অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে অনিয়মের অভিযোগে সরকারি কলেজে দুদকের অভিযান
সিরাজগঞ্জ সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর মো. আমিনুল ইসলামের বিরুদ্ধে নানা অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগের প্রেক্ষিতে অভিযান পরিচালনা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
সোমবার (১৫ সেপ্টেম্বর) সকাল ১১টার দিকে দুদক সমন্বিত জেলা কার্যালয় পাবনার সহকারী পরিচালক সাধন কুমার সূত্রধরের নেতৃত্বে তিন সদস্যের একটি প্রতিনিধি দল কলেজ ক্যাম্পাসে প্রবেশ করে এ অভিযান শুরু করে। দলটি অফিস নথিপত্র খতিয়ে দেখে, সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে কথা বলে এবং গুরুত্বপূর্ণ কাগজপত্র জব্দ করে।
অভিযোগ রয়েছে, কলেজের পরিবহন খাতে শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে হাইস গাড়ির নামে প্রতি বছর ২৫০ টাকা করে আদায় করা হলেও ক্যাম্পাসে কোনো গাড়ি নেই। বরং অধ্যক্ষ নিজেই একটি হাইস গাড়ি ব্যক্তিগতভাবে ব্যবহার করেছেন। শুধু তাই নয়, ওই গাড়ির রক্ষণাবেক্ষণ, চালকের বেতন ও তেল খরচ বাবদ এক বছরে প্রায় ৬২ লাখ টাকা ব্যয় দেখানো হয়েছে। শিক্ষার্থী কল্যাণ তহবিল, খাদ্য বাবদ অতিরিক্ত ব্যয়, শিক্ষক-কর্মচারীদের নিয়োগ ও পদোন্নতি এবং সরকারি বরাদ্দের অপব্যবহার নিয়েও অভিযোগ উঠেছে।
দুদকের সহকারী পরিচালক সাধন কুমার সূত্রধর বলেন, শিক্ষার্থীদের পরিবহন খাতে নেওয়া অর্থ তাদের স্বার্থে ব্যয়ের কোনো প্রমাণ পাওয়া যায়নি। বরং অধ্যক্ষের ব্যক্তিগত ব্যবহারের বিষয়টিই বেশি সামনে এসেছে। প্রতিটি অভিযোগ যাচাই করে কমিশনে প্রতিবেদন পাঠানো হবে। বিকেল পর্যন্ত অভিযান অব্যাহত থাকবে।
এ বিষয়ে অধ্যক্ষ প্রফেসর মো. আমিনুল ইসলাম অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, কোনো ধরনের অর্থ নয়ছয় করা হয়নি। পরিবহন খাতে শিক্ষার্থীদের দেওয়া টাকা ব্যাংকে জমা আছে এবং প্রয়োজনে নিয়ম অনুযায়ী তা খরচ করা হয়। একটি মহল শুরু থেকেই আমার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করছে।
প্রসঙ্গত, দীর্ঘদিন ধরে সিরাজগঞ্জ সরকারি কলেজে নানা খাতে অনিয়মের অভিযোগ উঠে আসছিল। বিশেষ করে পরিবহন খাতের অর্থ ব্যয়ের বিষয়টি শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের মাঝে তীব্র ক্ষোভের জন্ম দেয়। অভিযোগের ভিত্তিতেই দুদক এই অভিযান পরিচালনা করে।
আই/এ