Connect with us

করোনা ভাইরাস

ব্রিটেনের বেশিরভাগ স্থানে লকডাউন শিথিল

Published

on

ব্রিটেনে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ কমে যাওয়ায় লকডাউন শিথিলের ঘোষণা দিয়েছেন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন। ইংল্যান্ড, ওয়েলস ও স্কটল্যান্ডের বেশিরভাগ এলাকায় বিধিনিষেধ শিথিল করেন তিনি। এর ফলে নির্দিষ্ট সংখ্যক মানুষের উপস্থিতিতে সামাজিক আচার অনুষ্ঠান, রেস্তোরাঁয় খাওয়া ও বারে যাওয়া এবং আলিঙ্গনের অনুমতি পেলো সাধারণ জনগণ। তবে এখনও সবাইকে সতর্ক থাকার আহ্বান জানিয়েছেন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী।

ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি জানায়, ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, সবাই ঐক্যবদ্ধ প্রচেষ্টায় আমরা আরেকটি মাইলফলক অর্জন করতে সক্ষম হলাম। তবে এই পদক্ষেপ আরও বেশি সতর্কতার সঙ্গে গ্রহণ করতে হবে। লকডাউন শেষে নিজেদের স্বাধীন জীবন উপভোগে আরও বেশি সতর্ক ও দায়িত্বশীল হওয়ার আহ্বান জানান ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী।

ব্রিটেনে লকডাউন শিথিল করায় ঘরে সীমিত সংখ্যক মানুষ জড়ো হতে পারবে। এছাড়া দেশটির নাগরিকেরা একে অপরকে আলিঙ্গন করতে পারবে। যেতে পারবে পানশালায়। এখন রেস্তোরাঁয় বসে খেতেও পারবে।

বিধিনিষেধ শিথিল করা হলেও সতর্ক অবস্থানে রয়েছে ব্রিটিশ সরকার। প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন বলেন, সবাইকে সতর্ক থাকতে হবে। সপ্তাহে দুইবার করোনা পরীক্ষা করতে হবে। আমাদের সতর্ক থাকতে হবে।

জনসন আরও বলেন, সবাই সতর্ক থাকুন, নিজেদের দায়িত্ব পালন করুন। আমি সবার প্রতি এই আহ্বান জানাই। যখন টিকার জন্য ডাকা হবে তা নিতে এগিয়ে আসুন। সপ্তাহে দুইবার করোনা পরীক্ষা করার ক্ষেত্রে সবাইকে নিজেদের দায়িত্ব পালন করতে হবে।

Advertisement

লকডাউন শিথিল ছাড়াও বাসিন্দাদের করোনা পরীক্ষার নতুন ব্যবস্থা করা হয়েছে। নতুন এই ব্যবস্থাপনায় ইংল্যান্ড ও স্কটল্যান্ডের যে কেউ করোনা পরীক্ষা করতে পারবে। ৩০ মিনিটের মধ্যে পাওয়া যাবে এর ফল। এমনকি কোনো উপসর্গ না থাকলেও পরীক্ষা করতে পারবে। তবে ওয়েলস ও নর্দান আয়ারল্যান্ডে পরিস্থিতি কিছুটা ভিন্ন। যারা বাইরে কাজ করছে তারা এই পরীক্ষার সুযোগ পাবে।

ব্রিটেনের বিভিন্ন স্থানে লকডাউন শিথিল করা হলেও স্কটল্যান্ডের দুটি স্থানে এ পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি। গ্লাসগো ও মরে এলাকায় সংক্রমণ বাড়ায় লকডাউন শিথিল করা হয়নি। আর নর্দান আয়ারল্যান্ডের লকডাউন তুলে নেওয়ার বিষয়ে সিদ্ধান্ত হবে ২০ মে।

লকডাউন শিথিলে যেসব পরিবর্তন

ব্রিটেনে লকডাউন শিথিল করায় এখন ঘরের মধ্যে ছয়জন পর্যন্ত জড়ো হতে পারবে। অথবা দুটি বাড়ির মানুষ আবদ্ধ জায়গায় জড়ো হতে পারবে। বাড়ির বাইরে খোলা জায়গায় জড়ো হতে পারবে ৩০ জন পর্যন্ত। জাদুঘর, সিনেমা হল, শিশুদের খেলার জায়গা, থিয়েটার, কনসার্ট হল, স্টেডিয়াম খুলে দেওয়ার আহ্বান জানানো হয়েছে। সামাজিক দূরত্ব মেনে চলার বিধি শিথিল করা হয়েছে।

গ্লাসগো ও মরে এলাকা ছাড়া খোলা জায়গায় আট বাড়ি থেকে আটজন জড়ো হতে পারবে স্কটিশরা। আর বন্ধ স্থানে তিন বাড়ি থেকে ছয়জন পর্যন্ত জড়ো হতে পারবে। রাত সাড়ে ১০টা পর্যন্ত খোলা থাকবে রেস্তোরাঁ ও পানশালা। খুলে দেওয়া হয়েছে সিনেমা হল, থিয়েটার ও খেলার হল। সেখানে জড়ো হতে পারবে ১০০ জন পর্যন্ত।

Advertisement

 

এসএন

Advertisement

করোনা ভাইরাস

ফের ফিরে আসছে করোনা-আতঙ্ক!

Published

on

করোনা

মানুষ যখন করোনা ভাইরাস (কোভিড-১৯) সংক্রমণের কথা প্রায় ভুলতে বসেছে, তখনই হঠাৎ করে আবার জেএন.১ নামের এক উপধরন ভয়ের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। ইতিমধ্যে এই ধরন পার্শ্ববর্তী ভারতসহ বিশ্বের ৪১টি দেশে ছড়িয়ে পড়েছে। এই অবস্থায় বাংলাদেশে নতুন ধরনের সংক্রমণ নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে সরকারের কোভিড-১৯ সংক্রান্ত জাতীয় কারিগরি পরামর্শক কমিটি। যদিও নতুন এ ধরনে বাংলাদেশে কেউ এখন পর্যন্ত আক্রান্ত হয়নি।

নতুন ধরনের সংক্রমণ মোকাবেলায় আবারও হাসপাতাল-ক্লিনিকসহ সকল স্থানে মাস্ক ব্যবহারসহ চার দফা পরামর্শ দেয়া হয়েছে।

মঙ্গলবার (২ জানুয়ারি) দিবাগত রাতে জাতীয় টেকনিক্যাল পরামর্শক কমিটির সভাপতি অধ্যাপক ডাক্তার মোহাম্মদ সহিদুল্লা স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, কোভিড-১৯ সংক্রান্ত জাতীয় টেকনিক্যাল পরামর্শক কমিটির ৬৫তম সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। সভায় সকলের পরামর্শের আলোকে নিম্নলিখিত সিদ্ধান্তসমূহ গৃহীত হয়। সেগুলো হলো—

১। উচ্চ ঝুঁকিপূর্ণ স্থানে যেমন হাসপাতাল/চিকিৎসা কেন্দ্র এবং উচ্চ ঝুঁকিপূর্ণ ব্যক্তি— যাদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কম তাদের সতকর্তা হিসেবে মাস্ক ব্যবহারের পরামর্শ দেওয়া হলো। কমিটি মনে করে কোভিড-১৯ ছাড়াও অন্যান্য স্বাস্থ্য সমস্যা প্রতিরোধে এটি সহায়ক হবে।

Advertisement

২। সংক্রমণ পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করার জন্য বৈশ্বিক প্রতিবেদন পর্যালোচনা ও দেশে নজরদারি জোরদার করার জন্য সরকারের দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রতিষ্ঠান আইইডিসিআর প্রতি পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। ভবিষ্যতে সংক্রমণ বৃদ্ধি পেলে কোভিড পরীক্ষা ও আইসিইউসহ দ্রুত চিকিৎসার সকল প্রস্তুতি রাখার সুপারিশ করা হয়েছে। বিদেশ থেকে আগত যাত্রীদের স্ক্রিনিং এর প্রস্তুতি নেয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।

৩। কোভিড ভ্যাকসিন বিষয়ে নিয়মিত বৈজ্ঞানিক তথ্য উপাত্ত বিশ্লেষণসাপেক্ষে সিদ্ধান্ত নেয়ার সুপারিশ করা হয়েছে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার পরামর্শ মোতাবেক উচ্চ ঝুঁকিপূর্ণ ব্যক্তিদের চতুর্থ ডোজ ভ্যাকসিন নেওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।

৪। সভায় অস্ত্রোপচার অথবা অন্য কোনো রোগের চিকিৎসার আগে কোভিড পরীক্ষার প্রয়োজনীয়তা বিষয়ে আলোচনা করা হয়েছে। কমিটি কেবলমাত্র কোভিডের লক্ষণ/উপসর্গ থাকলে কোভিড পরীক্ষা করার পরামর্শ দিয়েছে।

এদিকে ইতিমধ্যে একে ‘ভেরিয়েন্ট অব ইন্টারেস্ট’ হিসেবে অভিহিত করেছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা। সংস্থাটির তথ্য অনুযায়ী, এই ধরনটি অতিদ্রুত ছড়াচ্ছে।

জনস্বাস্থ্যবিদরা বলছেন, ওমিক্রনের উপধরন হলো জেএন.১। রোগ প্রতিরোধক্ষমতাকে ফাঁকি দেওয়ায় জেএন.১ আরও অনেক বেশি কার্যকর। ফলে সংক্রমণের হার বেশি। তবে ঝুঁকি কম।

Advertisement

 

পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

করোনা ভাইরাস

বিশ্বে করোনায় মৃত্যু হয়েছে আরও ২০৪ জনের

Published

on

গেলো ২৪ ঘণ্টায় করোনায় বিশ্বব্যাপী আরও ২০৪ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ সময় আক্রান্ত হয়েছেন ৮৮ হাজার ৫৯৯ জন। সুস্থ হয়েছেন ১ লাখ ৩৫ হাজার ৮২৫ জন।

বুধবার (২৭ ডিসেম্বর) সকালে করোনার হিসাব রাখা ওয়েবসাইট ওয়ার্ল্ডোমিটারস থেকে এ তথ্য পাওয়া যায়।

এদিকে গত ২৪ ঘণ্টায় করোনায় সবচেয়ে বেশি মৃত্যু ও আক্রান্তের ঘটনা ঘটেছে রাশিয়ায়। এ সময় দেশটিতে মৃত্যু হয়েছে ১৮৬ জনের এবং আক্রান্ত হয়েছে ৭৯ হাজার ৩২ জন।

এ ছাড়া যুক্তরাষ্ট্রে আক্রান্ত হয়েছে ৬ হাজার ৪৪৪ জন এবং মৃত্যু হয়েছে ১৩ জনের। ভারতে আক্রান্ত হয়েছে ১ হাজার ৪০ জন এবং মৃত্যু হয়েছে ৪ জনের। আফগানিস্তানে আক্রান্ত হয়েছে ১৯৪ জন এবং মৃত্যু হয়েছে ১ জনের।

বিশ্বে এখন পর্যন্ত করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন ৭০ কোটি ৪ লাখ ৮১ হাজার ২৪৮ জন। এরমধ্যে মৃত্যু হয়েছে ৬৯ লাখ ৬১ হাজার ১৩৬ জনের। সুস্থ হয়েছেন ৬৭ কোটি ১৬ লাখ ৮৩ হাজার ২২৪ জন।

Advertisement

উল্লেখ্য, ২০১৯ সালের ডিসেম্বরে চীনের উহানে প্রথম করোনা রোগী শনাক্ত হয়। এরপর ২০২০ সালের ১১ মার্চ বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) করোনাকে ‘বৈশ্বিক মহামারি’ হিসেবে ঘোষণা করে।

পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

করোনা ভাইরাস

এক মাসে করোনা রোগী বেড়েছে ৫২%

Published

on

বিশ্বজুড়ে আবারও বাড়তে শুরু করেছে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ। গেলো চার সপ্তাহে প্রাণঘাতী এই ভাইরাসে আক্রান্ত রোগী বেড়েছে প্রায় ৫২ শতাংশ। এ সময় নতুন করে সাড়ে ৮ লাখের বেশি মানুষ করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। পাশাপাশি বেড়েছে মৃত্যুহারও। জানিয়েছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও)।

ডব্লিউএইচওর তথ্যমতে, আগের ২৮ দিনের তুলনায় গেলো চার সপ্তাহে বিশ্বব্যাপী করোনায় মৃত্যু প্রায় ৮ শতাংশ বেড়েছে। এ সময়ে মারা গেছে তিন হাজারের বেশি মানুষ।

সংস্থাটির হিসাবে, ২০২৩ সালের ১৭ ডিসেম্বর পর্যন্ত সারা বিশ্বে করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন অন্তত ৭৭ কোটি ২০ লাখ মানুষ। প্রাণ হারিয়েছেন ৭০ লাখেরও বেশি। এ সময়ে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন প্রায় ১ লাখ ১৮ হাজার মানুষ। গুরুতর অসুস্থ হওয়ায় নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) রাখতে হয়েছে ১ হাজার ৬০০ জনকে।

বিশ্বব্যাপী দ্রুত ছড়িয়ে পড়ার কারণে সম্প্রতি করোনাভাইরাসের জেএন.১ ধরনটিকে পৃথক ‘ভ্যারিয়েন্ট অব ইন্টারেস্ট’ হিসেবে ঘোষণা করেছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা। এটিকে এতদিন করোনার বিএ.২.৮৬ ধরনের একটি অংশ হিসেবে ‘ভ্যারিয়েন্ট অব ইন্টারেস্ট’ গণ্য করা হতো। ডব্লিউএইচও জানিয়েছে, প্রাপ্ত তথ্য-উপাত্ত অনুসারে, জেএন.১-এর কারণে এ মুহূর্তে অতিরিক্ত কোনো বৈশ্বিক স্বাস্থ্যঝুঁকি নেই। তবে উত্তর গোলার্ধে শীত শুরুর সঙ্গে সঙ্গে এটি শ্বাসযন্ত্রে সংক্রমণের সমস্যা বাড়িয়ে দিতে পারে।

পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

সর্বাধিক পঠিত