কাল শুরু হচ্ছে শারদীয় দুর্গাপূজা, প্রস্তুত ৩৩ হাজারের বেশি মণ্ডপ
মহাষষ্ঠীর পূজার মধ্য দিয়ে আগামীকাল রবিবার (২৮ সেপ্টেম্বর) থেকে শুরু হচ্ছে হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব শারদীয় দুর্গাপূজা। ২ অক্টোবর বিজয়া দশমীতে প্রতিমা বিসর্জনের মাধ্যমে সমাপ্তি ঘটবে পাঁচ দিনব্যাপী এই মহোৎসবের।
এবারের পূজার আয়োজন আগের বছরের তুলনায় আরও বৃহৎ আকার ধারণ করেছে। বাংলাদেশ পূজা উদ্যাপন পরিষদের তথ্য অনুযায়ী, সারাদেশে ৩৩ হাজার ৩৫৫টি মণ্ডপে পূজার প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়েছে, যা গতবারের তুলনায় প্রায় দুই হাজার বেশি। কেবল রাজধানী ঢাকাতেই ২৫৮টি মণ্ডপে পূজা অনুষ্ঠিত হবে। প্রতিমা সাজসজ্জা, আলোকায়নসহ সব প্রস্তুতি এখন শেষ পর্যায়ে।
দেশজুড়ে ইতোমধ্যে উৎসবের আমেজ ছড়িয়ে পড়েছে। সরকারি আদেশে পূজা উপলক্ষ্যে বুধবার (মহানবমী) ও বৃহস্পতিবার (বিজয়া দশমী) ছুটি থাকবে। এর সঙ্গে শুক্রবার-শনিবারের সাপ্তাহিক ছুটি মিলিয়ে টানা চার দিনের ছুটি পাওয়া যাবে।
এবারের পূজার প্রধান তিথি হলো—২৮ সেপ্টেম্বর মহাষষ্ঠী, ২৯ সেপ্টেম্বর মহাসপ্তমী, ৩০ সেপ্টেম্বর মহাষ্টমী, ১ অক্টোবর মহানবমী এবং ২ অক্টোবর বিজয়া দশমী। শাস্ত্রমতে, এ বছর দেবী দুর্গা আসছেন গজে (হাতি), যা শান্তি ও সমৃদ্ধির প্রতীক। তবে বিদায় হবে দোলায় (পালকি), যা অশুভ সংকেত হিসেবে ধরা হয়।
ধর্মীয় গ্রন্থে বলা হয়েছে, দেবী দুর্গা ভক্তদের বিপদ, দুঃখ ও অশুভ শক্তি থেকে রক্ষা করেন। শাস্ত্র মতে, ত্রেতা যুগে রামচন্দ্র রাবণের বিরুদ্ধে যুদ্ধে জয়ের আশায় শরৎকালে মহামায়ার পূজা করেছিলেন, সেখান থেকেই এই শরৎকালীন দুর্গাপূজার সূচনা।
উৎসব ঘিরে নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে সারাদেশে বিশেষ ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। পুলিশ, র্যাব, বিজিবি, আনসার ও স্বেচ্ছাসেবকরা নিরাপত্তায় থাকবেন। রাজধানীর ঢাকেশ্বরী জাতীয় মন্দিরে খোলা হবে কেন্দ্রীয় নিয়ন্ত্রণ কক্ষ।
ঢাকেশ্বরী মন্দির ছাড়াও রামকৃষ্ণ মঠ-মিশন, তাঁতীবাজার, শাঁখারীবাজারসহ বিভিন্ন স্থানে পূজা উপলক্ষ্যে ভক্তিমূলক গান, আরতি প্রতিযোগিতা, মহাপ্রসাদ বিতরণ ও বিজয়া শোভাযাত্রার আয়োজন থাকবে।
বাংলাদেশ পূজা উদযাপন পরিষদ ও মহানগর সার্বজনীন পূজা কমিটি হিন্দু সম্প্রদায়সহ সকল ধর্ম-বর্ণের মানুষকে শুভেচ্ছা জানিয়েছে।
এমএ//