বাংলাদেশকে করাচি বন্দর ব্যবহারের সম্মতি দিলো পাকিস্তান
দীর্ঘ ২০ বছর পর বাংলাদেশ ও পাকিস্তানের মধ্যে নবম যৌথ অর্থনৈতিক কমিশনের (জেইসি) বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে। বৈঠকে বাংলাদেশকে করাচি বন্দর ব্যবহার করার সম্মতি দিয়েছে পাকিস্তান। অন্যদিকে, পাকিস্তানি বাজারে বাংলাদেশি পণ্যের শুল্কমুক্ত ও কোটামুক্ত প্রবেশাধিকার চেয়েছে ঢাকা।
সোমবার (২৭ অক্টোবর) রাজধানীর আগারগাঁওয়ে পরিকল্পনা কমিশনে এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।
এই বৈঠকে দুই দেশের যৌথ উদ্যোগে ভ্যাকসিন ডেভেলপমেন্ট, স্বাস্থ্য সংক্রান্ত গবেষণা, পরিবার পরিকল্পনা ও প্রজনন স্বাস্থ্য খাতে সহযোগিতা বৃদ্ধির বিষয়ে আলোচনা হয়েছে। বাংলাদেশের ডিজিটাল নাগরিক আইডেন্টিটি ও পাসপোর্ট ডিজিটালাইজেশনে সহযোগিতায় পাকিস্তান আগ্রহ দেখিয়েছে বলেও জানা গেছে।
এছাড়াও, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি (আইসিটি) ও মেরিটাইম খাতেও যৌথ কার্যক্রমের সম্ভাবনা রয়েছে। বাংলাদেশ শিপিং করপোরেশন এবং পাকিস্তান ন্যাশনাল শিপিং করপোরেশনের মধ্যে সমঝোতা স্মারক সই হয়েছে।
প্রায় তিন ঘণ্টার বৈঠক শেষে গণমাধ্যমের সাথে কথা বলেন অর্থ উপদেষ্টা সালেহউদ্দিন আহমেদ এবং পাকিস্তানের জ্বালানিমন্ত্রী আলী পারভেজ মালিক।
সালেহউদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘আজকে আমরা বাংলাদেশ পাকিস্তান নবম জয়েন্ট ইকোনমিক কমিশনের একটা সভা করেছি। এইটা দুই যুগ পরে হয়েছে। এটা একটা রিমার্কেবল ব্যাপার। ২০০৫ সালের পর এই প্রথম এমন বৈঠক অনুষ্ঠিত হলো। এ সভা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ এবং দুই দেশের জনগণের উপকারে আসবে।’
পাকিস্তানের জ্বালানিমন্ত্রী জানান, ‘বাংলাদেশ ও পাকিস্তানের মধ্যে এ আলোচনার কারণে দুই দেশের জনগণের মধ্যে সম্পর্ক বাড়বে, এ কারণে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক আরও মজবুত হবে।’ বাংলাদেশ থেকে পাট, ওষুধ নেওয়ার বিষয়ও আলোচনা হয়েছে বলে জানান তিনি।
বাংলাদেশ সরকারের অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগ (ইআরডি) জানিয়েছে, পাকিস্তান বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের জন্য ৫০০ নতুন বৃত্তি প্রদানের প্রস্তাব দিয়েছে এবং তারা বাংলাদেশে তাদের একটি বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাস স্থাপনের আগ্রহ প্রকাশ করেছে। এছাড়া, পাকিস্তান সিকিউরিটি প্রিন্টিং ও ব্যাংকিং খাতে আন্তর্জাতিক দরপত্রে অংশ নিতে চায় এবং বাংলাদেশে ব্যাংক খাতের কারিগরি প্রশিক্ষণ দিতে আগ্রহী।
এসএইচ//