আন্তর্জাতিক

রাশিয়ায় ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালালো ইউক্রেন

যুক্তরাজ্য নির্মিত স্টর্ম শ্যাডো ক্ষেপণাস্ত্র ছবি: সংগৃহীত

যুক্তরাজ্যের নির্মিত দুরপাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র স্টর্ম শ্যাডো ব্যবহার করে  রাশিয়ার একটি গুরুত্বপূর্ণ রাসায়নিক কারখানায় হামলা চালিয়েছে ইউক্রেন। এই হামলাটি ছিল বৃহৎ পরিসরের যৌথ ক্ষেপণাস্ত্র ও বিমান হামলার অংশ। এখন পর্যন্ত রাশিয়া এ বিষয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে কোন তথ্য প্রকাশ করেনি

মঙ্গলবার (২১ অক্টোবর) ব্রিটিশ সংবাদ সংস্থা বিবিসি এক প্রতিবেদনে জানায়,  ইউক্রেনীয় সেনাবাহিনী কর্তৃক এই হামলাকে সফল হামলাবলে খবর প্রচার করে

ইউক্রেনের সেনা সদর দপ্তর জানায়, এই ক্ষেপণাস্ত্র হামলা রুশ আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা ভেদ করে সফলভাবে আঘাত হানতে সক্ষম হয়েছে। এই হামলার মূল লক্ষ্যবস্তু ছিল রাশিয়ার ব্রায়ানস্ক কেমিক্যাল প্লান্ট, যাকে ইউক্রেন আগ্রাসী রাষ্ট্রের সামরিক-শিল্প কমপ্লেক্সের একটি মূল স্থাপনা বলে উল্লেখ করে

সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম এক্স- এ ইউক্রেনের সেনাবাহিনী আরও জানায়, ওই কারখানায় গানপাউডার, বিস্ফোরক এবং রকেট জ্বালানির উপাদান তৈরি হয়, যা রুশ বাহিনী ইউক্রেনের ভূখণ্ডে হামলার জন্য ব্যবহার করছে

অন্যদিকে, এই হামলার জবাবে কয়েক ঘণ্টা পরই রাশিয়া ইউক্রেনের বিভিন্ন অঞ্চলে ব্যাপক ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালায়, যাতে ছয়জন নিহত হন। এর মধ্যে দুইজন শিশু রয়েছে বলে জানিয়েছেন, ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি

রাশিয়া দীর্ঘদিন ধরেই পশ্চিমা দেশগুলোকে সতর্ক করে আসছে, ইউক্রেনকে যেন এমন অস্ত্র না দেওয়া হয় যা দিয়ে দূরপাল্লার আক্রমণ চালানো সম্ভব তবে কিয়েভের দাবি, মস্কোর যুদ্ধযন্ত্র চালাতে যেসব স্থাপনা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে, সেগুলোতে হামলা চালানো অত্যাবশ্যক

একই দিনে (২১ অক্টোবর) ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী কিয়ার স্টারমারসহ ইউরোপীয় নেতারা ঘোষণা দেন, রাশিয়ার অর্থনীতি ও প্রতিরক্ষা শিল্পের ওপর চাপ বজায় থাকবে যতক্ষণ না প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন শান্তি আলোচনায় রাজি হচ্ছেন যৌথ বিবৃতিতে তারা বলেন, যুদ্ধবিরতির আগে, চলাকালীন এবং পরেও ইউক্রেনকে সবচেয়ে শক্ত অবস্থানে থাকতে হবে।

এদিকে, বুধবার (২২ অক্টোবর) সকালে ইউক্রেনের রাজধানী কিয়েভে আবারও বিমান হামলা চালিয়েছে রাশিয়া, বলে জানিয়েছেন মেয়র ভিতালি ক্লিৎসকো। বর্তমানে মস্কো ইউক্রেনের প্রায় ২০ শতাংশ এলাকা দখলে রেখেছে। তবে, ইউক্রেনের সাম্প্রতিক এই হামলাকে প্রতিরোধ যুদ্ধের একটি নতুন ধাপ হিসেবে দেখা হচ্ছে, যা রাশিয়ার সামরিক সক্ষমতায় চাপ তৈরি করতে পারে বলে আশংকা করছেন বিশেষজ্ঞরা। 

 

এসএইচ//

এ সম্পর্কিত আরও পড়ুন