এইচএসসি ২০২৫
‘বিগত ফলাফলগুলোয় গলদ ছিল’: আন্তঃশিক্ষা বোর্ড সভাপতি
বিগত বছরের ফলাফলগুলোয় ত্রুটি বা অসঙ্গতি ছিল। এবারের এইচএসসি ফলাফল থেকেই তা স্পষ্ট হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন আন্তঃশিক্ষা বোর্ড সমন্বয় কমিটির সভাপতি ও ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. খন্দোকার এহসানুল কবির।
বৃহস্পতিবার (১৬ অক্টোবর) সকালে ফলাফল প্রকাশের পর আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, ‘এসএসসির পর এইচএসসির ফলও আমরা প্রকাশ করেছি। কাউকে নির্দেশ দেওয়া হয়নি যেন ছাড় দিয়ে পাসের হার বাড়ানো হয়। সরকারের নির্দেশনা ছিল—সব কিছু নিয়ম মেনেই হবে। বিগত ফলাফলগুলোয় গলদ ছিল, এবারের ফলাফল থেকেই তা প্রতীয়মান হয়।’
তিনি আরও বলেন, ‘ভুল লিখলেও ১-২ নম্বর বাড়ানোর প্রয়োজন নেই—এ বিষয়ে সবাই একমত ছিলেন। পরীক্ষকরা খুশি, কারণ এবার তারা সময় নিয়ে ভালোভাবে খাতা মূল্যায়ন করতে পেরেছেন। বোর্ড থেকে কোনো বাড়তি চাপ দেওয়া হয়নি।’
এ বছর দেশের ১১টি শিক্ষা বোর্ডের অধীনে একযোগে প্রকাশিত এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষার গড় পাসের হার ৫৮ দশমিক ৮৩ শতাংশ। গেল বছর এই হার ছিল ৭৭ দশমিক ৭৮ শতাংশ। ফলে পাসের হার কমেছে প্রায় ১৯ শতাংশ।
২০২৪ সালে শতভাগ পাস প্রতিষ্ঠান ছিল ১ হাজার ৩৮৮টি, আর এ বছর তা নেমে এসেছে ৩৪৫টিতে। এক বছরের ব্যবধানে কমেছে ১ হাজার ১৩টি প্রতিষ্ঠান। অন্যদিকে শূন্য পাস প্রতিষ্ঠান সংখ্যা ৬৫ টি থেকে বেড়ে হয়েছে ২০২টি।
এবারও ফলাফলে এগিয়ে রয়েছে মেয়েরা। সারাদেশে ছাত্রদের তুলনায় ৫৯ হাজার ২৩২ জন বেশি ছাত্রী পাস করেছেন, এবং ৪ হাজার ৯৯১ জন বেশি ছাত্রী জিপিএ-৫ পেয়েছেন।
৯টি সাধারণ শিক্ষা বোর্ডে ছাত্রদের তুলনায় উত্তীর্ণ ছাত্রী বেশি ৮৭ হাজার ৮১৪ জন, আর জিপিএ-৫ পাওয়া ছাত্রী বেশি ৫ হাজার ৯৭ জন।
তবে এবার জিপিএ-৫ প্রাপ্ত শিক্ষার্থী কমেছে ৭৬ হাজার ৮১৪ জন। ২০২৪ সালে ১ লাখ ৪৫ হাজার ৯১১ জন জিপিএ-৫ পেয়েছিল। ২০২৫ সালে তা কমে দাঁড়িয়েছে ৬৯ হাজার ৯৭ জনে।
এ বছর দেশের ১১টি শিক্ষা বোর্ডের অধীনে ১২ লাখ ৫১ হাজার ১১১ জন শিক্ষার্থী এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষার জন্য ফরম পূরণ করেন। এর মধ্যে ৬ লাখ ১৮ হাজার ১৫ জন ছাত্র এবং ৬ লাখ ৩৩ হাজার ৯৬ জন ছাত্রী। মোট ২ হাজার ৭৯৭টি কেন্দ্রে পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। তবে প্রায় ২৭ হাজার শিক্ষার্থী পরীক্ষায় অংশ নেয়নি।
এমএ//