বাংলাদেশ
যে সব দেশে সেনাবাহিনীতে যোগ দেয়া বাধ্যতামূলক
Published
2 years agoon
By
জাকির হোসাইনবেশির ভাগ সব দেশ গুলোতে স্ব-ইচ্ছায় যুবক-যুবতী সেনাবাহিনীতে যোগ দেন। আবার এমনও অনেক দেশ আছে যেখানে একজনের ইচ্ছার বিরুদ্ধেও তাকে পাঠানো হতে পারে সেনাবাহিনীতে। ইচ্ছার বিরুদ্ধে সেই দেশগুলির হাজার হাজার যুবক-যুবতীকে একপ্রকার জোর করেই ঠেলে দেয়া হয় সেনার কাজে।
উত্তর এবং দক্ষিণ কোরিয়া গেলো সাত দশক ধরে একে অপরের সাথে বিরোধিতা করে আসছে প্রায় সব ক্ষেত্রেই। উভয় দেশই বেশি শক্তিশালী হওয়ার দৌড়ে সামরিক শক্তি বাড়িয়েই চলেছে।
উত্তর কোরিয়া এক বিশেষ সামরিক নীতি মেনে চলে, যার নাম ‘সোঙ্গুন’। এই নীতি অনুযায়ী, দেশের মধ্যে থাকা সমস্ত সম্পদের উপর সেনাবাহিনীর অগ্রাধিকার রয়েছে। এই নিয়মের ব্যতিক্রম নন সেই দেশের বাসিন্দারাও। কারণ কিমের দেশ নাগরিকদেরও ‘দেশের সম্পদ’ বলেই মনে করে। মূলত ১৭-১৮ বছর বয়সি সে দেশের স্নাতকদের সেনাদলে যোগদান করানো হয়। আগে মহিলাদের স্বেচ্ছায় সেনাবাহিনীতে যোগদান করার নিয়ম থাকলেও ২০১৫-র পর থেকে মহিলাদেরও সেনাবাহিনীতে যোগদান বাধ্যতামূলক করা হয়। ২০০৩ সালে, পুরুষদের কমপক্ষে ১০ বছর এবং মহিলাদের কমপক্ষে সাত বছর সেনাবাহিনীতে পরিষেবা দেয়া বাধ্যতামূলক করা হয়। তবে তার আগে পুরুষদের জন্য এই সময়সীমা ছিল ১৩ বছর এবং মহিলাদের জন্য ১০ বছর।
দক্ষিণ কোরিয়াতেও পুরুষদের সেনায় যোগ দেয়া বাধ্যতামূলক। পুরুষদের ২১ মাস সেনাবাহিনীতে বা ২৩ মাস নৌবাহিনীতে বা ২৪ মাস বিমানবাহিনীতে যুক্ত থাকা বাধ্যতামূলক। তবে কেউ চাইলে বিকল্প হিসেবে পুলিশ ও দমকলেও যোগ দিতে পারেন। তবে সফল ক্রীড়াবিদরা এই দায় থেকে অব্যাহতি পেতে পারেন।
রাশিয়ায় সেনাবাহিনীতে যোগ দেয়ার নিয়ম বেশ কঠিন। সদ্য সেনাদলে যোগ দেয়া সদস্যদের প্রায়শই উচ্চপদস্থ কর্মকর্তাদের নির্যাতন সহ্য করতে হয় বলে অভিযোগ। সে দেশে এই প্রক্রিয়া ‘হ্যাজিং’ নামে পরিচিত। তবে রাশিয়া অন্য দেশের সাথে সামরিক সঙ্ঘাতের সময় প্রশিক্ষণ না-পাওয়া সৈন্যদের ব্যবহার করে বলেও দুর্নাম রয়েছে। ইউক্রেন এবং চেচনিয়ার সঙ্গে রাশিয়ার যুদ্ধ এর প্রকৃষ্ট উদাহরণ।
নিয়ম অনুযায়ী, রাশিয়ার ১৮ থেকে ২৭ বছর বয়সী পুরুষদের ১২ মাসের জন্য সেনায় যোগ দেয়া বাধ্যতামূলক। এই নির্দেশ অমান্য করলে জরিমানা বা কারাদণ্ডও হতে পারে।
ব্রাজিলের সংবিধান অনুযায়ী দেশের সমস্ত পুরুষের জন্য সেনাবাহিনীতে যোগ দেয়া আবশ্যক। সর্বনিম্ন ১২ মাসের জন্য সামরিকবাহিনীতে যুক্ত থাকতে হয় সে দেশের পুরুষদের। তবে কেউ চাইলে আট বছর পর্যন্ত নিজের ইচ্ছায় সেনায় যুক্ত থাকতে পারেন। ব্রাজিলে সাধারণত ১৮ বছর বয়স পেরোলেই যুবকদের সেনায় ভর্তি করানো হয়। বাহিনীতে যোগ দিতে অনিচ্ছুকদের ভোটাধিকার কেড়ে নেয়ারও আইন রয়েছে। তবে সেনাদলে যোগ দেয়ার এই নিয়ম থেকে অব্যাহতি দেয়া হয়েছে মহিলাদের।
১৯৪৯ সালের ইসরায়েলের নিরাপত্তা পরিসেবা আইন অনুযায়ী আরবের ইসরায়েলিরা ছাড়া বাকি সব ১৮ বছর বয়সি ইসরায়েলির সেনাবাহিনীতে যোগ দেয়া বাধ্যতামূলক। নিরাপত্তা বাহিনীতে যোগ দিতেই হবে ইহুদি, ড্রুজ বা সার্কাসিয়ান বংশোদ্ভূত ইসরায়েলিদের। পুরুষদের কমপক্ষে দু’বছর আট মাস এবং মহিলাদের দু’বছর সেনায় যুক্ত থাকার বিধি রয়েছে সে দেশে।
আরবের ইসরায়েলি ছাড়াও বিবাহিত এবং শারীরিক ও মানসিক ভাবে অসুস্থদের সেনাদলে যোগ দেওয়ার নিয়ম থেকে অব্যাহতি দেয়া হয়েছে। সমীক্ষা অনুযায়ী, ইজরায়েলি পুরুষদের একাংশ এই নিয়মের অবসান চান। তারা বরং স্বেচ্ছায় সেনাবাহিনীতে যোগ দেয়ার পক্ষে।
ইরানের সংবিধান অনুযায়ী, ১৮ বছর পেরোলেই সে দেশের যুবকদের দেড় থেকে দু’বছরের জন্য সেনাবাহিনীতে যোগ দিতেই হবে। তবে মহিলাদের জন্য নিরাপত্তা বাহিনীতে যোগ দেওয়া বাধ্যতামূলক নয়। এ ছাড়া শারীরিক অসুস্থতা থাকলেও এই নিয়ম থেকে মুক্তি পাওয়া যাবে। ১৮ বছরের যুবকদের বাবার বয়স ৬০ বছরের বেশি হলে তারাও এই নিয়ম থেকে অব্যাহতি পাবেন। সেনায় যোগ দেওয়ার নিয়ম না মানলে ওই যুবক ভয়ানক সাজার মুখোমুখি হতে পারেন।
এই বছরেরে শুরুতে ইরান সরকার নতুন নিয়ম আনার প্রস্তাব দেয়। সেখানে ১০ হাজার ডলারের পরিবর্তে ৩৫ বছরের বেশি বয়সি পুরুষরা সেনায় যোগ দেয়া থেকে ছাড় পেতে পারেন। তবে এই সিদ্ধান্ত নিয়ে ব্যাপক উত্তেজনা ছড়ানোয় এই সিদ্ধান্ত বাস্তবায়িত হয়নি। বিক্ষোভকারীদের দাবি ছিল, সরকারের এই সিদ্ধান্তের ফলে ধনীদের সুবিধা হবে।
কিউবাতে ১৭ থেকে ২৮ বছর বয়সি পুরুষদের দুই বছর দেশের সামরিকবাহিনীতে যোগ দেওয়া বাধ্যতামূলক। ১৬ বছর হলেই তাদের সে দেশের সেনাদলে নাম নথিভুক্ত করতে হয়। দুই বছর পরিসেবা দেয়ার পর পুরুষরা সেনাবাহিনী ছেড়ে চলে গেলেও তাদের সেনার অংশ হিসেবেই বিবেচনা করা হয়। ৪৫ বছর বয়স হওয়া পর্যন্ত দেশের স্বার্থে যখন খুশি আবারও সেনায় যোগ দেয়ার নির্দেশ দেয়া হতে পারে ওই ব্যক্তিদের। সেনাবাহিনীতে যোগ দিতে অস্বীকার করলে সেই ব্যক্তির কারাদণ্ড বা জরিমানাও হতে পারে। তবে মহিলাদের ক্ষেত্রে নিয়মটা একটু আলাদা। মহিলারা স্বেচ্ছায় দুই বছরের জন্য সেনা হিসেবে যোগ দিতে পারেন। তবে যোগ দিতেই হবে এমন বাধ্যবাধকতা নেই।
সুইজারল্যান্ডেও পুরুষদের নিরাপত্তা বাহিনীতে যোগ দেয়া বাধ্যতামূলক। সে দেশে পুরুষদের ২০ বছর বয়সের পর থেকে সেনায় যোগ দেওয়ার নিয়ম রয়েছে। দুই বছরের কিছু কম সময় পুরুষদের সেনাবাহিনীতে যুক্ত থাকা বাধ্যতামূলক। তবে মহিলারা যোগ দিতে পারেন নিজেদের ইচ্ছায়।
পুরুষদের অতি অবশ্যই সেনাদলে যোগ দেওয়ার এই নিয়ম বদলানোর জন্য ২০১৩ সালে সুইজারল্যান্ডে গণভোট হয়। তবে ৭৩ শতাংশ মানুষ পুরুষদের প্রতিরক্ষা বাহিনীতে আবশ্যিক ভাবে যোগ দেয়ার পক্ষেই ভোট দেন। এর আগেও দুই বার এই গণভোটের আয়োজন করা হয়েছিল। পুরুষদের জন্য নিয়ম তো পাল্টানো তো দূরে থাক, উল্টে ২০২৪ সালের মধ্যে মহিলাদেরও সামরিকবাহিনীতে যোগদান বাধ্যতামূলক করার চিন্তাভাবনা চলছে।
তুরস্কেও ২০ থেকে ৪১ বছর বয়সি পুরুষদের নিরাপত্তা বাহিনীতে যোগদান বাধ্যতামূলক। তবে ২০১৯ সালে সে দেশের আইনসভায় একটি নতুন আইন পাশ করে সেনাবাহিনীতে পরিষেবার সময়সীমা ১২ মাস থেকে কমিয়ে ছয় মাস করা হয়েছে। তবে কেউ চাইলে এর পরেও নিজের ইচ্ছায় সেনাবাহিনীতে থাকতে পারেন। তবে কেউ সেনাবাহিনীতে যোগ দিতে না চাইলে তার বিকল্পও রয়েছে। এক মাসের সামরিক প্রশিক্ষণের পর কেউ চাইলে পাঁচ হাজার ডলারের বিনিময়ে বাকি পাঁচ মাস সেনাবাহিনীতে কাজ করা এড়াতেও পারেন। তবে কেউ যদি উচ্চশিক্ষার জন্য সেনাবাহিনীতে দেরিতে যোগ দিতে চান, তা হলে তাকে সেই অনুমতি দেয়া হয়। প্রবাসী তুর্কিরাও সরকারকে নির্দিষ্ট অর্থপ্রদান করে সেনাদলে যোগ দেয়া থেকে অব্যাহতি পেতে পারেন।
২০১০ সালে সুইডেনে পুরুষদের আবশ্যিক ভাবে সেনাদলে যোগ দেয়ার নিয়ম বাতিল করা হলেও ২০১৭ সালে তা আবার ফিরিয়ে আনা হয়। তবে ২০১৪ সালে ক্রাইমিয়া রাশিয়ার দখলে যাওয়ার পর পরই সুইডেনে আবারও সেনাবাহিনীতে যোগ দেওয়া বাধ্যতামূলক করার বিষয়ে চিন্তাভাবনা শুরু হয়। তবে আগে শুধু পুরুষদেরই সেনাতে যোগ দেওয়া বাধ্যতামূলক থাকলেও ২০১৭ সালের পর পুরুষ এবং মহিলা উভয়ের জন্যই সেনাবাহিনীকে যোগ দেওয়া বাধ্যতামূলক করা হয়। সেনায় আবশ্যিক ভাবে যুক্ত থাকার সময়কাল ৯ থেকে ১২ মাস।
উত্তর-পূর্ব আফ্রিকার দেশ এরিট্রিয়া সেনায় নিয়োগের নিয়মের জন্য কুখ্যাত। মানবাধিকার কমিশনের মতে, এই দেশের অনেক বাসিন্দা তাদের পুরো জীবন অনিচ্ছা সত্ত্বেও সামরিক বাহিনীতে কাটিয়েছেন। ২০০৩ সালে সরকারের তরফে নির্দেশ দেওয়া হয়, স্কুলশিক্ষা শেষ করার আগে ছেলে এবং মেয়ে উভয়ের জন্যই সামরিক প্রশিক্ষণ নেওয়া বাধ্যতামূলক।
এরিট্রিয়ার এই আইন অনুযায়ী, কমপক্ষে ১৮ মাস সেনাবাহিনীতে যুক্ত থাকতেই হবে। তবে সে দেশের অনেক বাসিন্দাকেই আজীবন সেনায় কাজ করে যেতে হয়। রিপোর্ট অনুযায়ী, এই আইনের হাত থকে বাঁচতে ১৮ থেকে ২৪ বছর বয়সি অনেক যুবক-যুবতীই দেশ ছেড়ে পালিয়ে যান।
২০০০ সালে ইথিয়োপিয়ার সঙ্গে সীমান্তবর্তী যুদ্ধের সময় এরিট্রিয়ায় এই নিয়ম চালু করা হয়। কিন্তু ২০১৮ সালে ইথিয়োপিয়ার সাথে শান্তি চুক্তি স্বাক্ষরিত হওয়ার পরও এরিট্রিয়া সরকার এই আইনে কোনও বদল আনেনি।
অন্যরা যা পড়ছেন
-
দ্রুত ভিসা দেওয়ার নির্দেশনা ইতালি দূতাবাসের
-
খাটে পড়ে ছিলো প্রবাসীর মায়ের গলাকাটা মরদেহ
-
বাংলাদেশের জ্বালানি খাতে সৌদির বিশাল বিনিয়োগ
-
বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে শ্রমিক নিহত
-
যেকারণে যুক্তরাষ্ট্র সফর বাতিল করলেন ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী
-
মুক্তিযুদ্ধের হারানো গৌরব ফিরিয়ে এনেছে আওয়ামী লীগ সরকার : প্রধানমন্ত্রী
-
মালিবাগে নির্মাণাধীন ভবনের গর্তে ক্রেন, শ্রমিক নিহত
-
৮ জেলায় শক্তিশালী কালবৈশাখী ঝড় ও শিলাবৃষ্টির শঙ্কা
-
মেঘনায় ট্রলার ডুবি : আরও তিন মরদেহ উদ্ধার
জাতীয়
দূষণে বাংলাদেশে বছরে মারা যাচ্ছেন ২ লাখ ৭২ হাজার মানুষ
Published
14 mins agoon
মার্চ ২৮, ২০২৪দূষণ এবং পরিবেশগত স্বাস্থ্যঝুঁকির দিক দিয়ে তুলনামূলক বেশি ক্ষতি করছে দরিদ্র, পাঁচ বছরের কম শিশু, বয়স্ক এবং নারীদের। এছাড়াও প্রতিবছর বায়ুদূষণ, অনিরাপদ পানি, নিম্নমানের স্যানিটেশন ও হাইজিন এবং সীসা দূষণে অকালে প্রাণ হারাচ্ছেন ২ লাখ ৭২ হাজারের বেশি মানুষ। দূষণ এবং পরিবেশগত স্বাস্থ্যঝুঁকির দিক থেকে বাংলাদেশ উদ্বেগজনক অবস্থায় রয়েছে বলে জানিয়েছে বিশ্বব্যাংক।
বৃহস্পতিবার (২৮ মার্চ) বিশ্বব্যাংক প্রকাশিত দ্য বাংলাদেশ কান্ট্রি এনভায়রেন্টমেন্ট অ্যানালাইসিস (সিইএ) রিপোর্ট থেকে এসব তথ্য জানা গেছে।
রিপোর্টে বলা হয়েছে, বায়ুদূষণ, অনিরাপদ পানি, নিম্ন মানের স্বাস্থ্যব্যবস্থা ও স্বাস্থ্যবিধি এবং সীসা দূষণে বছরে দুই লাখ ৭২ হাজারের বেশি অকালমৃত্যু ঘটে। পরিবেশগত কারণে ২০১৯ সালে বাংলাদেশের জিডিপির ১৭ দশমিক ৬ শতাংশের মতো ক্ষতি হয়েছে। ঘরের ও বাইরের বায়ুদূষণে স্বাস্থ্যের ওপর সবচেয়ে ক্ষতিকর প্রভাব ফেলে। যা ৫৫ শতাংশ অকালমৃত্যুর জন্য দায়ী।
এ বিষয়ে বাংলাদেশ এবং ভুটানে নিযুক্ত বিশ্বব্যাংকের কান্ট্রি ডিরেক্টর আবদুলায়ে সেক গণমাধ্যমে বলেন, পরিবেশের ক্ষতি করে অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি হলে তা টেকসই হতে পারে না। শক্তিশালী প্রবৃদ্ধির গতিপথ টেকসই রাখতে এবং শহর ও গ্রামাঞ্চলের মানুষের জীবনমানের উন্নতি করতে বাংলাদেশ কোনোভাবেই পরিবেশকে উপেক্ষা করতে পারবে না। উচ্চ মধ্যম আয়ের দেশে উন্নীত হওয়ার লক্ষ্য অর্জনে পরিবেশের ক্ষয় রোধ এবং জলবায়ু সহিষ্ণুতা নিশ্চিত করা খুবই গুরুত্বপূর্ণ।
সিইএ রিপোর্টে আরও বলা হয়, পরিবেশ দূষণ শিশুদের ওপর মারাত্মক প্রভাব ফেলছে। সীসা বিষক্রিয়া শিশুদের মস্তিকের বিকাশে অপরিবর্তনীয় ক্ষতি করছে। এর ফলে বছরে প্রাক্কলিত আইকিউ ক্ষতি হচ্ছে প্রায় ২০ মিলিয়ন পয়েন্ট। গৃহস্থালিতে কঠিন জ্বালানির মাধ্যমে রান্না বায়ুদূষণের অন্যতম উৎস এবং তা নারী ও শিশুদের বেশি ক্ষতি করছে। শিল্পের বর্জ্য এবং অনিয়ন্ত্রিত প্লাস্টিকসহ বিভিন্ন বর্জ্য এবং অন্যান্য উৎস থেকে আসা অপরিশোধিত ময়লাযুক্ত পানির কারণে বাংলাদেশের নদীগুলোর পানির গুণগত মানের মারাত্মক অবনতি ঘটেছে।
এতে বলা হয়, বায়ুদূষণ নিয়ন্ত্রণে সময়মতো এবং জরুরি হস্তক্ষেপ, উন্নত পানি, স্যানিটেশন ও হাইজিন (ওয়াশ) এবং সীসা দূষণ নিয়ন্ত্রণ প্রতি বছর ১ লাখ ৩৩ হাজারের বেশি অকালমৃত্যু ঠেকাতে পারে। সবুজ বিদ্যুৎ উৎপাদনে বিনিয়োগ, রান্নায় সবুজ জ্বালানি ব্যবহার এবং শিল্প-কারখানা থেকে দূষণ রোধে কঠোর নিয়ন্ত্রণ বায়ু দূষণ কমাতে পারে।
বিশ্বব্যাংকের সিনিয়র পরিবেশ বিশেষজ্ঞ এবং এই প্রতিবেদনের সহ-লেখক আনা লুইসা গোমেজ লিমা বলেন, সময়মতো এবং সঠিক নীতি ও কার্যক্রমের মাধ্যমে বাংলাদেশ পরিবেশ দূষণের ধারা পাল্টে ফেলতে পারে। পরিবেশ সুরক্ষা জোরদারে পদক্ষেপ এবং রান্নায় সবুজ জ্বালানির জন্য বিনিয়োগ ও অন্যান্য প্রণোদনা, সবুজ অর্থায়ন বাড়ানো, কার্যকর কার্বন মার্কেট প্রতিষ্ঠা এবং সচেতনতা বাড়ানো দূষণ কমাতে পারে এবং এর ফলে সবুজ প্রবৃদ্ধি অর্জন হতে পারে।
তিনি আরও বলেন, পরিবেশগত ব্যবস্থাপনার জন্য সুশাসন জোরদার ও প্রাতিষ্ঠানিক সক্ষমতা বাড়াতে এই রিপোর্টে পরিবেশগত অগ্রাধিকারসমূহ চিহ্নিত করা হয়েছে, বিভিন্ন পদক্ষেপের মূল্যায়ন এবং প্রয়োজনীয় সুপারিশ করা হয়েছে। সাক্ষ্য-প্রমাণের ভিত্তিতে অগ্রাধিকার নির্ধারণ, পরিবেশ নীতি পদ্ধতিগুলোর বৈচিত্রাকরণ ও জোরদারকরণ, সাংগঠনিক কাঠামো এবং প্রাতিষ্ঠানিক সক্ষমতা জোরদারকরণ এবং সবুজ অর্থায়নের জন্য সহায়ক পরিবেশ সৃষ্টির মাধ্যমে বাংলাদেশ এর পরিবেশকে রক্ষা করতে পারে।
এএম
কেনাকাটায় কয়েকশ কোটি টাকা অনিয়মের অভিযোগে রাজশাহী পশ্চিমাঞ্চল রেলওয়ের জিএম কার্যালয়ে অভিযান চালিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন। সাম্প্রতিক বছরগুলোতে পশ্চিমাঞ্চল রেলওয়ের কেনাকাটায় কয়েকশ কোটি টাকা অনিয়মের অভিযোগ উঠে। পরে বিষয়টি নিয়ে অডিটে আপত্তিতে উঠে আসে। সেই অভিযোগ ও অডিট আপত্তির প্রেক্ষিতে দুদকের প্রধান কার্যালয়ের নির্দেশে জেলা কার্যালয় অভিযান শুরু করে সংস্থাটি।
বৃহস্পতিবার (২৮ মার্চ) দুদকের জেলা সমন্বিত কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক আমির হোসাইনের নেতৃত্বে পাঁচ জনের একটি দল প্রায় ঘণ্টাব্যাপী এ অভিযান চালায়।
দুদকের রাজশাহী জেলা সমন্বিত কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক আমির হোসাইন জানান, গত ২০১৮-২০১৯ অর্থবছরে বিভিন্ন মালামাল ক্রয় সংক্রান্ত কেনাকাটার অভিযোগের প্রেক্ষিতে এ অভিযান চালানো হয়। আমরা রেল ভবনের জিএম-এর দপ্তর থেকে রেকর্ডপত্র ও গুরুত্বপূর্ণ কাগজপত্র সংগ্রহ করেছি। পরবর্তীতে রেকর্ডপত্র পর্যালোচনা করে কমিশনে অবহিত করবো।
রেলওয়ের পশ্চিমাঞ্চলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক জানান, কেনা-কাটার ক্ষেত্রে নিয়ম বহির্ভূত কিছু হয়েছে কিনা দুদক সে তদন্তে এসেছে। আমরা তাদের চাহিদা মত কাগজপত্র দিয়েছি।
এএম/
জাতীয়
কুড়িগ্রামে বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল পরিদর্শন করলেন ভুটানের রাজা
Published
2 hours agoon
মার্চ ২৮, ২০২৪ভুটানের রাজা জিগমে খেসার নামগিয়েল ওয়াংচুক কুড়িগ্রাম ধরলা সেতুর পূর্ব প্রান্তে ভোগডাঙ্গা ইউনিয়নের মাধবরাম এলাকা পরিদর্শন করেন।
বৃহস্পতিবার (২৮ মার্চ) দুপুরে ভুটানিজ বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলের জন্য নির্ধারিত স্থান পরিদর্শন করেন তিনি। পরে তিনি সড়ক পথে জেলার ভুরুঙ্গামারী উপজেলার সোনাহাট স্থলবন্দর দিয়ে ভারত হয়ে ভুটানের উদ্দেশ্যে বাংলাদেশ ত্যাগ করেন ।
ভুটানের রাজা ১৪ সদস্যের সফর সঙ্গী নিয়ে সকালে সৈয়দপুর বিমান বন্দরে অবতরণ করেন। পরে সড়ক পথে দুপুর পৌনে ১২টায় কুড়িগ্রাম সার্কিট হাউজে পৌঁছেন। সেখানে মধ্যাহ্ন ভোজ শেষে দুপুর দেড়টায় অর্থনৈতিক অঞ্চলের নির্ধারিত স্থান পরিদর্শন করেন।
এ সময় তথ্যমন্ত্রী এম,এ আরাফাত, নৌ পরিবহণ প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরি, সংসদ সদস্য ডা. হামিদুল হক খন্দকার, সংসদ সদস্য বিপ্লব হাসান পলাশ, বেজার নির্বাহী চেয়ারম্যান শেখ ইউসুফ হারুন, জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ সাইদুল আরীফ ও পুলিশ সুপার আল আসাদ মো. মাহফুজুল ইসলাম উপস্থিত ছিলেন। এদিকে ভুটানের রাজার কুড়িগ্রাম সফরের বিষয়টি ইতিবাচক হিসেবে দেখছেন স্থানীয় ও ব্যবসায়ীরা।
উল্লেখ্য, আর ভুটানের রাজার আগমনকে ঘিরে কঠোর নিরাপত্তাসহ সকল প্রকার প্রস্তুতি গ্রহণ করেন স্থানীয় প্রশাসন। ধরলা নদীর পূর্ব পাড়ে ২১৯ একর জমির উপর গড়ে তোলা হবে জিটুজি ভিত্তিতে এ বিশেষায়িত অর্থনৈতিক অঞ্চল। ২০১৫ সালে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কুড়িগ্রাম সরকারি কলেজ মাঠে এক জনসভায় এ জেলায় একটি অর্থনৈতিক অঞ্চল প্রতিষ্ঠার ঘোষণা দেন। ভুটানের রাজার ৪ দিনের ঢাকা সফরের দ্বিতীয় দিন ২৫ মার্চ সোমবার ঢাকায় কুড়িগ্রামে ভুটানিজ বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে বাংলাদেশ ও ভুটান সরকারের মধ্যে একটি সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরিত হয়।
এএম/
জাতীয়
দূষণে বাংলাদেশে বছরে মারা যাচ্ছেন ২ লাখ ৭২ হাজার মানুষ
দূষণ এবং পরিবেশগত স্বাস্থ্যঝুঁকির দিক দিয়ে তুলনামূলক বেশি ক্ষতি করছে দরিদ্র, পাঁচ বছরের কম শিশু, বয়স্ক এবং নারীদের। এছাড়াও প্রতিবছর...
রেলওয়ের কার্যালয়ে দুদকের অভিযান
কেনাকাটায় কয়েকশ কোটি টাকা অনিয়মের অভিযোগে রাজশাহী পশ্চিমাঞ্চল রেলওয়ের জিএম কার্যালয়ে অভিযান চালিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন। সাম্প্রতিক বছরগুলোতে পশ্চিমাঞ্চল রেলওয়ের...
কুড়িগ্রামে বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল পরিদর্শন করলেন ভুটানের রাজা
ভুটানের রাজা জিগমে খেসার নামগিয়েল ওয়াংচুক কুড়িগ্রাম ধরলা সেতুর পূর্ব প্রান্তে ভোগডাঙ্গা ইউনিয়নের মাধবরাম এলাকা পরিদর্শন করেন। বৃহস্পতিবার (২৮ মার্চ)...
কারওয়ান বাজার স্থানান্তরের প্রক্রিয়া শুরু
রাজধানীর সবচেয়ে বড় কাঁচামালের আড়ৎ কারওয়ান বাজার স্থানান্তর প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। কারওয়ান বাজারের কোনো দোকানই থাকছে না। শহরকে যানজটমুক্ত করার...
ড. ইউনূস দেশে ফিরলে আসল কাহিনী জানা যাবে : ব্যারিস্টার মামুন
শ্রমিক ঠকানোর মামলায় সাজাপ্রাপ্ত ড. মুহম্মদ ইউনূসের সম্প্রতি পুরস্কারকাণ্ড নিয়ে সমালোচনার ঝড় বইছে। বিষয়টি নিয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেছেন তারি...
শিশু ক্রয়ের অর্ডার নিয়ে অপহরণ করতো তারা
রাজধানী ঢাকার হাজারীবাগ থেকে আড়াই বছর বয়সী এক শিশু অপহরণের ঘটনায় স্বামী-স্ত্রীর একটি অপহরণ চক্রকে গ্রেপ্তার করেছে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা...
চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় তৎপর হতে হবে: প্রধানমন্ত্রী
এলডিসির চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় তৎপর হওয়ার নির্দেশনা দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সেই সঙ্গে কী কী সুবিধা পাওয়া যাবে, সেই বিষয়েও নির্দেশনা...
জিম্মি জাহাজ মুক্ত করার বিষয়ে যা জানালেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী
আমরা যোগাযোগের মধ্যে আছি। নাবিকদের রিলিজ করার জন্য আমরা নানামুখী তৎপরতা চালাচ্ছি। আমাদের উদ্দেশ্য হচ্ছে, নাবিকদের আনহার্ট (কোনো ক্ষতি যেন...
বাংলাদেশে মুক্ত গণতন্ত্র বাস্তবায়নে মার্কিন প্রচেষ্টা অব্যাহত থাকবে: মিলার
আমরা বাংলাদেশে একটি অবাধ এবং সুষ্ঠু নির্বাচন দেখতে চেয়েছিলাম। বাংলাদেশে অবাধ, পূর্ণাঙ্গ এবং মুক্ত গণতন্ত্র বাস্তবায়নে আমাদের প্রচেষ্টা অব্যাহত থাকবে।...
মাদকবিরোধী অভিযানে গ্রেপ্তার ৩৪
রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় মাদকবিরোধী অভিযান পরিচালনা করেছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) বিভিন্ন অপরাধ ও গোয়েন্দা বিভাগ। অভিযানে মাদক বিক্রি ও...
আবারও গুলি ও মর্টার গোলার শব্দে কাঁপছে টেকনাফ
দূষণে বাংলাদেশে বছরে মারা যাচ্ছেন ২ লাখ ৭২ হাজার মানুষ
পরীক্ষায় উত্তরপত্র দেখায়নি, হল থেকে বেরতেই কোপালো সহপাঠীরা!
প্রথম বাংলাদেশি হিসেবে আইসিসির এলিট প্যানেলে আম্পায়ার সৈকত
রেলওয়ের কার্যালয়ে দুদকের অভিযান
বিশ্বজুড়ে প্রতিদিন নষ্ট হয় ১০০ কোটি মানুষের খাবার
কুড়িগ্রামে বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল পরিদর্শন করলেন ভুটানের রাজা
ঢাবির সব ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষার ফল প্রকাশ
টাকার বিছানায় ঘুমান এই নেতা!
ইন্টার্ন চিকিৎসকদের কর্মবিরতি প্রত্যাহার
প্রেমের টানে মামিকে নিয়ে পালালেন ভাগ্নে
জিম্মি বাংলাদেশি জাহাজে থাকা জলদস্যুদের ঘিরে ফেলা হচ্ছে
মাস্টারমাইন্ড স্কুলের ছাত্র অপহরণ: চাঞ্চল্যকর তথ্য পেয়েছেন গোয়েন্দারা
জিম্মি বাংলাদেশি জাহাজে অভিযানের পক্ষে নয় মালিকপক্ষ
৮ জেলায় শক্তিশালী কালবৈশাখী ঝড় ও শিলাবৃষ্টির শঙ্কা
গাজায় যুদ্ধবিরতিতে যুক্তরাষ্ট্রের প্রস্তাব আটকে দিল চীন-রাশিয়া
বিশ্বের বৃহত্তম উড়োজাহাজ ‘উইন্ডরানার’ওড়ার অপেক্ষায়
গায়ের চামড়া কেটে মায়ের জন্য জুতা বানালেন ছেলে
যেকারণে যুক্তরাষ্ট্র সফর বাতিল করলেন ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী
প্রথম ওভারেই ২ উইকেট পেলেন মোস্তাফিজ
গায়ের চাদর না পুড়িয়ে বউদের ভারতীয় শাড়ি পোড়ান: প্রধানমন্ত্রী
ইংল্যান্ডকে হারিয়ে ব্রাজিল কোচ জানালেন এটা মাত্র শুরু
জিলাপির প্যাঁচে লুকিয়ে আছে যে রহস্য!
বাজারে লেবুর সরবরাহ বেশি, তবুও দাম চড়া
রাজধানীতে অচেতন অবস্থায় উদ্ধার কিশোরীর ঠিকানা খুঁজছে পুলিশ
নীল দুনিয়ায় অভিনেত্রী সোফিয়ার রহস্যজনক মৃত্যু
জামালকে ঠিকঠাক বেতন দেয়নি আর্জেন্টাইন ক্লাব
রণবীরের ‘অ্যানিম্যাল’ দেখে শখ, মাইনাস ২৫ ডিগ্রিতে বসলো বিয়ের আসর
গরুর মাংসের দাম কেজি প্রতি পৌনে ৬ লাখ টাকা!
ডিবিতে যে অভিযোগ দিলেন তিশার বাবা
সর্বাধিক পঠিত
-
ঢাকা7 days ago
প্রেমের টানে মামিকে নিয়ে পালালেন ভাগ্নে
-
বাংলাদেশ5 days ago
জিম্মি বাংলাদেশি জাহাজে থাকা জলদস্যুদের ঘিরে ফেলা হচ্ছে
-
বাংলাদেশ4 days ago
মাস্টারমাইন্ড স্কুলের ছাত্র অপহরণ: চাঞ্চল্যকর তথ্য পেয়েছেন গোয়েন্দারা
-
জাতীয়3 days ago
জিম্মি বাংলাদেশি জাহাজে অভিযানের পক্ষে নয় মালিকপক্ষ
-
বাংলাদেশ4 days ago
৮ জেলায় শক্তিশালী কালবৈশাখী ঝড় ও শিলাবৃষ্টির শঙ্কা
-
আন্তর্জাতিক6 days ago
গাজায় যুদ্ধবিরতিতে যুক্তরাষ্ট্রের প্রস্তাব আটকে দিল চীন-রাশিয়া
-
আন্তর্জাতিক5 days ago
বিশ্বের বৃহত্তম উড়োজাহাজ ‘উইন্ডরানার’ওড়ার অপেক্ষায়
-
আন্তর্জাতিক6 days ago
গায়ের চামড়া কেটে মায়ের জন্য জুতা বানালেন ছেলে