লাইফস্টাইল

নতুন বছরে আর্থিক সফলতার জন্য যে পদক্ষেপগুলো নিতে হবে

ছবি: সংগৃহীত

নতুন বছরের শুরুতেই যদি ব্যক্তিগত আর্থিক সচ্ছলতা নিশ্চিত করতে চান, তাহলে কেবল আয় বাড়ানো যথেষ্ট নয়। প্রয়োজন সুশৃঙ্খল পরিকল্পনা, দীর্ঘমেয়াদি কৌশল এবং সঠিক বিনিয়োগ। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, মূল্যস্ফীতি ও সুদের হারের ওঠানামার মধ্যে আর্থিক নিরাপত্তা বজায় রাখতে ইমার্জেন্সি ফান্ড তৈরি করা এখন সময়ের দাবি। অন্তত তিন থেকে ছয় মাসের জীবনযাত্রার খরচের সমপরিমাণ নগদ বা লিকুইড অর্থ সংরক্ষণ করলে চাকরি হারানো বা হঠাৎ বিপদের সময়ে সহায়তা পাওয়া সম্ভব।

এছাড়া ঋণের বোঝা কমানোও গুরুত্বপূর্ণ। বিশেষ করে ক্রেডিট কার্ড ও ব্যক্তিগত ঋণের উচ্চ সুদ অনেক সময় সঞ্চয়কে গ্রাস করে ফেলে। বাংলাদেশ ব্যাংকের সাম্প্রতিক তথ্যানুযায়ী, ব্যক্তিগত ঋণের হার বাড়ছে, তাই দ্রুত এসব ঋণ শোধের উদ্যোগ নেওয়াই বুদ্ধিমানের কাজ।

দীর্ঘমেয়াদি লক্ষ্য নির্ধারণ করে আলাদা তহবিল গঠন, স্থায়ী আমানত বা সঞ্চয়পত্রে নিয়মিত বিনিয়োগও জরুরি। যেমন:- বাড়ি কেনা, সন্তানের শিক্ষা বা অবসরকালীন সঞ্চয়।

ইউনাইটেড কমার্শিয়াল ব্যাংকের সাবেক আঞ্চলিক প্রধান ও ফার্স্ট ভাইস প্রেসিডেন্ট ফকির আকতারুল আলম মনে করেন, আর্থিক সচ্ছলতার জন্য শুরুতেই আয়-ব্যয়ের খাতা তৈরি করা প্রয়োজন। এতে প্রতি মাসের খরচ ট্র্যাক করা সহজ হয় এবং অপ্রয়োজনীয় খরচ বা সাবস্ক্রিপশন ফি-র মতো ‘লিক’ শনাক্ত করা সম্ভব।

সঠিক পরিকল্পনা ও নিয়মিত পর্যালোচনার মাধ্যমে নতুন বছরেই আর্থিক নিরাপত্তা ও মানসিক প্রশান্তি নিশ্চিত করা সম্ভব।

 

এসএইচ//

এ সম্পর্কিত আরও পড়ুন