দেশজুড়ে

পরিচ্ছন্নতাকর্মীকে ধর্ষণের পর হত্যা, গ্রেপ্তার ৩

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়ায় পরিচ্ছন্নতাকর্মী মর্জিনা বেগমকে ধর্ষণের পর হত্যার ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)। বুধবার (২৬ নভেম্বর) দায়ের হওয়া মামলার ভিত্তিতে পিবিআই তদন্ত শুরু করে।

মামলার বাদী রহিমা আক্তার জানান, তার মা মর্জিনা (৪৫) সড়কবাজার এলাকায় পরিচ্ছন্নতাকর্মী ও দিনমজুর হিসেবে কাজ করতেন। সন্ধ্যায় পিঠা বিক্রি করতেন এবং অন্ধ স্বামীকে নিয়ে দেবগ্রাম নয়াবাজার এলাকায় থাকতেন।

গেল ২৫ নভেম্বর ভোররাতে অজ্ঞাত একটি ফোন নম্বর থেকে কল আসার পর মা বাসা থেকে বের হন। সেদিন আর ফিরে না আসায় উদ্বেগ বাড়ে। পরে সন্ধ্যায় খবর পান—পৌরসভার পুরোনো ভবনের পাশে এক নারীর মৃতদেহ পড়ে আছে। সেখানে গিয়ে তিনি মায়ের মরদেহ শনাক্ত করেন। গলায় আঘাত ও শরীরে ময়লার চিহ্ন ছিল।

তদন্তে উঠে আসে—বাজারের দারোয়ান শহিদুল ইসলাম (৪৩) নিজের মোবাইল থেকে ফোন করে ‘মালের গাড়ি এসেছে’ বলে তাকে ডেকে নেন। ফোনের কিছুক্ষণ পর রাত ৩টা ১৮ মিনিটে মর্জিনাকে বাজারে প্রবেশ করতে দেখা যায় ক্যামেরায়। সেখানেই শহিদুল তাকে ধর্ষণ করে। এরপর সহকর্মী হোসেন ওরফে শফিক (৪০) ও রুমান মিয়া (২৪) একই চেষ্টা করলে মর্জিনা বাধা দেন। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে তিনজন মিলে হত্যার সিদ্ধান্ত নেয়। তদন্ত অনুযায়ী—হোসেন গলা চেপে ধরে, শহিদুল হাত চেপে রাখে এবং রুমান তার দুই পায়ের ওপর দাঁড়িয়ে থাকে। মৃত্যুর পর মরদেহ ফেলে ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যায় তারা।

পিবিআই মঙ্গলবার দুপুরে শহিদুলকে কাঁচাবাজার এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করে। পরে তার তথ্যের ভিত্তিতে বিকেলে আখাউড়ার মসজিদপাড়া থেকে হোসেন ও রুমানকে আটক করা হয়। জিজ্ঞাসাবাদে তিনজনই ঘটনার সত্যতা স্বীকার করেছে এবং আদালতে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দিতে রাজি হয়েছে।

এ সম্পর্কিত আরও পড়ুন