আন্তর্জাতিক

কলম্বিয়ার প্রেসিডেন্ট পেত্রোর ওপর যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞা

কলম্বিয়ার প্রেসিডেন্ট গুস্তাভো পেত্রোর বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে যুক্তরাষ্ট্র। অবৈধ মাদক ব্যবসা রোধে ব্যর্থ হওয়ায় এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে দাবি করেছে ওয়াশিংটন। শুক্রবার (২৪ অক্টোবর) বিষয়টি নিশ্চিত করেছে মার্কিন প্রশাসন।

মার্কিন ট্রেজারি সেক্রেটারি স্কট বেসেন্ট এক বিবৃতিতে জানান, পেত্রো দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকে কলম্বিয়ায় কোকেন উৎপাদন আশঙ্কাজনকভাবে বেড়েছে— যা যুক্তরাষ্ট্রে গুরুতর প্রভাব ফেলছে। তার অভিযোগ, প্রেসিডেন্ট পেত্রো মাদকচক্রগুলোর কার্যক্রম বন্ধে কোনো কঠোর পদক্ষেপ নেননি, বরং পরোক্ষভাবে তাদের বিকাশে সহায়তা করেছেন।

বেসেন্ট বলেন, “আমরা আমাদের জনগণকে সুরক্ষিত রাখতে এবং অবৈধ মাদক পাচার বন্ধে কঠোর অবস্থান নিচ্ছি। যুক্তরাষ্ট্র কখনও এমন কর্মকাণ্ড মেনে নেবে না।”

তবে মার্কিন দাবি নাকচ করে পেত্রো সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্স পোস্টে জানান, তিনি অবৈধ মাদক পাচারের বিরুদ্ধে সক্রিয়ভাবে লড়াই করছেন। 

তিনি জানান, এটি এক ধরনের বৈপরীত্য, তবে তাঁরা এক পা-ও পিছু হটবেন না, কখনোই মাথা নত করবেন না। তিনি জানান, এ বিষয়ে তিনি আইনি আপিল দায়ের করবেন।

তিনি আরও জানান, মার্কিন আইনজীবী ড্যানি কোভালিক তাঁর পক্ষে আইনি লড়াই করবেন।

পেত্রোর পাশাপাশি তার ছেলে নিকোলাস ফার্নান্দো পেত্রো বার্গোস, স্ত্রী ভেরোনিকা ডেল সোকোরো আলকোসার গার্সিয়া এবং স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আরমান্ডো বেনেদেত্তিকেও কালো তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করেছে যুক্তরাষ্ট্র।

এর আগে সেপ্টেম্বরের শেষদিকে জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদে ফিলিস্তিনপন্থী বক্তব্য দেওয়ার পর পেত্রোর ভিসা বাতিল করেছিল মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তর।

নতুন নিষেধাজ্ঞার পর যুক্তরাষ্ট্র জানিয়েছে, কলম্বিয়াকে আর তারা মাদকবিরোধী সহযোগী দেশ হিসেবে বিবেচনা করবে না।

মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের মুখপাত্র টমি পিগট বলেন, “পেত্রো যেভাবে মাদকচক্র ও সন্ত্রাসীদের প্রশ্রয় দিচ্ছেন, তা উপেক্ষা করা সম্ভব নয়। যুক্তরাষ্ট্র অবৈধ মাদক প্রতিরোধে এবং অপরাধীদের বিচারের আওতায় আনতে দৃঢ়প্রতিজ্ঞ।”

 

এমএ//

এ সম্পর্কিত আরও পড়ুন