বিএনপি ও গণঅধিকার পরিষদের সংঘর্ষ, আহত ৩১
পটুয়াখালীর গলাচিপায় বিএনপি ও গণঅধিকার পরিষদের নেতাকর্মীর মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে নারীসহ উভয়পক্ষের ৩১ জন আহত হয়েছেন। আহতদের মধ্যে একজনের অবস্থা গুরুতর।
বৃহস্পতিবার (০৬ নভেম্বর) রাত ৯টার দিকে গলাচিপা উপজেলার দক্ষিণ কপালবেড়া খলিফা বাড়ির সামনের চৌরাস্তায় এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। গলাচিপা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আশাদুর রহমান বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
জানা যায়, গত ৩ নভেম্বর সংসদ নির্বাচনের জন্য দলীয় প্রার্থীর নাম ঘোষণা করে বিএনপি। তবে পটুয়াখালী-৩ (গলাচিপা–দশমিনা) আসনে প্রার্থী ঘোষণা স্থগিত রাখে দলটি। এ আসন থেকে গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি নুরুল হক নুরের নির্বাচন করবার কথা রয়েছে। অপরদিকে বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি হাসান মামুন এ আসন থেকে বিএনপির মনোনয়ন প্রত্যাশী।
এদিকে মনোনয়ন ঘোষণার পর পৌর শহর ও বিভিন্ন ইউনিয়নে স্থানীয় বিএনপির নেতাকর্মীরা দলীয় প্রতীকে হাসান মামুনের মনোনয়ন চেয়ে দফায় দফায় বিক্ষোভ মিছিল করেছে। নেতাকর্মীরা দলীয় প্রার্থী বাইরে বিকল্প কোন প্রার্থী মেনে নিতে নারাজ। এর মধ্যে গতকাল রাতে পটুয়াখালীর গলাচিপা উপজেলার চর শিবা সাংগঠনিক ইউনিয়নের চর কপালবেড়া নামক স্থানে গণঅধিকার পরিষদ ও বিএনপির কর্মীদের মধ্যে বাকবিতন্ডার একপর্যায়ে দুই দলের মধ্যে সংঘর্ষ সৃষ্টি হয়। এতে নারীসহ উভয় পক্ষের অন্তত ৩১ জন আহত হয়েছেন। এদের মধ্যে চর শিবা সাংগঠনিক ইউনিয়ন শাখার যুব অধিকার পরিষদের সদস্য, মো: আজমির খলিফাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য বরিশাল পাঠানো হয়েছে।
আহতদের গলাচিপা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। ঘটনার পর চর কপালবেড়াসহ পুরো চর কাজল ইউনিয়নে থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাতেই ঘটনাস্থল ও হাসপাতালে পুলিশ মোতায়েন করা হয়।
হাসান মামুন বলেন, ৭ নভেম্বর বিপ্লব ও সংহতি দিবস এর প্রোগ্রাম সফল করার জন্য কর্মীরা চেষ্টা করছিল। এই প্রোগ্রাম বিঘ্নিত করার জন্য এমনটা করা হয়েছে কিনা সেটা গণমাধ্যম কর্মী ও প্রশাসন কে খতিয়ে দেখার আহ্বান জানান।
পটুয়াখালী জেলা যুব অধিকার পরিষদ এর সহসভাপতি মহিবুল্লা (এনিম) বলেন, গ্রামের অধিপত্যে বিস্তারকে কেন্দ্র করে কয়েকদিন আগে খেলার মাঠে খলিফা বাড়ি ও রাঢ়ী বাড়ির মধ্যে ঝামেলা হয়। এটাকে রাজনৈতিক রঙ দেবার চেষ্টা চলছে। তবে এলাকার সকালে সাথে বসে বিষয়টি সমাধানের জন্য চেষ্টা চলছে।
ওসি মো. আশাদুর রহমান জানান, দুই পক্ষের মধ্যে মারামারি হয়েছে। পুলিশ ঘটনাস্থলে পাঠানো হয়েছে। দুটি পরিবারের সদস্যরা দুই রাজনৈতিক দলের সমর্থক। তাদের পূর্বে প্রভাব বিস্তার নিয়ে পারিবারিক বিরোধ আছে। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে এ নিয়ে সংঘর্ষ হতে পারে। এ বিষয়ে কেউ লিখিত অভিযোগ দেয়নি। অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
আই/এ