নারী ও শিশু
বাংলাদেশে নারী নির্যাতনের মিথ্যা মামলা কতটা হয়
Published
4 years agoon
বাংলাদেশে নারী নির্যাতনের প্রচুর মিথ্যা মামলা হয় বলে অভিযোগ রয়েছে।
টেলিফোনে কথা হচ্ছিলো তিরিশের শেষের কোঠায় বয়স এমন একজন ব্যক্তির সাথে। কয়েক বছর আগের ঘটনা বলছিলেন তিনি।
প্রেম করে বিয়ে করেছিলেন। শ্বশুর বাড়ির লোকজন বেশ কিছুদিন পর সে বিয়ে মেনেও নিয়েছিলো।
কিন্তু কিছুদিন পর স্ত্রীর পরিবারের এক আত্মীয়র সাথে জমিজমা নিয়ে বিবাদে জড়িয়ে পরেন।
আর সেটি হয়ে ওঠে পুরো পরিবারের সাথে বিবাদ। এমনকি স্ত্রীর সাথেও শুরু হয় সমস্যা।
তিনি বলছিলেন, "তারা আমার বিরুদ্ধে যৌতুকের মামলা করেছিলো। সেই মামলায় আমি একমাস কাস্টডিতে ছিলাম। সেই মামলায় আমি অব্যাহতি পাই। এরপর তারা আবার মামলা করে নারী নির্যাতনের। সেটি তদন্তের পর আদালত আমাকে খালাস দেয়। আদালতে মামলা মিথ্যা বলে প্রমাণিত হয়।"
নারী নির্যাতনের মামলা কিছুদিন চলার পর আদালত থেকে নির্দোষ প্রমাণিত হয়ে খালাসও পেয়েছেন এই ব্যক্তি।
তার অনুরোধে আমরা তার নাম পরিচয় গোপন রাখছি। তবে নতুন জীবনে ফিরতে অনেক সময় লেগে গেছে তার।
আদালত পাড়ায় এমন বেশ কিছু ঘটনা জানা গেলো।
স্ত্রী নির্যাতনের মিথ্যা মামলার শিকার হয়ে পরে উল্টো উচ্চ আদালতে মামলা করে জয়ী হওয়ার ঘটনাও রয়েছে।
জামিন কঠিন হওয়ায় অনেকে আইন অপব্যবহার করেন।
ছবির উৎস,ALLISON JOYCE
ছবির ক্যাপশান,
জামিন কঠিন হওয়ায় অনেকে আইন অপব্যবহার করেন।
প্রচুর মামলা, মিথ্যে অভিযোগ
বাংলাদেশে নারী নির্যাতনের প্রচুর মিথ্যা মামলা হয় বলে অভিযোগ রয়েছে।
বাংলাদেশে পুলিশ বলছে নারী নির্যাতনের মামলার আশি শতাংশরই কোন প্রমাণ মেলেনা।
পুলিশের মুখপাত্র সহকারী মহাপরিদর্শক সহেলী ফেরদৌস বলছেন নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনের মামলায় জামিন পাওয়া সহজ নয় বলে অনেকে এর অপব্যবহার করছেন।
তিনি বলছেন, "যারা ফ্যব্রিকেটেড মামলা দেন তাদের জন্য নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে একটা বড় সুবিধা হল যে এই আইনে জামিন পেতে বেগ পেতে হয়। আগে আইনটি জামিন অযোগ্য ছিল।এখন কিছু ক্ষেত্রে জামিন পাওয়া যায়। মামলার তদন্ত শেষ না হওয়া পর্যন্ত অনেক ক্ষেত্রে আসামিকে জেলে থাকতে হয় না হয় অনেকে পালিয়ে থাকে। জামিন কঠিন হওয়ায় অনেকে এটি অপব্যবহার করেন। খুব দ্রুততম সময় এই মামলায় হয়রানি করার একটা সুযোগ রয়েছে।"
তিনি আরো বলছেন, "এর মামলা খুব দ্রুত গতিতে সম্পন্ন করতে হয়। ৯০ দিনের মধ্যে। এ জন্য মামলার সংখ্যা বেড়ে যায়। মামলা করার পর প্রতিপক্ষ যে একটা চাপে থাকে, হেনস্তা হয় সে কারণে যাদের সাথে বিবাদ তারা হয়ত আপোষ করে ফেলে।"
সহেলী ফেরদৌস বলছেন, বাংলাদেশে জমিজমা সংক্রান্ত মামলাই সবচাইতে বেশি হয়ে থাকে।
জমিজমার মামলা সময় সাপেক্ষ হয়। প্রতিপক্ষকে শায়েস্তা করার হাতিয়ার হিসেবেও অনেক সময় নারী নির্যাতনের মামলা জুড়ে দেয়া হচ্ছে, বলছিলেন পুলিশের এই কর্মকর্তা।
বাংলাদেশে পুলিশের দেয়া হিসেবে ২০১৭ সালে দেশব্যাপী ১৫ হাজারের কিছু বেশি নারী নির্যাতনের মামলা হয়েছে।
বহু মামলা বিচার পর্যন্ত গড়ায়না।
ছবির উৎস,NURPHOTO
ছবির ক্যাপশান,
বহু মামলা বিচার পর্যন্ত গড়ায়না।
যারমধ্যে প্রায় চার হাজার মামলার ক্ষেত্রে পুলিশ তদন্তে ঘটনার কোন প্রমাণ পায়নি বলে মামলা বিচার পর্যন্ত গড়ায়নি।
অথবা ঘটনা মিটমাট হয়ে গেছে বলে মামলা তুলে নেয়া হয়েছে।
পুলিশ বলছে প্রচুর মামলা রয়েছে যাতে পরিবারের একজন দোষী হলেও পুরো পরিবারকে জড়ানো হয়েছে।
'আইনজীবীরাই মন্ত্রণাদাতা'
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অপরাধ বিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষক খন্দকার ফারজানা রহমান বলছেন এমন মামলা মূলত হচ্ছে নানা জনের বুদ্ধিতে।
তবে আইনজীবীরাই অনেকক্ষেত্রে মন্ত্রণাদাতা বলছিলেন তিনি।
তিনি বলছেন, "মন্ত্রণাদাতা প্রথমত হচ্ছে পরিবারের মানুষজন। পরিবারের আত্মীয়-স্বজন। কিন্তু এখানে একটা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে উকিল। মানুষ যখন মামলা করে শুরুতেই কিন্তু একজন উকিলের কাছেই যায়। অনেক সময় উকিলের কথায়ও এমন মামলা হয়।"
বাংলাদেশে পুলিশের হিসেবে ২০১৭ সালে প্রায় সাড়ে আট হাজার নারী নির্যাতনের মামলার রায় হয়েছে।
মাত্র সাড়ে পাঁচশ সাতাশটি মামলায় অভিযুক্তর সাজা হয়েছে। আর বাদবাকি সবগুলোতে অভিযুক্ত খালাস পেয়েছেন।
কিন্তু তার অর্থ কি এত বিপুল পরিমাণে নারী নির্যাতনের মামলার সবগুলোই মিথ্যা মামলা?
আইনমন্ত্রী বলছেন যৌতুকের মিথ্যা মামলা করলে সাজার প্রস্তাব নিয়ে আইন আসছে।
ছবির উৎস,BBC BANGLA
ছবির ক্যাপশান,
আইনমন্ত্রী বলছেন যৌতুকের মিথ্যা মামলা করলে সাজার প্রস্তাব নিয়ে আইন আসছে।
মানবাধিকার সংগঠন আইন ও সালিশ কেন্দ্রের সহকারী পরিচালকদের একজন নীনা গোস্বামী বলছেন বিচার চলাকালীন সময় নানা সংস্থার কার্যক্রম, বিচার ব্যবস্থার দীর্ঘসূত্রিতা ও অন্যান্য দুর্বলতার কারণে মামলার অভিযোগ প্রমাণ করা কঠিন হয়ে পড়ে।
তিনি বলছেন তার অর্থ এই নয় যে মামলাগুলোই মিথ্যে।
তিনি বলছেন, "আমাদের অভিজ্ঞতা একে বারেই আলাদা। নারীরা সহজে মামলাটা করতেই চায়না। সেই মামলা বিভিন্ন পারিপার্শ্বিক কারণে যদি প্রমাণিত না হয় তার মানে এর অর্থ এই না যে এটি মিথ্যা মামলা।"
তিনি বলছেন, "অনেক সময় সাক্ষী অভাব থাকতে পারে, তদন্তে ত্রুটি থাকতে পারে, হয়ত ঠিকমতো আলামত সংগ্রহ হল না এসব ত্রুটি বিচ্যুতির দায়তো নারীর না। নির্যাতিত নারীর জন্য ধীরে ধীরে কিন্তু বিচার পাওয়ার যায়গাটুকু সংকুচিত হয়ে যায়। মামলা ফাইল হওয়ার পর বিচার পাওয়া পর্যন্ত যেতে একটা দীর্ঘসূত্রিতা আমাদের দেশে আছেই। এসব পারিপার্শ্বিক কারণে আমরা দেখি যে মামলা প্রায়ই প্রমাণিত হয়না"
কিন্তু তাহলে আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীগুলোর হিসেব এমন কেন?
অন্যদিকে বিচারকদের সভায়ও নানা সময় নারী নির্যাতন সম্পর্কিত অসংখ্য মামলা নিষ্পত্তি না হওয়ার প্রধান কারণ হিসেবে এগুলোর সত্যতা নিয়ে প্রশ্ন তোলা হয়েছে।
আর সম্প্রতি বাংলাদেশে যৌতুক নিয়ে মিথ্যা মামলা নিয়ে জাতীয় সংসদে নতুন একটি আইনের খসড়া উত্থাপন করা হয়েছে।
মিথ্যে মামলা সম্পর্কে মানবাধিকার কর্মীরা দ্বিমত পোষণ করছেন
ছবির উৎস,MUNIR UZ ZAMAN
ছবির ক্যাপশান,
মিথ্যে মামলা সম্পর্কে মানবাধিকার কর্মীরা দ্বিমত পোষণ করছেন
যা কিছুদিন আগে মন্ত্রীসভায় অনুমোদন পেয়েছে।
প্রস্তাবিত আইনে এমন মিথ্যে মামলা করল পাঁচ বছরের জেল ও ৫০ হাজার টাকা জরিমানার বিধান প্রস্তাব করা হয়েছে।
সরকার এমন আইনের কেন প্রয়োজন বলে মনে করছে?
জিজ্ঞেস করেছিলাম বাংলাদেশের আইনমন্ত্রী আনিসুল হকের কাছে।
তিনি বলছেন, "এই আইনগুলি করার পরে একটা জিনিস যা দেখা যাচ্ছে যে এই আইনগুলির কিছু অপব্যবহার করা হয়। যেমন ধরুন স্বামীর সাথে বিরোধ। তখন শ্বশুর শাশুড়ি দেওর ননদ তাদেরকে জড়িয়ে মামলা করা হচ্ছে। এমনও দেখা গেছে তারা কিছুই জানে না। এসব বিবেচনায় রেখে আমরা মনে করছি যে এমন কিছু দরকার তাই বিশেষ আইনি যৌতুকের মিথ্যা মামলার বিষয়টি সংযুক্ত করতে চাচ্ছি।"
তার কাছে জিজ্ঞেস করেছিলাম এমন মামলার কোন সঠিক হিসেব রয়েছে কিনা।
তিনি বলছেন, "আমি এটুকু বলতে পারি এটার সংখ্যা যে মারাত্মক তা না কিন্তু এটার একটা সংখ্যা আছে। আমরা চাচ্ছি সব পক্ষই যেন ন্যায্য বিচার পায়"
অন্যদিকে মানবাধিকার কর্মী নীনা গোস্বামী বলছেন, "এমন আইন হলে আগে যাও কিছু নারী মামলা করে সাহসিকতার পরিচয় দিতেন এখন তারা আর তাও করতে চাইবেন না। কারণ বিচার চাইতে হলে নারীকেই কাঠগড়ায় দাড়াতে হবে।"
মিথ্যে মামলার ধারনা সম্পর্কে মানবাধিকার কর্মীরা যে দ্বিমত পোষণ করছেন সে সম্পর্কে জানতে চাইলে আইনমন্ত্রী বলেন সাক্ষীর উপস্থিতি নিশ্চিত করা, তদন্ত কর্মকর্তা বারবার বদলী হয়ে গেলেও তার সঙ্গে যোগাযোগের সহজ ব্যবস্থা করা, আর আইনি প্রক্রিয়া দ্রুত করার জন্য নানা ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে।
কিন্তু বাংলাদেশে তবুও নারী নির্যাতনের মামলার অপব্যবহারের অভিযোগ যেমন রয়ে যাচ্ছে।
তেমনি এমন নির্যাতনের বিচার নারীরা পাচ্ছেন না তার অভিযোগও সমান পরিমাণে রয়েছে।
অন্যরা যা পড়ছেন
বাংলাদেশে বাইডেনের শীর্ষ অগ্রাধিকার কী, স্পষ্ট করলো যুক্তরাষ্ট্র
দুই দশক পর সিরিয়াল কিলার আজরাইল গ্রেপ্তার
দ্রুত ভিসা দেওয়ার নির্দেশনা ইতালি দূতাবাসের
খাটে পড়ে ছিলো প্রবাসীর মায়ের গলাকাটা মরদেহ
বাংলাদেশের জ্বালানি খাতে সৌদির বিশাল বিনিয়োগ
বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে শ্রমিক নিহত
যেকারণে যুক্তরাষ্ট্র সফর বাতিল করলেন ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী
মুক্তিযুদ্ধের হারানো গৌরব ফিরিয়ে এনেছে আওয়ামী লীগ সরকার : প্রধানমন্ত্রী
মালিবাগে নির্মাণাধীন ভবনের গর্তে ক্রেন, শ্রমিক নিহত
নারী ও শিশু
ছয়টি বিসিএস পরীক্ষার মাধ্যমে ৭১৬১ নারী কর্মকর্তা নিয়োগ
Published
6 months agoon
অক্টোবর ১৪, ২০২৩By
আসাদ ভূঁইয়াছয়টি বিসিএস পরীক্ষার মাধ্যমে ৭ হাজার ১৬১ জন নারী কর্মকর্তা নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের ‘বার্ষিক প্রতিবেদন ২০২২-২০২৩’ থেকে এ তথ্য জানা গেছে। সম্প্রতি এ প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয়েছে।
৩৫তম থেকে ৩৯তম বিশেষ বিসিএস এবং ৪২তম বিশেষ বিসিএস পর্যন্ত নারী কর্মকর্তাদের নিয়োগের তথ্য তুলে ধরা হয়েছে প্রতিবেদনে।
প্রতিবেদনের ‘গুরুত্বপূর্ণ পদে নারী কর্মচারী’ অংশে বলা হয়েছে, সরকারি কর্মকমিশন (পিএসসি) বিসিএস পরীক্ষার মাধ্যমে বিভিন্ন ক্যাডারে নিয়োগপ্রাপ্ত নবম গ্রেডের কর্মচারীদের মধ্যেও নারী কর্মচারী সংখ্যা ক্রমান্বয়ে বাড়ছে। বিসিএস পরীক্ষার মাধ্যমে বিভিন্ন ক্যাডারের নারীদের জন্য সংরক্ষিত ১০ শতাংশ কোটার অতিরিক্ত মেধা কোটায় নারী নিয়োগ পাচ্ছেন।
৩৫তম বিসিএসে মোট ২ হাজার ১২৫ জন নিয়োগ পেয়েছেন। এর মধ্যে পুরুষ এক হাজার ৫৩০ জন নারী ৫৯৫ জন। ৩৬তম বিসিএসে নিয়োগ পাওয়া ২ হাজার ২৫৫ জনের মধ্যে পুরুষ এক হাজার ৬৭১ জন ও নারী ৫৮৪ জন।
৩৭তম বিসিএসে মোট নিয়োগ পেয়েছেন এক হাজার ২৪৯ জন, এর মধ্যে পুরুষ ৯৪০ জন ও নারী ৩০৯ জন। ৩৮তম বিসিএসে মোট নিয়োগ পেয়েছেন ২ হাজার ১৩৪ জন, এর মধ্যে পুরুষ এক হাজার ৫৬২ জন এবং নারী ৫৭৫ জন।
৩৯তম বিসিএস (বিশেষ) মোট ৬ হাজার ৭২৯ জনকে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে, এর মধ্যে পুরুষ ৩ হাজার ৫৯২ জন ও নারী ৩ হাজার ১৩৭ জন। ৪২তম বিসিএস (বিশেষ) পুরুষ নিয়োগ পেয়েছেন ২ হাজার ৩৯ জন ও নারী এক হাজার ৯৬১ জন। এ বিসিএসে মোট চার হাজার জনকে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে বলে প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়।
নারী ও শিশু
শিশুদের ফর্মুলা দুধ খাওয়ানোর প্রচারণা প্রতারণার শামিল: খাদ্যসচিব
Published
8 months agoon
আগস্ট ৬, ২০২৩মায়ের দুধের সঙ্গে ফর্মুলা দুধ খাওয়ানো হচ্ছে। আর এমনভাবে প্রচারণা হচ্ছে যে এটি শিশুর জন্য সব সমস্যার সমাধান। বিষয়টি অমানবিক। শিশুদের মায়ের দুধের পরিবর্তে ফর্মুলা খাওয়ানো উচিত নয়। স্বাস্থ্যসচিব আনোয়ার হোসেন হাওলাদার।
রোববার (৬ আগস্ট) রাজধানীর ওসমানী মিলনায়তনে বিশ্ব মাতৃদুগ্ধ সপ্তাহ ২০২৩ এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন। এ বছরের মূল প্রতিপাদ্য ”মাতৃদুগ্ধ পান নিশ্চিত করি, কর্মজীবী মা বাবার সহায়ক পরিবেশ গড়ি”।
আনোয়ার হোসেন হাওলাদার বলেন, বৈজ্ঞানিকভাবেও বলা হয়ে থাকে শিশুর জন্মের সময়ই মায়েদের দুধের সৃষ্টি হয়। এটা বাচ্চারা পাবে। অনেকে বলে থাকে শিশু দুধ পাচ্ছে না। তবে এমনটা হওয়া মনস্তাত্ত্বিক। শিশুদের মায়ের দুধ না দিয়ে ফর্মুলা খাওয়ানো এবং এর প্রচারণা করা এটি এক প্রকার বঞ্চনা, প্রতারণা করা হচ্ছে মানুষের সাথে।
তিনি বলেন, এ অধিকার পূরণে সবাইকে ভূমিকা রাখতে হবে। প্রত্যেক মাকেও এই বিষয়টি নিশ্চিত করতে হবে। মায়ের পেটে থাকতে একটি শিশু সবচেয়ে নিরাপদ থাকে। তবে সেক্ষেত্রে পেটের শিশুর জন্য ভালো কেয়ার প্রয়োজন হয়। তা নাহলে শিশু ক্ষতিগ্রস্ত হয়।
স্বাস্থ্যসচিব আরও বলেন, বাচ্চা দুনিয়াত এলে অসহায় হয়ে পড়ে। তার তখন নতুন করে দুনিয়াতে বেঁচে থাকার জন্য সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হচ্ছে মায়ের দুধ। বাইরের জগতে তার অনেক বেশি জীবাণু প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা প্রয়োজন। রোগ-শোক, শারীরিক বৃদ্ধি সবকিছুর জন্য মায়ের দুধ প্রয়োজন। আর ৬ মাস তো বুকের দুধ ছাড়া কিছু খাওয়ানো যাবে না। আর এরপর বাচ্চার বৃদ্ধি বেড়ে যায়।
সচিব বলেন, পিতৃত্বকালীন ছুটিও অনেক বেশি প্রয়োজন। শুধু মায়ের সঙ্গে বাচ্চার ইন্টারেকশন না পুরুষেরও ইন্টারেকশন প্রয়োজন হয়। মায়েদের কষ্ট বাবাদেরও দেখা প্রয়োজন।
প্রতিটা অফিসে ডে-কেয়ার সেন্টার থাকার বিষয়ে জোর দিয়ে তিনি বলেন, এ বিষয়ে নির্দেশনা জারি করতে হবে। হাসপাতাল, অফিস-আদালত সব জায়গায় ডে কেয়ার সেন্টার থাকতেই হবে। আইন হয়েছে। সেই আইনের যথাযথ প্রয়োগ করা হচ্ছে না। এখন থেকে ভালোভাবেই তা প্রয়োগ করতে হবে।
দেশের সরকারি-বেসরকারি সব স্বাস্থ্য প্রতিষ্ঠানে ব্রেস্ট ফিডিং কর্নার থাকা জরুরি বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. এবিএম খুরশিদ আলম।
তিনি বলেন, আমরা বেসরকারি জায়গাগুলোতেও এই ব্রেস্ট ফিডিং ও ডে কেয়ার সেন্টার চালুতে উৎসাহিত করতে চাই। হাসপাতালগুলো অনুমোদনের সময় ও পুনঃঅনুমোদন নেওয়ার সময় ব্রেস্ট ফিডিং কর্নার ও ডে কেয়ার আছে কি না তা নিশ্চিত করে অনুমোদন দেওয়ার ব্যাপারে মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনা চাইবো।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক জানান, মাতৃদুগ্ধের জন্য সহায়ক পরিবেশ সৃষ্টিতে সারাদেশে ২১৮২টি ব্রেস্ট ফিডিং কর্নার করে দেওয়া হয়েছে এবং ১৩২৬টি ডে-কেয়ার সেন্টার করে দেওয়া হয়েছে।
মহাপরিচালক আরও জানান, চিকিৎসাসেবায় নারীরা ভূমিকা বেশি রাখছে। চিকিৎসাক্ষেত্রে নতুন ভর্তি হওয়া ছাত্রীর সংখ্যা ৭৬ শতাংশ। ডাক্তারি প্রফেশনে ৭০ থেকে ৭৫ শতাংশ মেয়ে কাজ করছেন। আমাদের এই নারী চিকিৎসকরা সমাজে মাতৃদুগ্ধ পানের প্রসারে ভূমিকা রাখবে তা আমরা আশা করি।
পিতৃত্বকালীন ছুটির বিষয়ে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য মন্ত্রণালয়কে আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, এতে করে পরিবারগুলোতে আরো বেশি সম্পর্ক বৃদ্ধি পাবে।
নারী ও শিশু
খেলতে খেলতে লঞ্চে চড়ে চাঁদপুর চলে যায় এক শিশু
Published
1 year agoon
ফেব্রুয়ারি ১৫, ২০২৩By
আসাদ ভূঁইয়াবাড়ি থেকে অন্য শিশুদের সঙ্গে খেলতে এসে হারিয়ে যায় ছোবহান (৫) নামের এক শিশু। ঘটনাক্রমে ওই শিশু নারায়নগঞ্জ থেকে ছেড়ে আসা চাঁদপুরগামী একটি যাত্রীবাহী লঞ্চে চলে আসে চাঁদপুর।
আজ বুধবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে শিশুর মামা মো. সিরাজ মিয়ার নিকট হস্তান্তর করে চাঁদপুর নৌ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ কামরুজ্জামান।
শিশু ছোবহান নারায়নগঞ্জ জেলার গলাচিপা কলেজ রোড ঘোড়াঘাট এলাকার মো. খলিলের ছেলে। সে স্থানীয় একটি বিদ্যালয়ে শিশু শ্রেণিতে পড়ে।
শিশুর মামা সিরাজ মিয়া জানান, মঙ্গলবার সকালে পাড়ার অন্য শিশুদের সঙ্গে খেলতে বের হয়ে লঞ্চঘাটে চলে আসে। সেখানে কয়েকজন বন্ধু মিলে লঞ্চে উঠে দুষ্টামি করে। লঞ্চ ছাড়ার সময় অন্য শিশুরা নেমে গেলে ছোবহান লঞ্চে থেকে যায়। পরে লঞ্চটি চাঁদপুর ঘাটে চলে আসে। তাকে না পেয়ে পিতা-মাতা দুশ্চিন্তায় থাকলেও রাতে নৌ পুলিশের মাধ্যমে শিশুটির খোঁজ নিশ্চিত হয়।
চাঁদপুর নৌ-থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. কামরুজ্জামান জানান, ‘ঘাটের লোকজন মঙ্গলবার বিকেলে আমাদের কাছে শিশুটিকে নিয়ে আসে। রাতে আমাদের থানা হেফাজতে ছিল। পরে তার কাছ থেকে পিতা ও এলাকার নাম জেনে নারায়নগঞ্জ নৌ-থানায় সংবাদ দেয়া হয়। পুলিশ গতকাল রাতেই ওই শিশুর বাড়িতে খবর দেয়।’
জাতীয়
বাংলাদেশে বাইডেনের শীর্ষ অগ্রাধিকার কী, স্পষ্ট করলো যুক্তরাষ্ট্র
বাংলাদেশের দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন ও গণতন্ত্রের বিযয় নিয়ে মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের নিয়মিত ব্রিফিংয়ে আবারও প্রশ্ন উঠেছে। স্থানীয় সময় বুধবার...
হুন্ডিতে ৪০০ কোটি টাকা পাচার : আটক ৫
মোবাইল ব্যাংকিং সার্ভিস ব্যবহার করে ডিজিটাল হুন্ডির মাধ্যমে বিদেশে বসেই প্রায় ৪০০ কোটি টাকা পাচার করেছে একটি চক্র। অভিযান চালিয়ে...
চার বছরে মাধ্যমিকে শিক্ষার্থী কমেছে ১০ লাখ
করোনাভাইরাস সংক্রমণ শুরুর আগের বছর ২০১৯ সালে দেশে মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে মোট শিক্ষার্থী ছিল ৯২ লাখ ৩ হাজার ৪২৭ জন। ২০২৩...
দুই দশক পর সিরিয়াল কিলার আজরাইল গ্রেপ্তার
কক্সবাজারের মহেশখালীর আলোচিত সিরিয়ার কিলার মো. লোকমান ওরফে আজরাইলকে দুই দশক পর গ্রেপ্তার করেছে র্যাব। বৃহস্পতিবার (২৮ মার্চ) বিকেলে র্যাব-১৫...
জবির প্রক্টর দ্বীন ইসলামের জামিন নামঞ্জুর
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) আইন বিভাগের শিক্ষার্থী ফাইরুজ সাদাফ অবন্তিকার আত্মহত্যায় প্ররোচনার মামলায় গ্রেপ্তার সহকারী প্রক্টর দ্বীন ইসলামের জামিন নামঞ্জুর করেছেন...
দূষণে বাংলাদেশে বছরে মারা যাচ্ছেন ২ লাখ ৭২ হাজার মানুষ
দূষণ এবং পরিবেশগত স্বাস্থ্যঝুঁকির দিক দিয়ে তুলনামূলক বেশি ক্ষতি করছে দরিদ্র, পাঁচ বছরের কম শিশু, বয়স্ক এবং নারীদের। এছাড়াও প্রতিবছর...
রেলওয়ের কার্যালয়ে দুদকের অভিযান
কেনাকাটায় কয়েকশ কোটি টাকা অনিয়মের অভিযোগে রাজশাহী পশ্চিমাঞ্চল রেলওয়ের জিএম কার্যালয়ে অভিযান চালিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন। সাম্প্রতিক বছরগুলোতে পশ্চিমাঞ্চল রেলওয়ের...
কুড়িগ্রামে বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল পরিদর্শন করলেন ভুটানের রাজা
ভুটানের রাজা জিগমে খেসার নামগিয়েল ওয়াংচুক কুড়িগ্রাম ধরলা সেতুর পূর্ব প্রান্তে ভোগডাঙ্গা ইউনিয়নের মাধবরাম এলাকা পরিদর্শন করেন। বৃহস্পতিবার (২৮ মার্চ)...
কারওয়ান বাজার স্থানান্তরের প্রক্রিয়া শুরু
রাজধানীর সবচেয়ে বড় কাঁচামালের আড়ৎ কারওয়ান বাজার স্থানান্তর প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। কারওয়ান বাজারের কোনো দোকানই থাকছে না। শহরকে যানজটমুক্ত করার...
ড. ইউনূস দেশে ফিরলে আসল কাহিনী জানা যাবে : ব্যারিস্টার মামুন
শ্রমিক ঠকানোর মামলায় সাজাপ্রাপ্ত ড. মুহম্মদ ইউনূসের সম্প্রতি পুরস্কারকাণ্ড নিয়ে সমালোচনার ঝড় বইছে। বিষয়টি নিয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেছেন তারি...
বাংলাদেশে বাইডেনের শীর্ষ অগ্রাধিকার কী, স্পষ্ট করলো যুক্তরাষ্ট্র
আবারও এক টেবিলে বিএনপি-জামায়াত
‘নির্বাচনে যা খরচ করেছি, এটা আমি তুলবো’
হুন্ডিতে ৪০০ কোটি টাকা পাচার : আটক ৫
চার বছরে মাধ্যমিকে শিক্ষার্থী কমেছে ১০ লাখ
দুই দশক পর সিরিয়াল কিলার আজরাইল গ্রেপ্তার
ছেলে হওয়ার পর প্রথম ছবি পোস্ট করলেন আনুশকা
জবির প্রক্টর দ্বীন ইসলামের জামিন নামঞ্জুর
টাইটানিক ছবির রোজকে ভাসিয়ে রাখা সেই কাঠ পৌনে ৮ কোটি টাকায় বিক্রি
‘দুঃসময় চলছে, সবাই ঐক্যবদ্ধ হোন’
জিম্মি বাংলাদেশি জাহাজে থাকা জলদস্যুদের ঘিরে ফেলা হচ্ছে
মাস্টারমাইন্ড স্কুলের ছাত্র অপহরণ: চাঞ্চল্যকর তথ্য পেয়েছেন গোয়েন্দারা
৮ জেলায় শক্তিশালী কালবৈশাখী ঝড় ও শিলাবৃষ্টির শঙ্কা
জিম্মি বাংলাদেশি জাহাজে অভিযানের পক্ষে নয় মালিকপক্ষ
গাজায় যুদ্ধবিরতিতে যুক্তরাষ্ট্রের প্রস্তাব আটকে দিল চীন-রাশিয়া
বিশ্বের বৃহত্তম উড়োজাহাজ ‘উইন্ডরানার’ওড়ার অপেক্ষায়
গায়ের চামড়া কেটে মায়ের জন্য জুতা বানালেন ছেলে
যেকারণে যুক্তরাষ্ট্র সফর বাতিল করলেন ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী
প্রথম ওভারেই ২ উইকেট পেলেন মোস্তাফিজ
দ্রুত ভিসা দেওয়ার নির্দেশনা ইতালি দূতাবাসের
গায়ের চাদর না পুড়িয়ে বউদের ভারতীয় শাড়ি পোড়ান: প্রধানমন্ত্রী
ইংল্যান্ডকে হারিয়ে ব্রাজিল কোচ জানালেন এটা মাত্র শুরু
জিলাপির প্যাঁচে লুকিয়ে আছে যে রহস্য!
বাজারে লেবুর সরবরাহ বেশি, তবুও দাম চড়া
রাজধানীতে অচেতন অবস্থায় উদ্ধার কিশোরীর ঠিকানা খুঁজছে পুলিশ
নীল দুনিয়ায় অভিনেত্রী সোফিয়ার রহস্যজনক মৃত্যু
জামালকে ঠিকঠাক বেতন দেয়নি আর্জেন্টাইন ক্লাব
রণবীরের ‘অ্যানিম্যাল’ দেখে শখ, মাইনাস ২৫ ডিগ্রিতে বসলো বিয়ের আসর
গরুর মাংসের দাম কেজি প্রতি পৌনে ৬ লাখ টাকা!
ডিবিতে যে অভিযোগ দিলেন তিশার বাবা
সর্বাধিক পঠিত
- বাংলাদেশ5 days ago
জিম্মি বাংলাদেশি জাহাজে থাকা জলদস্যুদের ঘিরে ফেলা হচ্ছে
- বাংলাদেশ4 days ago
মাস্টারমাইন্ড স্কুলের ছাত্র অপহরণ: চাঞ্চল্যকর তথ্য পেয়েছেন গোয়েন্দারা
- বাংলাদেশ4 days ago
৮ জেলায় শক্তিশালী কালবৈশাখী ঝড় ও শিলাবৃষ্টির শঙ্কা
- জাতীয়3 days ago
জিম্মি বাংলাদেশি জাহাজে অভিযানের পক্ষে নয় মালিকপক্ষ
- আন্তর্জাতিক6 days ago
গাজায় যুদ্ধবিরতিতে যুক্তরাষ্ট্রের প্রস্তাব আটকে দিল চীন-রাশিয়া
- আন্তর্জাতিক5 days ago
বিশ্বের বৃহত্তম উড়োজাহাজ ‘উইন্ডরানার’ওড়ার অপেক্ষায়
- আন্তর্জাতিক6 days ago
গায়ের চামড়া কেটে মায়ের জন্য জুতা বানালেন ছেলে
- এশিয়া3 days ago
যেকারণে যুক্তরাষ্ট্র সফর বাতিল করলেন ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী