জনগণ নয়, নির্বাচন নিয়ে দুই একজন সিনিয়র সাংবাদিক কনফিউশনে : প্রেস সচিব
প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম বলেছেন, আমি তো দেখছি সাধারণ মানুষ খুব ভালোভাবে নিচ্ছে যে ইলেকশন ফেব্রুয়ারিতে হবে। আমি তো কনফিউশন দেখছি দুই-একজন তথাকথিত সিনিয়র সাংবাদিকের মধ্যে। তারা দুই-একটা সময় টেলিভিশনে আসেন, এসে বলেন। আমরা দেখি যে সোজা বাংলায় যাকে বলে ‘তারা মার্কেট গরম করতে চান’।
বৃহস্পতিবার (৯ অক্টোবর) রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে আয়োজিত এক ব্রিফিংয়ে একথা বলেন তিনি।
প্রেস সচিব বলেন, বাংলাদেশের মানুষ নির্বাচনের জন্য প্রস্তুত। নির্বাচনের ট্রেন তো ছেড়ে গেছে। আপনি যদি গ্রামাঞ্চলে যান, গিয়ে দেখবেন ইলেকশনের জন্য ক্রেজ, উত্তাপ। আজকেই দেখেন একটা দল নির্বাচনে তাদের প্রার্থী কারা হবেন ঘোষণা করেছে।
প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব বলেন, ‘ব্যক্তিগত উপাত্ত সুরক্ষা অধ্যাদেশ, ২০২৫’ এবং ‘জাতীয় উপাত্ত ব্যবস্থাপনা অধ্যাদেশ, ২০২৫’ অনুমোদন দিয়েছে উপদেষ্টা পরিষদ। এই অধ্যাদেশের ফলে ডেটার (উপাত্ত) মালিকানা জনগণের কাছে থাকবে।
তিনি বলেন, ‘ব্যক্তি তথ্য উপাত্ত সুরক্ষা অধ্যাদেশের মাধ্যমে ডেটা লোকালাইজেশন আমরা উঠিয়ে দিয়েছি। অর্থাৎ যেহেতু বিশ্ব ক্লাউডে যাচ্ছে, সারা বিশ্বের একটা কমন উদ্দেশ্যে হচ্ছে “ক্লাউড ফার্স্ট”। মাইক্রোসফট, অ্যাপলের মতো প্রতিষ্ঠান ক্লাঊডেই সবকিছু প্রসেস করে। সেজন্য আমরা যদি ডেটা লোকালাইজ করি, পটেনশিয়ালি আমাদের বিজনেস ব্লক করে দিচ্ছে। সেজন্য আমরা যৌক্তিক কারণে সেখান থেকে সরে এসেছি।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমরা এমন একটা শাসনব্যবস্থায় বাস করেছি যেখানে মনে করা হতো ডেটার (উপাত্ত) মালিকানা সরকারের কিংবা ডেটার মালিকানা যে মন্ত্রণালয় বিভাগ বা সংস্থা কালেক্ট করে তাদের। আমরা এই দর্শনকে এই আইনের মাধ্যমে পরিবর্তন করেছি। আমরা নতুন আইনের মাধ্যমে বলার চেষ্টা করেছি যে ডেটার মালিকানা জনগণের। অর্থাৎ ব্যক্তিমালিকানার যে ডেটা সেটার সত্ত্বাধিকারী হবে ব্যক্তি। ব্যক্তির সম্মতি সাপেক্ষে ব্যক্তি পক্ষে ডেটা সংগ্রহ, সংরক্ষণ, বিনিময় কিংবা প্রক্রিয়াজাত করতে পারবে। অর্থাৎ এই চারটি কাজে ব্যক্তির সম্মতি বাধ্যতামূলক থাকবে’।
আই/এ