি ইতিবাচক কোনো সিদ্ধান্ত গৃহীত হয় তবেই সফরকে আমরা ‘উল্লেখযোগ্য’ বলে মনে করতে পারি। ’

তবে দু’দেশের প্রতিনিধিদলের বৈঠকে এজেন্ডার বাইরে অন্যান্য বিষয়ও স্থান পেতে পারে বলে মনে করেন সাবেক রাষ্ট্রদূত ও সচিব এ কে এম আতিকুর রহমান।

মালয়েশিয়ায় নিযুক্ত বাংলাদেশের সাবেক এই হাইকমিশনার বায়ান্ন টিভিকে বলেন, ‘বিষয়বস্তু আগে ঠিক করা হলেও দু’দেশের প্রতিনিধি দলের বৈঠকে দ্বিপক্ষীয় অন্যান্য বিষয়ও স্থান পেতে পারে। গত ফেব্রুয়ারিতে পাঠানো জো বাইডেনের চিঠিতে বলা হয়েছে, সমৃদ্ধ, নিরাপদ ও গণতান্ত্রিক বাংলাদেশকে সমর্থন করে যুক্তরাষ্ট্র। এরই ধারাবাহিকতায় বৈঠকে ঢাকা-ওয়াশিংটন সম্পর্ক জোরদারের উপায়সহ অভিন্ন অগ্রাধিকার ও ভবিষ্যতে যৌথভাবে কাজ করার পথ নিয়ে আলোচনা হতে পারে। এছাড়া, অবাধ ও মুক্ত ইন্দো-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চল প্রতিষ্ঠার অভিন্ন স্বপ্ন পূরণে অংশীদারিত্ব প্রতিষ্ঠায় ঢাকার সঙ্গে কাজ করার বিষয়টিও বৈঠকে স্থান পেতে পারে।’

দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে গণতন্ত্র ও মানবাধিকার নিয়ে বাংলাদেশ ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে সম্পর্কের অবনতি হয় বলে অনেকে  মনে করে থাকেন।   আওয়ামী লীগ পুনরায় নির্বাচিত হয়ে সরকার গঠন করার পরও নির্বাচনের নিরপেক্ষতা ও সুষ্ঠুতা নিয়ে কয়েকবার নিজেদের অবস্থান পরিষ্কার করে যুক্তরাষ্ট্র।  তবে নির্বাচনের দু’মাসের মধ্যেই  মার্কিন প্রেসিডেন্ট বাইডেনের একটি চিঠি সব ঘুরিয়ে দেয়।  সেখানে বাংলাদেশের উন্নয়ন-অগ্রযাত্রায় সহযাত্রী হওয়ার প্রত্যাশা করা হয় যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষ থেকে। এরই অংশ হিসেবে চলতি বছরের গত ২৪ ফেব্রুয়ারি ঢাকায় সফরে আসে যুক্তরাষ্ট্রের উচ্চ পর্যায়ের একটি প্রতিনিধি দল।

ঢাকায় সফরে আসা ওই প্রতিনিধি দলের নেতৃত্ব দেন যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় নিরাপত্তা পরিষদের দক্ষিণ এশিয়া বিষয়ক জ্যেষ্ঠ পরিচালক রিয়ার অ্যাডমিরাল এইলিন লাউবেখ।  প্রতিনিধি দলে আরও ছিলেন যুক্তরাষ্ট্রের দক্ষিণ ও মধ্য এশিয়াবিষয়ক ডেপুটি অ্যাসিস্ট্যান্ট সেক্রেটারি আফরিন আক্তার এবং যুক্তরাষ্ট্রের আন্তর্জাতিক উন্নয়ন সংস্থার (ইউএসএআইডি) সহকারী প্রশাসক মাইকেল শিফার।

Advertisement

গত ২৫ ফেব্রুয়ারি বৈঠকের পর পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ সংবাদ সম্মেলনে বলেন, ‘যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিনিধি দলের সঙ্গে খোলামেলা আলোচনা হয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে সম্পর্ক কীভাবে নতুন উচ্চতায় নিয়ে যাওয়া যায় সে বিষয়ে আলোচনা হয়েছে। ‘

এছাড়া,  রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন ও পুনর্বাসন, মানবিক সহায়তা, প্রতিরক্ষা সহযোগিতা, ভারত ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় কৌশল, উন্নয়ন সহযোগিতা, সমুদ্রবিষয়ক নিরাপত্তা, আইন প্রয়োগকারী সংস্থাগুলোকে শক্তিশালীকরণ, নিরাপত্তাসহ দ্বিপক্ষীয় স্বার্থসংশ্লিষ্ট বিষয়গুলো আলোচনায় স্থান পেয়েছে বলেও পররাষ্ট্রমন্ত্রী জানান।

একারণে আসছে ২১ এপ্রিল মার্কিন প্রতিনিধি দলের সফরকেও ইতিবাচক দেখছে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র এক কর্মকর্তা বায়ান্ন টিভিকে বলেন, ‘গত ৭ জানুয়ারি দ্বাদশ জাতীয় নির্বাচনের পর অনেকেরই ধারণা ছিলো বাংলাদেশ ও যুক্তরাষ্ট্রের সম্পর্ক তলানিতে গিয়ে ঠেকেছে। মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের নিয়মিত সংবাদ ব্রিফিংয়ে বাংলাদেশের নির্বাচন ও গণতন্ত্র নিয়ে সমালোচনা করায় তাদের ওই ধারণা হয়।  তবে গত ফেব্রুয়ারিতে সরকারকে পাঠানো মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের চিঠিতে তাদের ধারণা পাল্টে যায়।  ওই চিঠিতে বাংলাদেশের উন্নয়নে সহযাত্রী হওয়ার আশাবাদ ব্যক্ত করা হয় বাইডেন প্রশাসনের পক্ষ থেকে। এরই ধারাবাহিকতায় নির্বাচনের পর দ্বিতীয় বার মার্কিন প্রতিনিধি দলের ঢাকা সফরকে বেশ গুরুত্বের সঙ্গে দেখছে সরকার।’

পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

জাতীয়

সড়কে শৃঙ্খলা জোরদারে নতুন সিদ্ধান্ত বিআরটিএ’র

Avatar of author

Published

on

সম্প্রতি ঘটে যাওয়া সব মর্মান্তিক সড়ক দুর্ঘটনার পর নড়েচড়ে বসেছে বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআরটিএ)। সড়ক দুর্ঘটনা রোধে ও সড়কে শৃঙ্খলা জোরদার করতে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করবে সংস্থাটি। নিয়মিতভাবে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা এবং ট্রাফিক পুলিশের অভিযান জোরদারের মাধ্যমে এসব অনিয়ম বন্ধ করে সড়ক দুর্ঘটনা কমানো সম্ভব বলে মনে করছে সংস্থাটি।

বৃহস্পতিবার (১৮ এপ্রিল) বিআরটিএর পরিচালক (রোড সেফটি) শেখ মোহাম্মদ মাহবুব-ই রাব্বানী স্বাক্ষরিত এক চিঠিতে অভিযান পরিচালনাসংক্রান্ত নির্দেশনা দেয়া হয়।

এতে বলা হয়েছে, অবৈধ নছিমন-করিমন, থ্রি-হুইলার, ফিটনেসবিহীন মোটরযান ও ড্রাইভিং লাইসেন্সবিহীন মোটরসাইকেল সড়ক-মহাসড়কে চলাচল, মোটরযানের অতিরিক্ত গতি এবং মালবাহী গাড়িতে যাত্রী বহন ইত্যাদি অনিয়মের কারণে সম্প্রতি সড়ক দুর্ঘটনা বেড়ে গেছে। নিয়মিতভাবে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা এবং ট্রাফিক পুলিশের অভিযান জোরদারের মাধ্যমে এসব অনিয়ম বন্ধ করে সড়ক দুর্ঘটনা কমানো সম্ভব।

এতে আরও বলা হয়েছে, সড়ক দুর্ঘটনা হ্রাসে বিআরটিএর সার্কেল অফিসের সহকারী পরিচালকেরা জেলা প্রশাসনের সঙ্গে যোগাযোগ করে প্রতিদিন ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযান চালাবেন। পরবর্তী নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত বিআরটিএর কর্মকর্তাদের অভিযান পরিচালনার জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশনা দেওয়া হল। পাশাপাশি বিআরটিএর বিভাগীয় পরিচালক ও উপপরিচালকরা এ কার্যক্রম তদারকি করবেন।

এএম/

Advertisement
পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

জাতীয়

জাতীয়9 mins ago

আজ যারা বন্ধু, কাল তারা বন্ধু থাকবেন এমন নয়: সেনাপ্রধান

‘মিয়ানমারের সামরিক বাহিনীর সঙ্গে সম্পর্ক নিয়ে যা করা প্রয়োজন, তা অবশ্যই করা হবে। তবে দেশটির সামরিক নেতাদের সঙ্গে সখ্য ঝুঁকিপূর্ণ।...

বাংলাদেশ2 hours ago

মার্কিন প্রতিনিধি দলের ঢাকা সফর: ‘চমক’ নেই, অভিমত বিশ্লেষকদের

বাংলাদেশে আবারও আসছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিনিধিদল।  গত ৭ জানুয়ারি দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনের পর দ্বিতীয় বারের মতো বাইডেন সরকারের উচ্চ পর্যায়ের...

জাতীয়3 hours ago

সড়কে শৃঙ্খলা জোরদারে নতুন সিদ্ধান্ত বিআরটিএ’র

সম্প্রতি ঘটে যাওয়া সব মর্মান্তিক সড়ক দুর্ঘটনার পর নড়েচড়ে বসেছে বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআরটিএ)। সড়ক দুর্ঘটনা রোধে ও সড়কে...

জাতীয়5 hours ago

আসছেন না ভারতের পররাষ্ট্র সচিব, যেকারণে স্থগিত হলো ঢাকা সফর

আসছে শনিবার (২০ এপ্রিল) ঢাকা সফরে আসছেন না ভারতের পররাষ্ট্র সচিব বিনয় মোহন কোয়াত্রা।  এক দিনের সফরে ঢাকায় এসে প্রধানমন্ত্রী...

জাতীয়5 hours ago

‘চিকিৎসক ও রোগীদের সুরক্ষায় আইন পাস করা হবে’

আমি যেমন চিকিৎসকদের সুরক্ষা নিশ্চিত করবো তেমনি রোগীদের সুরক্ষা নিশ্চিত করাও আমার দায়িত্ব। আমি চিকিৎসকেরও মন্ত্রী, রোগীদেরও মন্ত্রী। দুজনের সুরক্ষা...

অর্থনীতি7 hours ago

৫০ বছরে বাংলাদেশের সফলতা চোখে পড়ার মতো: রেহমান সোবহান

‘স্বাধীনতার পর ৫০ বছরে বাংলাদেশের সফলতা চোখে পড়ার মতো।এই সময়ে বাংলাদেশের বিভিন্ন খাতে আর্থ-সামাজিক উত্তরণ ঘটেছে।’ বললেন বেসরকারি গবেষণা সংস্থা...

বাংলাদেশ8 hours ago

নিজ বাহিনীতে ফিরে গেলেন খন্দকার আল মঈন

নিজ বাহিনী বাংলাদেশ নৌ বাহিনীতে ফিরে গেলেন র‍্যাবের আইন ও গণমাধ্যম শাখার পরিচালক কমান্ডার খন্দকার আল মঈন। এখনো মঈনের স্থলাভিষিক্ত...

আইন-বিচার8 hours ago

কুকি চিনের ৫৩ সদস্যের রিমান্ড মঞ্জুর

বান্দরবানের রুমা ও থানচি উপজেলায় ব্যাংক ডাকাতি, টাকা ও অস্ত্র লুটের ঘটনার করা মামলায় আটক কেএনএফের ৫৭ জনকে বান্দরবান চিফ...

অপরাধ11 hours ago

ধানের খলা দখল নিয়ে ২ পক্ষের সংঘর্ষে পুলিশসহ আহত অর্ধশতাধিক

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইলে আধিপত্য বিস্তার নিয়ে দুই পক্ষের মধ্যে ব্যাপক সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। সংঘর্ষে উভয় পক্ষের নারী, পুরুষ ও পুলিশসহ অর্ধশতাধিক...

জাতীয়13 hours ago

বাংলাদেশে দূতাবাস খুলবে গ্রিস : পররাষ্ট্রমন্ত্রী

গ্রিক পররাষ্ট্রমন্ত্রী জানিয়েছেন তার দেশ আরও ৬টি দেশে দূতাবাস খোলার নীতিগত সিদ্ধান্ত নিয়েছে তার মধ্যে বাংলাদেশ অন্যতম। জানালেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড....

Advertisement
জাতীয়9 mins ago

আজ যারা বন্ধু, কাল তারা বন্ধু থাকবেন এমন নয়: সেনাপ্রধান

বাংলাদেশ2 hours ago

মার্কিন প্রতিনিধি দলের ঢাকা সফর: ‘চমক’ নেই, অভিমত বিশ্লেষকদের

প্রবাস3 hours ago

বাংলাদেশ-আরব আমিরাতের কূটনৈতিক সম্পর্কের সুবর্ণজয়ন্তী

আন্তর্জাতিক3 hours ago

ভারতে ৫৪৩ আসনে ৭ দফায় ভোট, বিজেপির টার্গেট ৩৭০ আসন

ঢালিউড3 hours ago

পদপ্রার্থী নিপুণের অর্থ লেনদেনের অডিও ফাঁস

জাতীয়3 hours ago

সড়কে শৃঙ্খলা জোরদারে নতুন সিদ্ধান্ত বিআরটিএ’র

ঢাকা4 hours ago

গাড়ির ফিটনেস ও লাইসেন্স ছাড়া ঢোকা যাবে না ফরিদপুরে

ক্যাম্পাস4 hours ago

ফের পরীক্ষা বর্জনে বুয়েট শিক্ষার্থীরা

জাতীয়5 hours ago

আসছেন না ভারতের পররাষ্ট্র সচিব, যেকারণে স্থগিত হলো ঢাকা সফর

দেশজুড়ে5 hours ago

ট্রাকচাপায় ১৪ জন নিহতের ঘটনায় চালক-হেলপার কারাগারে

সৌদি-পতাকা
আন্তর্জাতিক2 days ago

ইরান-ইসরায়েল প্রসঙ্গে অবস্থান স্পষ্ট করলো সৌদি

ডাকসুর-সাবেক-ভিপি-নুরুল-হক
আইন-বিচার3 days ago

নুরের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি

আন্তর্জাতিক1 day ago

ইসরাইলে আবারও ক্ষেপণাস্ত্র হামলা

ইসলাম2 days ago

ঈদুল আযহার সম্ভাব্য তারিখ ঘোষণা

টুকিটাকি3 days ago

অপ্রাপ্তবয়স্ক ছাত্রকে যৌন নির্যাতন করলেন শিক্ষিকা

বাংলাদেশ5 days ago

ইসরাইল থেকে সরাসরি ঢাকায় বিমানের অবতরণ- যা জানা গেলো

ফায়ার-সার্ভিস
জাতীয়6 days ago

নিয়ন্ত্রণে এসেছে বাড্ডার আগুন

বাংলাদেশ3 days ago

সন্যাসী হতে ২০০ কোটি রুপির সম্পত্তি দান করলেন দম্পতি

আন্তর্জাতিক4 days ago

ইসরাইলে ইরানের হামলা: ভূমধ্যসাগরে ঢুকলো রাশিয়ার যুদ্ধজাহাজ

দেশজুড়ে5 days ago

যুবকের পায়ুপথ থেকে বের করা হলো ৬ ইঞ্চি ডাব

প্রধানমন্ত্রী-শেখ-হাসিনা
জাতীয়3 weeks ago

গায়ের চাদর না পুড়িয়ে বউদের ভারতীয় শাড়ি পোড়ান: প্রধানমন্ত্রী

ফুটবল4 weeks ago

ইংল্যান্ডকে হারিয়ে ব্রাজিল কোচ জানালেন এটা মাত্র শুরু

টুকিটাকি4 weeks ago

জিলাপির প্যাঁচে লুকিয়ে আছে যে রহস্য!

অর্থনীতি1 month ago

বাজারে লেবুর সরবরাহ বেশি, তবুও দাম চড়া

রেশমা
বাংলাদেশ1 month ago

রাজধানীতে অচেতন অবস্থায় উদ্ধার কিশোরীর ঠিকানা খুঁজছে পুলিশ

হলিউড1 month ago

নীল দুনিয়ায় অভিনেত্রী সোফিয়ার রহস্যজনক মৃত্যু

ফুটবল1 month ago

জামালকে ঠিকঠাক বেতন দেয়নি আর্জেন্টাইন ক্লাব

টুকিটাকি2 months ago

রণবীরের ‘অ্যানিম্যাল’ দেখে শখ, মাইনাস ২৫ ডিগ্রিতে বসলো বিয়ের আসর

অর্থনীতি2 months ago

গরুর মাংসের দাম কেজি প্রতি পৌনে ৬ লাখ টাকা!

অপরাধ2 months ago

ডিবিতে যে অভিযোগ দিলেন তিশার বাবা

সর্বাধিক পঠিত