Connect with us

এশিয়া

ইসরায়েল-ফিলিস্তিনে দীর্ঘ সংঘাতের ইতিহাস

Published

on

ইসরায়েলি এবং ফিলিস্তিনিদের মধ্যে লড়াই তীব্র হয়ে উঠায় এটি পূর্ণাঙ্গ যুদ্ধে রূপ নিতে পারে বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছে জাতিসংঘ। জেরুজালেমে এক মাস ধরে চলতে থাকা তীব্র উত্তেজনার পর সর্বশেষ এই সহিংসতা শুরু হয়েছে। তবে ইসরায়েলি ও ফিলিস্তিনিদের এই দীর্ঘ সংঘাতের পেছনের একটি ইতিহাস রয়েছে।

একশো বছরের পুরনো সংকট;

মধ্যপ্রাচ্যে ফিলিস্তিন ভূখন্ডটি ছিল অটোমান সাম্রাজ্যের অধীনে। তবে প্রথম বিশ্বযুদ্ধে অটোমানদের পরাজয়ের পর ফিলিস্তিনের নিয়ন্ত্রণ নেয় ব্রিটেন। তখন ফিলিস্তিনে সংখ্যাগরিষ্ঠ ছিল আরব। সেই সঙ্গে কিছু ইহুদী ছিল। তারা ছিল সংখ্যালঘু।

আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় ইহুদী জনগোষ্ঠীর জন্য ফিলিস্তিনে একটি রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠায় ব্রিটেনকে দায়িত্ব দেওয়ার পর উত্তেজনা বাড়তে শুরু করে এই দুই সম্প্রদায়ের মধ্যে। ওই অঞ্চলকে নিজেদের পূর্বপুরুষদের দেশ বলে দাবি করে ইহুদীরা। কিন্তু ওই ভূমি দাবি করে ইহুদীদের জন্য রাষ্ট্র গঠনের চেষ্টার বিরোধিতা করে আরবরাও।

১৯২০ থেকে ১৯৪০ সালের মধ্যে ইউরোপ থেকে দলে দলে ফিলিস্তিনে যেতে শুরু করে ইহুদীরা। বাড়তে থাকে তাদের সংখ্যা। ইউরোপে ইহুদী নিপীড়ন এবং দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে ভয়ংকর নিধনযজ্ঞের পর সেখান থেকে পালিয়ে নতুন এক মাতৃভূমির স্বপ্ন দেখছিল ইহুদীরা। ফিলিস্তিনে তখন ইহুদী আর আরবদের মধ্যে সহিংসতা শুরু হয়। একই সঙ্গে ব্রিটিশ শাসনের বিরুদ্ধেও বাড়ছিল সহিংসতা।

Advertisement

১৯৪৭ সালে জাতিসংঘে এক ভোটাভুটিতে ফিলিস্তিনকে দুই টুকরো করে আলাদা ইহুদী এবং আরব রাষ্ট্র গঠনের কথা বলা হয়। এতে জেরুজালেম থাকবে একটি আন্তর্জাতিক নগরী হিসেবে। এই প্রস্তাব মেনে নেয় ইহুদী নেতারা। তবে তা প্রত্যাখ্যান করে আরব নেতারা। জাতিসংঘের এ পরিকল্পনার বাস্তবায়ন হয়নি কখনো।

ইসরায়েল প্রতিষ্ঠা এবং মহা-বিপর্যয়

ইসরায়েল-ফিলিস্তিন সমস্যার কোন সমাধান করতে ব্যর্থ হয়ে ১৯৪৮ সালে ফিলিস্তিন ছাড়ে ব্রিটিশরা। এরপরই ইসরায়েল রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার ঘোষণা দেয় ইহুদী নেতারা। এর প্রতিবাদ জানায় বহু ফিলিস্তিনি। যুদ্ধ শুরু হয়। সেখানে যুদ্ধ করতে যায় প্রতিবেশী আরব দেশগুলোর সেনারাও।

তখন ঘরবাড়ি ফেলে পালাতে বা চলে যেতে বাধ্য করা হয় হাজার হাজার ফিলিস্তিনিকে। এই ঘটনাকে আল নাকবা বা মহা-বিপর্যয় বলে থাকে ফিলিস্তিনিরা। পরের বছর বিরতির মাধ্যমে যুদ্ধ শেষ হলেও ততদিনে ফিলিস্তিনের বেশিরভাগ এলাকা দখল করে নেয় ইসরায়েল। একটি অঞ্চল দখল করেছিল জর্ডান। যা এখন পশ্চিম তীর নামে পরিচিত। আর মিশর দখল করেছিল গাজা। ভাগ হয়ে যায় জেরুজালেম। নগরীর পশ্চিম অংশ দখল করে ইসরায়েলি বাহিনী আর পূর্ব অংশ নেয় জর্ডান বাহিনী।

দুইপক্ষের মধ্যে কখনো কোন শান্তি চুক্তি না হওয়ায় একে অপরকে দোষারোপ করতে থাকে উভয় পক্ষ। এরপর পরের দশকগুলোতে দুই পক্ষের মধ্যে আরও অনেক যুদ্ধ হয়েছে।

Advertisement

ইসরায়েল এবং ফিলিস্তিনি এলাকা;

১৯৬৭ সালে আরেকটি যুদ্ধে ফিলিস্তিনিদের পূর্ব জেরুজালেম এবং পশ্চিম তীর, সিরিয়ার গোলান মালভূমি, গাজা এবং মিশরের সিনাই অঞ্চল দখল করে নেয় ইসরায়েল। গাজা এবং পশ্চিম তীরে থাকে বেশিরভাগ ফিলিস্তিনি শরণার্থী। অনেক ফিলিস্তিনি আছে প্রতিবেশী জর্ডান, সিরিয়া এবং লেবাননেও।

এই ফিলিস্তিনি ও তাদের বংশধরদের কাউকেই নিজেদের বাড়িঘরে ফিরতে দেয়নি ইসরায়েল। এদের ফিরতে দিলে সেই চাপ নিতে পারবে না এবং ইসরায়েল রাষ্ট্রটির অস্তিত্বই হুমকির মুখে পড়বে বলে মনে ইহুদীবাদীরা।

১৯৬৭ সালে ছয়দিনের যুদ্ধে পূর্ব জেরুজালেম দখল করে নেওয়ার পর সেখানে ঢুকছে ইসরায়েলি সামরিক অধিনায়করা। এখনো পশ্চিম তীর দখল করে রেখেছে ইসরায়েল। গাজা থেকে সেনা প্রত্যাহার করে নিলেও জাতিসংঘের দৃষ্টিতে তা এখনো ইসরায়েলের দখলে থাকা অবরুদ্ধ ভূমি।

এখন পুরো জেরুজালেম নগরীকে নিজেদের রাজধানী দাবি করে ইসরায়েল। আর পূর্ব জেরুজালেমকে ভবিষ্যৎ রাষ্ট্রের রাজধানী হিসেবে দেখতে চায় ফিলিস্তিনিরা। পুরো জেরুজালেমকে ইসরায়েলের রাজধানীর স্বীকৃতি দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্রসহ হাতে গোনা কয়েকটি দেশ।

Advertisement

গেল ৫০ বছর ধরে দখলীকৃত জায়গায় ইহুদী বসতি স্থাপন করে যাচ্ছে ইসরায়েল। এখন সেসব এলাকায় বসবাস করে ছয় লাখের বেশি ইহুদী। ফিলিস্তিনিরা বলছে, আন্তর্জাতিক আইনে এসব বসতি অবৈধ এবং শান্তি প্রতিষ্ঠার পথে অন্তরায়। তবে তা মনে করে না ইসরায়েল।

এখন কী হচ্ছে?

পূর্ব জেরুজালেম, গাজা এবং পশ্চিম তীরে ফিলিস্তিনি এবং ইসরায়েলিদের মধ্যে উত্তেজনা কিছুদিন পরপরই চরমে উঠে। বর্তমানে গাজা শাসন করছে কট্টর ফিলিস্তিনি দল হামাস। ইসরায়েলের সঙ্গে তাদের অনেকবার যুদ্ধ হয়েছে। হামাসের কাছে কোন অস্ত্র না পৌঁছাতে গাজা সীমান্ত কঠোরভাবে নিয়ন্ত্রণ করে ইসরায়েল এবং মিশর।

গাজা এবং পশ্চিম তীরের ফিলিস্তিনিরা জানায়, ইসরায়েলের নানা পদক্ষেপ এবং কঠোর বিধিনিষেধের কারণে খুবই দুর্দশায় আছে তারা। অন্যদিকে, ফিলিস্তিনিদের সহিংসতা থেকে নিজেদের রক্ষার জন্য এই কাজ করতে হয় বলে দাবি করে ইসরায়েল।

চলতি বছর এপ্রিলের মাঝামাঝি অর্থাৎ রমজান মাসের শুরু থেকে উত্তেজনা বাড়তে থাকে। প্রায় প্রতি রাতেই ফিলিস্তিনিদের সঙ্গে ইসরায়েলি পুলিশের সংঘর্ষ হয়। পূর্ব জেরুজালেম থেকে কিছু ফিলিস্তিনি পরিবারকে উচ্ছেদে ইসরায়েলের হুমকিতে আরও ক্ষুব্ধ হয়ে ওঠে ফিলিস্তিনিরা। গাজা এবং ইসরায়েল সীমান্তে ফিলিস্তিনি বিক্ষোভকারীদের ওপর কাঁদানে গ্যাস ছুঁড়ছে ইসরায়েলি বাহিনী।

Advertisement

মূল সমস্যা কী?

বেশ কিছু ইস্যুতে একমত হতে পারছে না ইসরায়েল এবং ফিলিস্তিনিরা। এর মধ্যে আছে ফিলিস্তিনি শরণার্থীদের বিষয়ে কী হবে। পশ্চিম তীরে যেসব ইহুদী বসতি স্থাপন করা হয়েছে তা থাকবে না সরিয়ে নেওয়া হবে? জেরুজালেম কি উভয়ের মধ্যে ভাগাভাগি হবে? আর সবচেয়ে জটিল ইস্যু হচ্ছে ইসরায়েলের পাশাপাশি একটি স্বাধীন ফিলিস্তিনি রাষ্ট্র গঠন। গেল ২৫ বছর ধরে থেমে থেমে চলছে শান্তি আলোচনা। কিন্তু এখনো মেলেনি সংঘাতের কোন সমাধান।

তাহলে ভবিষ্যৎ কী?

এক কথায় বলতে গেলে, এই পরিস্থিতির কোন সমাধান মিলবে না খুব সহসা। সংকট সমাধানে সর্ব-সাম্প্রতিক উদ্যোগ নিয়েছিলেন সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। একে ডিল অব দ্য সেঞ্চুরি বলে উল্লেখ করেছিলেন ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু। কিন্তু এই উদ্যোগকে একেবারেই একতরফা একটি উদ্যোগ বলে নাকচ করে দিয়েছিল ফিলিস্তিনিরা। যুক্তরাষ্ট্রের এই উদ্যোগ নিয়ে কাজ মোটেই এগোয়নি।

ভবিষ্যতের যে কোন শান্তি চুক্তির আগে জটিল সব সমস্যার সমাধানে একমত হতে হবে দুইপক্ষকে। যতদিন তা না হচ্ছে ততদিন দুইপক্ষের মধ্যে সংঘাত চলতেই থাকবে।

Advertisement

 

এসএন

Advertisement

এশিয়া

গাজায় নিহত আরও ৭৬, প্রাণহানি বেড়ে ৩২ হাজার ৪৯০

Avatar of author

Published

on

ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা ভূখণ্ডে ইসরায়েলি বর্বর হামলায় আরও ৭৬ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। এতে করে উপত্যকাটিতে নিহতের মোট সংখ্যা পৌঁছেছে প্রায় ৩২ হাজার ৫০০ জনে। এছাড়া গেলো বছরের অক্টোবর থেকে চলা এই হামলায় আহত হয়েছেন আরও প্রায় ৭৫ হাজার ফিলিস্তিনি।

বুধবার (২৭ মার্চ) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে তুর্কি বার্তাসংস্থা আনাদোলু।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গেলো বছরের অক্টোবর থেকে গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলের মারাত্মক আক্রমণে নিহত ফিলিস্তিনিদের সংখ্যা ৩২ হাজার ৪৯০ জনে পৌঁছেছে বলে গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় বুধবার জানিয়েছে। একই সময়ে অন্তত ৭৪ হাজার ৮৮৯ জন ফিলিস্তিনি ইসরায়েলি হামলায় আহত হয়েছেন বলেও মন্ত্রণালয় জানিয়েছে।

মন্ত্রণালয় আরও জানিয়েছে, গেলো ২৪ ঘণ্টায় ইসরায়েলের হামলায় ৭৬ জন নিহত এবং আরও ১০২ জন আহত হয়েছেন। অনেক ভুক্তভোগী এখনও ধ্বংসস্তূপের নিচে এবং রাস্তায় আটকা পড়ে আছেন এবং উদ্ধারকারীরা তাদের কাছে পৌঁছাতে পারছেন না।

প্রসঙ্গত, গেলো বছরের ৭ অক্টোবর হামাসের নজিরবিহীন আন্তঃসীমান্ত হামলার পর থেকে ইসরায়েল গাজা উপত্যকায় অবিরাম বিমান ও স্থল হামলা চালিয়ে যাচ্ছে। ইসরায়েলি এই হামলায় হাসপাতাল, স্কুল, শরণার্থী শিবির, মসজিদ, গির্জাসহ হাজার হাজার ভবন ক্ষতিগ্রস্ত বা ধ্বংস হয়ে গেছে। এছাড়া ইসরায়েলি আগ্রাসনের কারণে প্রায় ২০ লাখেরও বেশি বাসিন্দা তাদের বাড়িঘর ছাড়তে বাধ্য হয়েছেন।

Advertisement

এদিকে গেলো সোমবার (২৫ মার্চ) জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদ পবিত্র রমজান মাসে গাজায় অবিলম্বে যুদ্ধবিরতির দাবিতে একটি প্রস্তাব পাস করেছে। হামাস এই প্রস্তাবকে স্বাগত জানালেও, ইসরায়েল যুদ্ধবিরতির আহ্বান প্রত্যাখ্যান করেছে এবং ফিলিস্তিনি এই ভূখণ্ডের বিরুদ্ধে যুদ্ধ চালিয়ে যাওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে।

জিএমএম/

পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

এশিয়া

রানওয়েতে দুই বিমানে ধাক্কা! ডানা ভাঙল দু’টিরই

Avatar of author

Published

on

কলকাতা বিমানবন্দরে এয়ার ইন্ডিয়া এক্সপ্রেসের বিমানে ধাক্কা মারল ইন্ডিগোর বিমান। এয়ার ইন্ডিয়া এক্সপ্রেসের বিমানটি দাঁড়িয়েছিল। রানওয়েতে নড়াচড়ার সময় সেই বিমানে ধাক্কা মারে কলকাতা-দ্বারভাঙা ইন্ডিগো বিমানটি। তার জেরে এয়ার ইন্ডিয়া এক্সপ্রেসের একদিকের ডানা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ডানার একাংশ ভেঙে পড়ে গেছে। তবে আর কোনও ক্ষয়ক্ষতির খবর মেলেনি। সেই ঘটনায় ইতোমধ্যে পূর্ণাঙ্গ তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে ভারতের বেসামরিক বিমান পরিবহণের নিয়ন্ত্রক সংস্থা।

আজ বুধবার (২৭ মার্চ) এ ঘটনাঘটনা।

জানা গেছে, কলকাতা বিমানবন্দরে ইন্ডিগো বিমানটি রানওয়েতে প্রবেশের জন্য ছাড়পত্রের অপেক্ষায় দাঁড়িয়ে থাকা এয়ার ইন্ডিয়ার বিমানে ধাক্কা মারে। ফলে এয়ার ইন্ডিয়া বিমানটির ডানার একটি অংশ ভেঙে যায়। ইন্ডিগো বিমানের একটি ডানাও ক্ষতিগ্রস্ত হয়। বিমান নিয়ন্ত্রণ সংস্থা ডিজিসিএ ইন্ডিগো বিমানের উভয় চালককে সাময়িক ভাবে কাজ থেকে অব্যাহতি দিয়েছে। পুরো বিষয়টি খতিয়ে দেখার জন্য তদন্তের নির্দেশও দেয়া হয়েছে।

ইন্ডিগো বিমানটিতে চার জন শিশুসহ মোট ১৩৫ জন যাত্রী ছিলেন।

পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

আন্তর্জাতিক

বোরখা- আবায়ার ছেড়ে মিস ইউনিভার্স প্রতিযোগিতায় সৌদি সুন্দরী

Avatar of author

Published

on

২০২৪ সালের মিস ইউনিভার্স প্রতিযোগিতায় সৌদি আরবের প্রতিনিধিত্ব করবেন মিস সৌদি আরব রুমি আলকাহতানি: ছবি: ইনস্টাগ্রাম থেকে

মিস ইউনিভার্স প্রতিযোগিতায় এই প্রথমবারের মতো কোনো প্রতিযোগী পাঠাচ্ছে সৌদি আরব।  ইসলামিক দেশ হিসেবে এটি প্রথমবার। নিজেদের রক্ষণশীল ট্যাগ বাদ দিয়ে কোনও সুন্দরীকে মিস ইউনিভার্স প্রতিযোগিতায় পাঠাতে চলেছে মধ্যপ্রাচ্যের এই দেশটি। মিস ইউনিভার্স ২০২৪ প্রতিযোগিতায় সৌদি আরবের হয়ে অংশ নেবেন  মিস সৌদি আরব রুমি আলকাহতানি।

গত ২৫ মার্চ  মিস ইউনিভার্সে সৌদি আরবের প্রতিনিধি হিসেবে আলকাহতানির নাম ঘোষণা করা হয়।  এর মধ্য দিয়ে ইতিহাস গড়েন এই তরুণী। কারণ, এর আগে রক্ষণশীল সৌদি আরব থেকে কেউ মিস ইউনিভার্সে অংশ নেননি। ২০২৩ সালে এল সালভাদরে অনুষ্ঠিত ৭২তম মিস ইউনিভার্স প্রতিযোগিতায় প্রথমবার অংশ নেয় পাকিস্তান।

ইনস্টাগ্রামে আরবি ভাষায় দেওয়া এক পোস্টে আলকাহতানি বলেন, ‘২০২৪ সালের মিস ইউনিভার্সে সৌদি আরবের প্রতিনিধিত্ব করার সুযোগ পেয়ে তিনি সম্মানিত বোধ করছেন। পোস্টের সঙ্গে সৌদি আরবের জাতীয় পতাকা হাতে একটি ছবিও জুড়ে দেন আলকাহতানি। ছবিতে তিনি একটি ঝলমলে গাউন, মাথায় মুকুট এবং ‘মিস ইউনিভার্স সৌদি আরব’ লেখা স্যাস পরে ছিলেন।

২০২৪ সালের মিস ইউনিভার্স প্রতিযোগিতার কথা ইতিহাসের পাতায় উজ্জ্বল বর্ণে লেখা থাকবে।  কারণ মিস ইউনিভার্সের মঞ্চে এই প্রথমবার সৌদি আরবের  কোনো সুন্দরীকে দেখা যাবে ছোট পোশাকে।  সাতারের পোশাকের প্রতিযোগিতার সময় বুরকিনির পরিবর্তে পরতে পারেন ব্রা-বিকিনি।  বোরখা- আবায়ার ছেড়ে বিকিনিতে র‌্যাম্প ওয়াক করতে দেখা যাবে মিস সৌদি আরবকে।

ধর্মীয় গোঁড়ামির কারণেই গত ৭২ বছর ধরে মিস ইউভার্স প্রতিযোগিতায় নেই কোনো সৌদি প্রতিনিধি। তবে ধীরে ধীরে নিজেদের গোঁড়ামি থেকে বেরিয়ে আসছে দেশটি। বর্তমান ক্রাউন প্রিন্স মোহম্মদ বিন সালমান আল সৌদের অধীনেই সৌদি আরবের শরীর থেকে খুলছে রক্ষণশীলতার পোশাক। সৌদি যুবরাজকে পুরো মুখে দাড়ি, ঐতিহ্যবাহী পোশাক এবং স্যান্ডেল পরিহিত অবস্থায় দেখা গেলেও নানাবিধ সংস্কার এনেছেন তিনিই।

সৌদি আরবের এই পরিবর্তন গোটা বিশ্ববাসীর নজর কেড়েছে। গাড়ি চালানো,নারী-পুরুষের যৌথ ইভেন্টে যোগদান, পুরুষ অভিভাবক ছাড়াই পাসপোর্টের জন্য আবেদন, বিদেশি পুরুষ বিয়ে করাসহ সৌদি নারীরা যেসব অধিকার ভোগ করছেন-তার সবই সম্ভব হয়েছে প্রিন্স সালমানের কারণে। তার সবশেষ সাহসিক সিদ্ধান্ত-বিশ্ব সুন্দরী প্রতিযোগিতায় সৌদি তরুনীকে হাজির করানো।

Advertisement

মিস সৌদিআরব কে এই রুমি আলকহতানি? অত্যন্ত রক্ষণশীল সৌদি আরবে নারীদের নানা বিধিনিষেধ মেনে চলতে হয়। তার মাঝেই সব বিধিনিষেধ ভাঙার সহস দেখিয়েছেন ২৭ বছরের এই তরুনী। সুন্দরী প্রতিযোগিতার ইতিহাসের পাতায় নিজের নাম লেখালেন রুমি আলকাহতানি।  মিস ইউনিভার্সের মঞ্চে হাঁটতে চলেছেন রিয়াদে জন্ম নেওয়া এই সুন্দরী। পেশায় মডেল রুমি অনলাইন ইনফ্লুয়েন্সর হিসেবেও বেশ জনপ্রিয়। ইনস্টাগ্রামে ভেরিফায়েড অ্যাকাউন্টে আলকাহতানির ১০ লাখ অনুসারী রয়েছে।

এবারই প্রথম নয়, এর আগেও কয়েকটি আন্তর্জাতিক সুন্দরী প্রতিযোগিতায় অংশ নিয়েছেন আলকাহতানি। সর্বশেষ কয়েক সপ্তাহ আগেও তিনি মালয়েশিয়ায় মিস অ্যান্ড মিসেস গ্লোবাল এশিয়ায় অংশ নেন। মিস সৌদি আরবের মুকুট পরার পাশাপাশি মিস মিডল ইস্ট, মিস আরব ওয়ার্ল্ড পিস ২০২১ এবং মিস ওমেনের খেতাবও জিতেছেন রুমি আলকাহতানি।

পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

জাতীয়

বাংলাদেশ1 hour ago

বাংলাদেশে বাইডেনের শীর্ষ অগ্রাধিকার কী, স্পষ্ট করলো যুক্তরাষ্ট্র

বাংলাদেশের দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন ও গণতন্ত্রের বিযয় নিয়ে মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের নিয়মিত ব্রিফিংয়ে আবারও প্রশ্ন উঠেছে। স্থানীয় সময় বুধবার...

অপরাধ2 hours ago

হুন্ডিতে ৪০০ কোটি টাকা পাচার : আটক ৫

মোবাইল ব্যাংকিং সার্ভিস ব্যবহার করে ডিজিটাল হুন্ডির মাধ্যমে বিদেশে বসেই প্রায় ৪০০ কোটি টাকা পাচার করেছে একটি চক্র। অভিযান চালিয়ে...

জাতীয়2 hours ago

চার বছরে মাধ্যমিকে শিক্ষার্থী কমেছে ১০ লাখ

করোনাভাইরাস সংক্রমণ শুরুর আগের বছর ২০১৯ সালে দেশে মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে মোট শিক্ষার্থী ছিল ৯২ লাখ ৩ হাজার ৪২৭ জন। ২০২৩...

অপরাধ2 hours ago

দুই দশক পর সিরিয়াল কিলার আজরাইল গ্রেপ্তার

কক্সবাজারের মহেশখালীর আলোচিত সিরিয়ার কিলার মো. লোকমান ওরফে আজরাইলকে দুই দশক পর গ্রেপ্তার করেছে র‍্যাব। বৃহস্পতিবার (২৮ মার্চ) বিকেলে র‍্যাব-১৫...

আইন-বিচার2 hours ago

জবির প্রক্টর দ্বীন ইসলামের জামিন নামঞ্জুর

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) আইন বিভাগের শিক্ষার্থী ফাইরুজ সাদাফ অবন্তিকার আত্মহত্যায় প্ররোচনার মামলায় গ্রেপ্তার সহকারী প্রক্টর দ্বীন ইসলামের জামিন নামঞ্জুর করেছেন...

জাতীয়4 hours ago

দূষণে বাংলাদেশে বছরে মারা যাচ্ছেন ২ লাখ ৭২ হাজার মানুষ

দূষণ এবং পরিবেশগত স্বাস্থ্যঝুঁকির দিক দিয়ে তুলনামূলক বেশি ক্ষতি করছে দরিদ্র, পাঁচ বছরের কম শিশু, বয়স্ক এবং নারীদের। এছাড়াও প্রতিবছর...

অপরাধ6 hours ago

রেলওয়ের কার্যালয়ে দুদকের অভিযান

কেনাকাটায় কয়েকশ কোটি টাকা অনিয়মের অভিযোগে রাজশাহী পশ্চিমাঞ্চল রেলওয়ের জিএম কার্যালয়ে অভিযান চালিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন। সাম্প্রতিক বছরগুলোতে পশ্চিমাঞ্চল রেলওয়ের...

জাতীয়6 hours ago

কুড়িগ্রামে বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল পরিদর্শন করলেন ভুটানের রাজা

ভুটানের রাজা জিগমে খেসার নামগিয়েল ওয়াংচুক কুড়িগ্রাম ধরলা সেতুর পূর্ব প্রান্তে ভোগডাঙ্গা ইউনিয়নের মাধবরাম এলাকা পরিদর্শন করেন। বৃহস্পতিবার (২৮ মার্চ)...

জাতীয়8 hours ago

কারওয়ান বাজার স্থানান্তরের প্রক্রিয়া শুরু

রাজধানীর সবচেয়ে বড় কাঁচামালের আড়ৎ কারওয়ান বাজার স্থানান্তর প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। কারওয়ান বাজারের কোনো দোকানই থাকছে না। শহরকে যানজটমুক্ত করার...

আইন-বিচার8 hours ago

ড. ইউনূস দেশে ফিরলে আসল কাহিনী জানা যাবে : ব্যারিস্টার মামুন

শ্রমিক ঠকানোর মামলায় সাজাপ্রাপ্ত ড. মুহম্মদ ইউনূসের সম্প্রতি পুরস্কারকাণ্ড নিয়ে সমালোচনার ঝড় বইছে। বিষয়টি নিয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেছেন তারি...

Advertisement
বাংলাদেশ5 days ago

জিম্মি বাংলাদেশি জাহাজে থাকা জলদস্যুদের ঘিরে ফেলা হচ্ছে

ডিবি-হারুন
বাংলাদেশ4 days ago

মাস্টারমাইন্ড স্কুলের ছাত্র অপহরণ: চাঞ্চল্যকর তথ্য পেয়েছেন গোয়েন্দারা

বাংলাদেশ4 days ago

৮ জেলায় শক্তিশালী কালবৈশাখী ঝড় ও শিলাবৃষ্টির শঙ্কা

জাতীয়3 days ago

জিম্মি বাংলাদেশি জাহাজে অভিযানের পক্ষে নয় মালিকপক্ষ

আন্তর্জাতিক6 days ago

গাজায় যুদ্ধবিরতিতে যুক্তরাষ্ট্রের প্রস্তাব আটকে দিল চীন-রাশিয়া

আন্তর্জাতিক5 days ago

বিশ্বের বৃহত্তম উড়োজাহাজ ‘উইন্ডরানার’ওড়ার অপেক্ষায়

আন্তর্জাতিক6 days ago

গায়ের চামড়া কেটে মায়ের জন্য জুতা বানালেন ছেলে

এশিয়া3 days ago

যেকারণে যুক্তরাষ্ট্র সফর বাতিল করলেন ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী

ক্রিকেট6 days ago

প্রথম ওভারেই ২ উইকেট পেলেন মোস্তাফিজ

বাংলাদেশ1 day ago

দ্রুত ভিসা দেওয়ার নির্দেশনা ইতা‌লি দূতাবাসের

প্রধানমন্ত্রী-শেখ-হাসিনা
জাতীয়1 day ago

গায়ের চাদর না পুড়িয়ে বউদের ভারতীয় শাড়ি পোড়ান: প্রধানমন্ত্রী

ফুটবল4 days ago

ইংল্যান্ডকে হারিয়ে ব্রাজিল কোচ জানালেন এটা মাত্র শুরু

টুকিটাকি6 days ago

জিলাপির প্যাঁচে লুকিয়ে আছে যে রহস্য!

অর্থনীতি2 weeks ago

বাজারে লেবুর সরবরাহ বেশি, তবুও দাম চড়া

রেশমা
বাংলাদেশ2 weeks ago

রাজধানীতে অচেতন অবস্থায় উদ্ধার কিশোরীর ঠিকানা খুঁজছে পুলিশ

হলিউড3 weeks ago

নীল দুনিয়ায় অভিনেত্রী সোফিয়ার রহস্যজনক মৃত্যু

ফুটবল3 weeks ago

জামালকে ঠিকঠাক বেতন দেয়নি আর্জেন্টাইন ক্লাব

টুকিটাকি4 weeks ago

রণবীরের ‘অ্যানিম্যাল’ দেখে শখ, মাইনাস ২৫ ডিগ্রিতে বসলো বিয়ের আসর

অর্থনীতি4 weeks ago

গরুর মাংসের দাম কেজি প্রতি পৌনে ৬ লাখ টাকা!

অপরাধ1 month ago

ডিবিতে যে অভিযোগ দিলেন তিশার বাবা

সর্বাধিক পঠিত