আন্তর্জাতিক

আন্তর্জাতিক সন্ত্রাসবাদের ‘কেন্দ্র’ পাকিস্তান: ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী

জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের ৮০তম অধিবেশনে শান্তি প্রতিষ্ঠা ও সন্ত্রাসবাদ মোকাবিলার বিষয়ে দৃঢ় অবস্থান জানিয়েছে ভারত। নিউইয়র্কে স্থানীয় সময়  শনিবার (২৭ সেপ্টেম্বর) দেয়া বক্তব্যে ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস. জয়শঙ্কর ইউক্রেন ও গাজায় চলমান সংঘাত বন্ধে বিশ্ব নেতাদের সক্রিয় ভূমিকার আহ্বান জানান। পাশাপাশি, পাকিস্তানকে উদ্দেশ করে তিনি বলেন, "বড় আন্তর্জাতিক সন্ত্রাসবাদের মূল একটি দেশে।"

বক্তব্যে জয়শঙ্কর জানান, যেসব দেশ সন্ত্রাসবাদকে ‘রাষ্ট্রীয় নীতি’ হিসেবে গ্রহণ করেছে, তাদের বিরুদ্ধে সুস্পষ্ট ও দ্ব্যর্থহীনভাবে অবস্থান নিতে হবে।

তিনি বলেন, “যখন সন্ত্রাসবাদের হাব সক্রিয়ভাবে কাজ করে, কিংবা সন্ত্রাসবাদের প্রশংসা করা হয়, তখন তা শুধু নিন্দা নয়, কার্যকর পদক্ষেপ দাবি করে।”

তিনি পাকিস্তানকে সন্ত্রাসবাদের ‘কেন্দ্র’ হিসেবে উল্লেখ করে বলেন, স্বাধীনতার পর থেকে ভারত সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে লড়ছে এবং গত কয়েক দশকে যেসব ভয়াবহ হামলা হয়েছে, তার পেছনে একমাত্র দায়ী পাকিস্তান।

ভারতের ‘অপারেশন সিঁদুর’-এর প্রসঙ্গ টেনে জয়শঙ্কর বলেন, “ভারত তার জনগণকে রক্ষায় আত্মরক্ষার অধিকার প্রয়োগ করেছে এবং যারা হামলা চালিয়েছে, তাদের বিচারের মুখোমুখি করেছে।”

পররাষ্ট্রমন্ত্রী আরও বলেন, “সন্ত্রাসবাদের অর্থায়নের পথ বন্ধ করতে হবে এবং এই 'বাস্তুতন্ত্রের' ওপর টেকসই চাপ বজায় রাখতে হবে। যারা এই সন্ত্রাসবাদকে প্রশ্রয় দেয়, একসময় তারাই এর শিকার হবে।”

বিশ্ব শান্তির বিষয়ে কথা বলতে গিয়ে জয়শঙ্কর বলেন, “আমাদের প্রত্যেকেরই শান্তি ও সমৃদ্ধিতে অবদান রাখার সুযোগ আছে। সংঘাতের ক্ষেত্রে, বিশেষ করে ইউক্রেন ও গাজার মতো এলাকায়, এমনকি যারা সরাসরি জড়িত নয়, তারাও এর প্রভাব অনুভব করছে।”

তিনি জানান, ভারত যেকোনো শান্তিপূর্ণ উদ্যোগকে সমর্থন করবে এবং শত্রুতা বন্ধের পক্ষে থাকবে।

এছাড়া, বিশ্বে চলমান অন্যান্য 'হটস্পট' সংকটগুলোতেও নজর দেয়ার আহ্বান জানান জয়শঙ্কর। তিনি বলেন, “২০২২ সাল থেকে শক্তি ও খাদ্য নিরাপত্তা সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। উন্নত দেশগুলো নিজেদের গুটিয়ে নিয়েছে, আর দুর্বল দেশগুলো টিকে থাকার লড়াই করছে।”

সূত্র: এনডিটিভি

 

এসি//

 

 

এ সম্পর্কিত আরও পড়ুন