অপরাধ

আদালতে হাজিরা দিতে গিয়েই নিহত হন সন্ত্রাসী মামুন

ছবি: সংগৃহীত

রাজধানীর পুরান ঢাকার ন্যাশনাল মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের সামনে দুর্বৃত্তদের গুলিতে হত্যা মামলার সাজা ভোগ করা আসামী তারিক সাইফ মামুন (৫৬) নিহত হয়েছেন। নিহত মামুন দীর্ঘ ২৪ বছর সাজা ভোগের পর ২০২৩ সালে জেল থেকে বের হন। সন্ত্রাসী মামুন চিত্রনায়ক সোহেল চৌধুরী এবং সাবেক সেনাপ্রধান আজিজ আহমেদের ভাই শহীদ সাঈদ আহমেদ টিপু হত্যা মামলার আসামি ছিলেন

সোমবার (১০ নভেম্বর) মামুন আদালতে একটি মামলার হাজিরা দিতে গিয়েছিলেন বলে জানিয়েছেন তার স্ত্রী রিপা আক্তার।

তিনি জানান, তার স্বামী বিএনপি সমর্থিত একজন কর্মী ও পাশাপাশি ব্যবসা করতো। আজ তার কোর্টে হাজিরা ছিল। তার স্বামীর গুলিবিদ্ধ হওয়ার খবর পেয়ে ঢাকা মেডিকেল হাসপাতালে এসে তার স্বামীকে মৃত অবস্থায় দেখতে পান

ডিএমপির মিডিয়া বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার (ডিসি) মুহাম্মদ তালেবুর রহমান বলেন, তারিক সাঈফ মামুন নামের এক ব্যক্তি নিহত হয়েছেন। তিনি শীর্ষ সন্ত্রাসী কি না বলতে  পারছেন না। তবে মামুন ক্যাপ্টেন ইমন গ্রুপের লোক ছিলেন বলে প্রাথমিকভাবে জানা গেছে।

তিনি বলেন, তার বিরুদ্ধে অনেক মামলা রয়েছে। আজ সে আদালতে হাজিরা দিতে গিয়েছিল। সেখান থেকে বের হওয়ার পরেই দুর্বৃত্তরা তাকে গুলি করে পালিয়ে যায়।

এর আগে ২০২৩ সালের সেপ্টেম্বর মাসে তেজগাঁও সাত রাস্তায় মামুনকে লক্ষ্য করে গুলি করা হয়। ওই ঘটনায় মামুন আহত হলেও পথচারী ভুবন চন্দ্র শীল নিহত হয়।

জানা যায়, নিহত মামুন এক সময় শীর্ষ সন্ত্রাসী ক্যাপ্টেন ইমনের ঘনিষ্ঠ সহযোগী ছিলেন। তবে তার সঙ্গে দীর্ঘদিন যাবৎ শীর্ষ সন্ত্রাসী ক্যাপ্টেন ইমনের দ্বন্দ্ব চলছিল।

ঢাকা ন্যাশনাল মেডিকেলের ওয়ার্ড মাস্টার মহিবুল্লাহ জানান, আনুমানিক ১১ টার দিকে গুলির শব্দ শুনে হাসপাতালের মেইন গেটের সামনে এসে ওই ব্যক্তিকে রক্তাক্ত অবস্থায় রাস্তায় পড়ে থাকতে দেখেনসঙ্গে সঙ্গে তাকে উদ্ধার করে ন্যাশনাল হাসপাতালে নিয়ে যান। অবস্থার অবনতি দেখে সেখান থেকে দ্রুত ঢাকা মেডিকেলে আনা হলে দায়িত্বরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

আই/এ

এ সম্পর্কিত আরও পড়ুন