জাতিসংঘের ঘটনাকে ‘ত্রিমুখী নাশকতা’র অভিযোগ ট্রাম্পের
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প গত মঙ্গলবার (২৩ সেপ্টেম্বর) জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদে অংশগ্রহণকালে একাধিক প্রযুক্তিগত সমস্যার মুখে পড়েন। গতকাল বুধবার (২৪ সেপ্টেম্বর) তিনি এই ঘটনাগুলিকে “ত্রিমুখী নাশকতা” হিসেবে আখ্যা দিয়ে জাতিসংঘের ওপর একটি আনুষ্ঠানিক তদন্তের দাবি করেছেন।
ট্রাম্প ও ফার্স্ট লেডি মেলানিয়া ট্রাম্প জাতিসংঘ সদর দপ্তরের চলন্ত সিঁড়িতে ওঠার পর সেটি বন্ধ হয়ে যায়। যার ফলে তাদের হেঁটে উপরে উঠতে হয়। অধিবেশনে বক্তব্য দেয়ার সময় টেলিপ্রম্পটারটিও (বক্তব্যের লিখিত রূপ ভেসে ওঠার স্ক্রিন) কাজ করছিল না। সাউন্ড সিস্টেমেও বিভ্রাট দেখা দেয়।
সাধারণ পরিষদে দেয়া বক্তব্যে মার্কিন প্রেসিডেন্ট বলেন, ‘জাতিসংঘ থেকে আমি দুটি জিনিস পেয়েছি—একটি খারাপ চলন্ত সিঁড়ি ও একটি খারাপ টেলিপ্রম্পটার।’ ট্রাম্পের এ কথায় সেখানে উপস্থিত বিশ্বনেতাদের অনেকে হেসে ওঠেন।
নিজের মালিকানাধীন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ট্রুথ সোশ্যালে দেয়া এক পোস্টে ট্রাম্প লিখেছেন, ‘এটা কোনো কাকতালীয় ঘটনা নয়, এটি একটি ত্রিমুখী নাশকতা। আমি এই চিঠির একটি অনুলিপি জাতিসংঘের মহাসচিবের কাছে পাঠাচ্ছি ও অবিলম্বে তদন্তের দাবি জানাচ্ছি।’
ঘটনার দিন চলন্ত সিঁড়িটি বন্ধ হয়ে যাওয়ায় জাতিসংঘ বলেছিল, ট্রাম্পের ভিডিওগ্রাফারের কারণেই এমনটি হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। তিনি সম্ভবত ভুল করে সেফটি ফাংশন সচল করে ফেলেছিলেন।
তবে হোয়াইট হাউসের প্রেস সেক্রেটারি ক্যারোলিন লেভিট এই ঘটনাকে হালকাভাবে নেননি। ঘটনার পর তিনি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্স-এ একটি পোস্টে লেখেন, "যদি জাতিসংঘের কেউ প্রেসিডেন্ট ও ফার্স্ট লেডিকে চলন্ত সিঁড়ি ব্যবহার করার সময় ইচ্ছাকৃতভাবে থামিয়ে দেন, তবে সেই ব্যক্তিকে অবিলম্বে বরখাস্ত করা উচিত এবং তাঁর বিরুদ্ধে কঠোর তদন্ত চালানো উচিত।"
এসি//