দেশজুড়ে

কুবি ছাত্রী ও তাঁর মায়ের মরদেহ উদ্ধারের ঘটনায় কবিরাজ আটক

কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী সুমাইয়া আফরিন ও তাঁর মা তাহমিনা বেগমকে হত্যার ঘটনায় একজনকে আটক করেছে র‍্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‍্যাব)। সন্দেহভাজন হিসেবে আটক হওয়া ওই ব্যক্তি একজন কবিরাজ।

সোমবার (৮ সেপ্টেম্বর) বিকেলে র‍্যাব-১১ সিপিসি-২ কুমিল্লার কোম্পানি অধিনায়ক মেজর সাদমান ইবনে আলম গণমাধ্যমকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

তিনি জানান,  আটক করা ওই ব্যক্তির নাম আবদুর রব (৭৩)। তিনি জেলার নাঙ্গলকোট উপজেলার বাসিন্দা। আজ দুপুরে তাঁকে নাঙ্গলকোট থেকে আটক করা হয়েছে। তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ চলছে।

মেজর সাদমান ইবনে আলম বলেন,  সিসিটিভি ফুটেজ বিশ্লেষণসহ বিভিন্ন গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে ব্যক্তিকে সন্দেহভাজন হিসেবে আটক করা হয়েছে। প্রাথমিকভাবে নিশ্চিত হওয়া গেছে যে আবদুর রবের সঙ্গেই সর্বশেষ কথা হয়েছে নিহত ব্যক্তিদের। ওই বাসায় তাঁর যাওয়া-আসা ছিল। আবদুর রব ঝাড়ফুঁক (কবিরাজ) করতেন

ঘটনার পর ভবনের নিচতলায় থাকা একটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের সিসিটিভি ফুটেজে অজ্ঞাত এক ব্যক্তিকে সুমাইয়াদের বাসায় আসা যাওয়া করতে দেখা গেছে। আটক আবদুর রবই সেই ব্যক্তি কি না জানতে চাইলে এ র‍্যাব কর্মকর্তা বলেন, ‘আমাদের জিজ্ঞাসাবাদ ও তদন্ত চলছে। পুরো কার্যক্রম শেষে আমরাই সবকিছু জানাব। এখন এইটুকুই বলব, তাঁকে সন্দেহভাজন হিসেবে আটক করা হয়েছে।

তাহমিনা বেগমের বড় ছেলে মো. তাজুল ইসলাম বলেন,  আমরা জানি না কে বা কারা আমার মা ও বোনকে এভাবে হত্যা করেছে। আমার কাছে অবস্থা দেখে মনে হয়েছে পুরো ঘটনাটি পরিকল্পিত, শ্বাসরোধে হত্যা করা হয়েছে। কারণ, ঘর থেকে তেমন কোনো মালামাল খোয়া যায়নি। আমাদের বাড়ির কাজ চলমান থাকায় নানার এলাকায় ভাড়া থাকছি আমরা। আমাদের তেমন কোনো শত্রুও ছিল না। কিন্তু বুঝতে পারছি না কারা এভাবে আমাদের নিঃস্ব করল। আমি চাই পুলিশ দ্রুত যে বা যারা এই ঘটনায় জড়িত, তাঁদের শনাক্ত করে সামনে আনুক।

 

আই/এ

এ সম্পর্কিত আরও পড়ুন