ছাত্রলীগ নেতা হত্যা মামলায় সাবেক এমপি মিল্লাতসহ ১৬ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র
সিরাজগঞ্জের আলোচিত ছাত্রলীগ নেতা এনামুল হক বিজয় হত্যা মামলায় আওয়ামী লীগের সাবেক সংসদ সদস্য হাবিবে মিল্লাত মুন্নাসহ ১৬ জনের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেছে সিআইডি।
আজ সোমবার (৩ নভেম্বর) দুপুরে সিরাজগঞ্জ সদর আমলী আদালতের জিআরও জুয়েল রানা বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
তিনি জানান, মামলার আগামী শুনানির তারিখ নির্ধারণ করা হয়েছে আগামী ১৪ ডিসেম্বর, সেদিন অভিযোগপত্রের চার্জ গঠন শুনানি অনুষ্ঠিত হতে পারে।
সিআইডির দাখিল করা অভিযোগপত্রে মোট ১৬ জনের নাম রয়েছে। তাদের মধ্যে ৪ জন জামিনে থাকলেও বাকি ১২ জন এখনো পলাতক।
অভিযুক্তরা হলেন—সিরাজগঞ্জ-২ (সদর-কামারখন্দ) আসনের সাবেক সংসদ সদস্য ও জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক হাবিবে মিল্লাত মুন্না, পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি হেলাল উদ্দিন, জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি আহসান হাবিব খোকা, জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক শিহাব আহমেদ জিহাদ, যুবলীগ নেতা এমদাদুল হক এমদাদ, ছাত্রলীগ নেতা আশিকুর রহমান বিজয়, আল-আমিন, জাহিদুল ইসলাম, সাব্বির হোসেন, সোহাগ, পারভেজ রেজা, তারিকুজ্জামান লিয়ন, মামুন, রাশিদুল হাসান রাশেদ, জুবায়ের হোসেন ও আল-আমিন বাবু।
এর আগে ২০২১ সালের ১৩ এপ্রিল জেলা গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি) প্রথম দফায় ১২ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দেয়। তবে সেই চার্জশিটে পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি হেলাল উদ্দিন, জেলা ছাত্রলীগ সভাপতি আহসান হাবিব খোকা ও যুবলীগ নেতা এমদাদুল হক এমদাদকে অব্যাহতি দেওয়া হয়।
এই অভিযোগপত্রের বিরুদ্ধে নিহত বিজয়ের পরিবারের পক্ষ থেকে নারাজি আবেদন করা হলে আদালত মামলাটি পুনঃতদন্তের নির্দেশ দেয়। পরবর্তীতে ২০২২ সালের ৩ নভেম্বর আদালত সিআইডিকে তদন্তের দায়িত্ব দেয়। দীর্ঘ তদন্ত শেষে অবশেষে সিআইডি নতুন করে এই অভিযোগপত্র দাখিল করেছে।
নিহত এনামুল হক বিজয় ছিলেন কামারখন্দ উপজেলার হাজী করপ আলী সরকারি কলেজ শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি এবং কামারখন্দ উপজেলার চালা গ্রামের আব্দুল কাদেরের ছেলে।
মামলার এজাহার অনুযায়ী, ২০২০ সালের ১৬ জুন বিকেলে সাবেক স্বাস্থ্যমন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিমের স্মরণসভায় যোগ দিতে বাড়ি থেকে বের হন বিজয়। শহরের বাজার স্টেশন এলাকায় পৌঁছালে জেলা ছাত্রলীগ নেতা শিহাব আহমেদ জিহাদ, আল-আমিন, আশিকুর রহমান বিজয়সহ কয়েকজন মিলে তার ওপর হামলা চালায়।
এ সময় ধারালো অস্ত্রের আঘাতে গুরুতর আহত হন তিনি। প্রথমে সিরাজগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালে এবং পরে ঢাকার নিউরো সায়েন্স হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে নয় দিন মৃত্যুর সঙ্গে লড়াই করে ২০২০ সালের ৫ জুলাই শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন বিজয়।
আই/এ