ডিবি হেফাজতে হত্যা মামলার সন্দেহভাজন আসামির মৃত্যু
সিরাজগঞ্জে জেলা গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশের হেফাজতে শাহাদত হোসেন (৪৫) নামে হত্যা মামলার এক সন্দেহভাজন আসামির মৃত্যু হয়েছে। স্বজনদের অভিযোগ—আটকের পর নির্যাতনের কারণেই তার মৃত্যু হয়েছে। তবে ডিবি পুলিশের দাবি, শাহাদত আগে থেকেই শ্বাসকষ্টে ভুগছিলেন এবং জিজ্ঞাসাবাদের সময় অসুস্থ হয়ে পড়লে তাকে হাসপাতালে নেওয়া হয়।
শুক্রবার (২১ নভেম্বর) বিকেল ৩টা ৪০ মিনিটে তাকে সিরাজগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয় এবং কিছুক্ষণ পর তার মৃত্যু হয়।
শাহাদত সদর উপজেলার কালিয়া হরিপুর ইউনিয়নের কালিয়া হরিপুর গ্রামের মৃত খলিল শেখের ছেলে। তার মরদেহ সিরাজগঞ্জ ২৫০ শয্যার জেনারেল হাসপাতালের মর্গে রাখা আছে।
পরিবারের সদস্যরা জানান, বৃহস্পতিবার গভীর রাতে প্রায় রাত ৩টার দিকে নিজ বাড়ি থেকে শাহাদতকে আটক করে ডিবি পুলিশ। একই সময় চাঁদপুর গ্রাম থেকে আটক করা হয় সাইদুল হোসেনকে। দুজনকে ডিবি কার্যালয়ে নেওয়ার পর দুপুরের দিকে খবর পাওয়া যায় শাহাদত অসুস্থ হয়ে পড়েছেন। আজ বিকেল ৩টা ৪০ মিনিটে তাকে সিরাজগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয় এবং কিছুক্ষণ পর তার মৃত্যু হয়। স্বজনদের অভিযোগ—হেফাজতে নির্যাতনের ফলেই তার মৃত্যু হয়েছে।
আটক সাইদুলের ভাই শাহ আলম জানান, “ডিবি পুলিশ গভীর রাতে দুজনকে ধরে নিয়ে যায়। কোন মামলায় গ্রেফতার—তা আমাদের জানানো হয়নি। সারাদিন ডিবি অফিসের সামনে অপেক্ষা করেছি। সন্ধ্যায় শুনি শাহাদত মারা গেছে।”
সিরাজগঞ্জ ২৫০ শয্যার জেনারেল হাসপাতালের সার্জারি বিভাগের সিনিয়র নার্স মিমি খানম বলেন, শাহাদতকে ‘ফিজিক্যাল অ্যাসল্ট’ অবস্থায় হাসপাতালে আনা হয়। তাকে ভর্তি করার পর চিকিৎসকরা চেষ্টা করলেও কিছুক্ষণ পর তিনি মারা যান। রোগী মারা যাওয়ার পর পুলিশ সদস্যরা দ্রুত নথিপত্র নিয়ে চলে যান ।
এদিকে পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন ও অর্থ) মাহবুবুর রহমান বলেন, উল্লাপাড়ায় অটোরিকশাচালক আমিনুল ইসলাম হত্যা মামলায় শাহাদতকে সন্দেহভাজন হিসেবে আটক করা হয়েছিল। জিজ্ঞাসাবাদের একপর্যায় তিনি অসুস্থ হয়ে পড়েন। পরে হাসপাতালে নেওয়া হলে তার মৃত্যু হয়। তিনি আগে থেকেই শ্বাসকষ্টে ভুগছিলেন বলে পুলিশ জানায়।
আই/এ