১ ও ২ জানুয়ারী তাপমাত্রা বাড়বে
শীতের তীব্রতা থাকবে আরো তিন-চার দিন
একদিকে হিমেল হাওয়া আর ঘন কুয়াশা। অন্যদিকে দেশের বিস্তীর্ণ অঞ্চলে সূর্যের দেখা নেই। রাজধানীসহ সারাদেশ জেঁকে বসেছে কনকনে শীত। আরও তিন-চার দিন দেশে এমন অবস্থা থাকতে পারে।
গতকাল রোববার আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছে, আজ সোমবার সারা দেশের কোথাও কোথাও মাঝারি থেকে ঘন কুয়াশার প্রভাব থাকবে। সারা দেশে আজ দিন ও রাতের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে। কুয়াশার কারণে ব্যাহত হতে পারে বিমান, অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন এবং সড়ক যোগাযোগ।
গেল ২৫ ডিসেম্বর নৌপরিবহন মন্ত্রণালয় জরুরি বিজ্ঞপ্তিতে ঘন কুয়াশার মধ্যে সব ধরনের নৌযান চলাচল বন্ধ রাখার নির্দেশনা দিয়েছে।
আবহাওয়া অধিদপ্তরের আবহাওয়াবিদ শাহানাজ সুলতানা জানিয়েছেন, গত কয়েক দিনে দেশের তাপমাত্রা বেশ কমে গেছে। তাপমাত্রার সর্বোচ্চ ও সর্বনিম্ন পার্থক্য কমে যাওয়ায় বেশী শীত অনুভূত হচ্ছে। দেশের অনেক জায়গায় সূর্যের দেখা পাওয়া যায়নি। একারনে ভূমি উত্তপ্ত হয়নি। ভূমি উত্তপ্ত না হলে শীতের অনুভূতি বাড়ে।
গতকাল দেশে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল কিশোরগঞ্জের নিকলীতে। সেখানকার তাপতাত্রা ছিলো ৯ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। তারপর সবচেয়ে কম তাপমাত্রা ছিলো রেকর্ড হয়েছে সিরাজগঞ্জের তাড়াশে। সেখানে তাপতাত্রা ছিলো ১১ ডিগ্রি সেলসিয়াস। গতকাল দেশের বেশীরভাগ এলাকাতেই সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ১১ থেকে ১৪ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে। ঢাকায় গতকাল সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিলো ১৪ দশমিক ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
আবহাওয়াবিদ শাহানাজ সুলতানা জানিয়েছেন, দেশে বর্তমানে শৈত্যপ্রবাহ নেই। তবে শীত অনুভূত হচ্ছে শৈত্যপ্রবাহের শীতের মতোই। এর কারন সর্বোচ্চ ও সর্বনিম্ন তাপমাত্রার পার্থক্য কমে যাওয়া। পাশাপাশি সূর্যের দেখা না পাওয়া।
তার মতে এই অবস্থা আরো তিন-চার দিন থাকতে পারে। ১ ও ২ জানুয়ারি তাপমাত্রা একটু বাড়ার সম্ভাবনা রয়েছে। তবে ৬ থেকে ৭ জানুয়ারির দিকে তাপমাত্রা আবারো কমতে পারে।
গতকাল দেশে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে কক্সবাজারের টেকনাফে। সেখানকার তাপমাত্রা ছিলো ২৮ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস। তবে দেশের বেশীরভাগ এলাকায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ১৭ থেকে ২৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস। রাজধানীতে গতকাল সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ২৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
এসএইচ//