‘এই দানবকে থামাতে হবে’: এরদোয়ানের হুঁশিয়ারি
তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়্যেপ এরদোয়ান ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু এবং তার মন্ত্রিসভার বিরুদ্ধে গণহত্যার অভিযোগ এনে অবিলম্বে বিচারের দাবি জানিয়েছেন। শনিবার (২৭ সেপ্টেম্বর) ইস্তাম্বুলে বসফরাস ডিপ্লোমেসি ফোরাম অন ডেমোক্রেসি অ্যান্ড ফ্রিডমস আইল্যান্ডে ভাষণ দিতে গিয়ে তিনি বলেন, “এই দানবকে অবশ্যই থামাতে হবে।”
এরদোয়ান উল্লেখ করেন, গত ২৬ সেপ্টেম্বর জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদে নেতানিয়াহু কার্যত খালি আসনের সামনে বক্তৃতা দিতে বাধ্য হয়েছিলেন।
তিনি বলেন, “গণহত্যার নেটওয়ার্কের প্রধান গতকাল জাতিসংঘে মিথ্যা ও হুমকি ছড়িয়েছেন, কিন্তু শুনতে কেউ ছিল না।”
তুর্কি প্রেসিডেন্ট ইসরায়েলের বিরুদ্ধে কঠোর আন্তর্জাতিক নিষেধাজ্ঞার আহ্বান জানান।
এর মধ্যে ক্রীড়া প্রতিযোগিতা থেকেও ইসরায়েলকে বাদ দেয়ার দাবি তোলেন তিনি।
এরদোয়ান বলেন, “স্পেনের অবস্থানকে অবমূল্যায়ন করা যাবে না। আমাদের ফুটবল ফেডারেশনের সভাপতিও এ বিষয়ে মত প্রকাশ করেছেন। আমরা অবশ্যই এটি মূল্যায়ন করব।”
ফিলিস্তিনকে স্বীকৃতি দেয়া শুরু করা দেশগুলোর প্রশংসা করে তিনি বলেন, যদিও এটি অনেক দেরিতে হয়েছে, তবুও এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ। একইসঙ্গে তিনি সতর্ক করে দেন- গাজার ধ্বংসযজ্ঞের জন্য ইসরায়েলকে ১০০ বিলিয়ন ডলার ক্ষতিপূরণ দিতে হবে।
এরদোয়ান আরও বলেন, “বিশ্বের অন্য দেশগুলোকেও তুরস্কের মতো এগিয়ে এসে ইসরায়েলের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ নিতে হবে। অন্যথায় এই বিশৃঙ্খলা কেবল মধ্যপ্রাচ্যে সীমাবদ্ধ থাকবে না, বরং পুরো বিশ্বকে গ্রাস করবে।”
নিজের বক্তব্যে তিনি তুর্কি প্রবাদ উল্লেখ করে বলেন, “নিপীড়িতের অভিশাপকে ভয় করো—এটি ধীরে ধীরে হলেও একসময় আঘাত হানবেই।”
তিনি অভিযোগ করেন, যারা আগে গাজার ইস্যুকে কেবল হামাসের সঙ্গে যুক্ত করেছিলেন, তারাও এখন বুঝতে শুরু করেছেন যে বাস্তবতা ভিন্ন।
কাতারের ওপর সাম্প্রতিক হামলার প্রসঙ্গ টেনে এরদোয়ান বলেন, “এতে স্পষ্ট হয়েছে—ইসরায়েলের উদ্বেগ কেবল গাজা নয়, তাদের উদ্দেশ্য আরও গভীর।”
সূত্র: তুর্কি টুডে
এসি//