কেরানীগঞ্জে মাদ্রাসায় বিস্ফোরণ,আহত ৪
ঢাকার দক্ষিণ কেরানীগঞ্জের হাসনাবাদ এলাকায় উম্মাল কুরা ইন্টারন্যাশনাল মাদ্রাসায় ভয়াবহ বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে। এতে নারী, শিশুসহ চারজন আহত হয়েছেন। ভবনটি থেকে বোমা তৈরির সরঞ্জাম উদ্ধার করেছে পুলিশ।
শুক্রবার (২৭ ডিসেম্বর) সকালে ভবনটিতে বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানার ওসি সাইফুল ইসলাম বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
এ ঘটনায় মাদ্রাসার পরিচালক শেখ আল আমিন (৩২), তাঁর স্ত্রী আছিয়া বেগম (২৮) এবং তাঁদের তিন সন্তানের মধ্যে দুই ছেলে উমায়েত (১০) ও আবদুল্লাহ (৭) আহত হয়েছেন। এর মধ্যে আছিয়া ও তাঁর দুই সন্তানকে প্রথমে স্থানীয় হাসপাতালে নেওয়া হয়। কর্তব্যরত চিকিৎসক উন্নত চিকিৎসার জন্য তাঁদের ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠান।
শেখ আল আমিনের বিরুদ্ধে এর আগে জেএমবির সাথে জড়িত থাকার অভিযোগ রয়েছে।
স্থানীয় বাসিন্দা আলী আহসান জানান, দেশে বড় ধরনের নাশকতার জন্য মাদ্রাসাটির ভেতরে বোমা তৈরির কাজ করছিল। এই মাদ্রাসায় প্রায় ৫০ জন শিক্ষার্থী পড়াশোনা করত। শুক্রবার ছুটির দিন হওয়ায় মাদ্রাসা বন্ধ ছিল।
একই এলাকার বাসিন্দা জহির আহমেদ জানান, ভবনের এক পাশে তিনটি কক্ষে মাদ্রাসার কার্যক্রম পরিচালিত হতো। অপর পাশের একটি কক্ষে পরিচালক শেখ আল আমিন পরিবারসহ গত তিন বছর ধরে বসবাস করছিলেন। বিস্ফোরণে পাশের একটি ভবনের কিছু অংশ ফেটে গেছে। ঘরের ভেতরের আসবাবপত্রও ভেঙে পড়েছে।
ভবন মালিক পারভীন বেগম জানান, ‘তিন বছর ধরে আমার বাড়ি ভাড়া নিয়ে মুফতি হারুন মাদ্রাসা পরিচালনা করতেন। হারুন তাঁর শ্যালক আলামিন ও শ্যালকের স্ত্রী আছিয়াকে মাদ্রাসা পরিচালনার দায়িত্ব দেন। তিনি মাঝেমধ্যে মাদ্রাসায় আসতেন। আমি নিয়মিত খোঁজখবর নিতাম। কিন্তু মাদ্রাসার আড়ালে কী কার্যক্রম চলছিল, তা বুঝতে পারিনি। আজ এসে দেখি, ভবনের চারপাশ উড়ে গেছে। পুলিশ ভবনের ভেতর থেকে কেমিক্যাল, ককটেল ও বোমা তৈরির সরঞ্জাম উদ্ধার করেছে।’
জানা গেছে, ২০১৭ সালে নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লার বক্তাবলী থেকে জেএমবি সদস্য শেখ আল-আমিনসহ আরও দুজনকে গ্রেপ্তার করেছিল র্যাব। সে সময় তাদের কাছ থেকে একটি বিদেশী পিস্তল, একটি বিদেশি রিভলবার, ৫ রাউন্ড গুলি, ২টি চাকু, বিস্ফোরক দ্রব্য, জিহাদি বই ও লিফলেট উদ্ধার করা হয়।
আই/এ