দেশজুড়ে

রূপপুরের ‘বালিশ কাণ্ডে’ শাস্তি পেলো দুই প্রকৌশলী

ছবি: ফাইল ছবি

বহুল আলোচিত রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র সংলগ্ন গ্রিন সিটি আবাসিক প্রকল্পের দুটি ভবনের আসবাবপত্র ও অন্যান্য সরঞ্জাম ক্রয়ে অস্বাভাবিক ব্যয়ের অভিযোগ প্রমাণিত হয়েছে। এ ঘটনায় জড়িত থাকায় গণপূর্ত অধিদপ্তরের দুই উপ-সহকারী প্রকৌশলীর বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।

শুক্রবার (০৬ সেপ্টেম্বর) গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয় সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানায়। বৃহস্পতিবার গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. নজরুল ইসলাম  রাষ্ট্রপতির অনুমোদনক্রমে পৃথক আদেশে গুরুদণ্ড জারি করেন।

আদেশে উপ-সহকারী প্রকৌশলী মো. শাহীন উদ্দিনকে দোষী সাব্যস্ত করে বাধ্যতামূলক অবসর দেওয়া হয়। এছাড়া অন্য উপ-সহকারী প্রকৌশলী মো. আলমগীর হোসেনকে নিম্ন বেতন গ্রেডে অবনমিতকরণ করা হয়।

সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ২০১৯ সালে ২০ ও ১৬ তলা ভবনের জন্য আসবাবপত্র ও প্রয়োজনীয় সরঞ্জাম ক্রয় ও ভবনে ওঠানোর কাজে অতিরিক্ত ব্যয় হয়েছে। গণপূর্ত অধিদপ্তর এবং মন্ত্রণালয় কর্তৃক গঠিত তদন্ত কমিটি বিষয়টি যাচাই করে দোষ প্রমাণিত হলে সরকারি কর্মচারী (শৃঙ্খলা ও আপিল) বিধিমালা, ২০১৮ অনুযায়ী জরুরি ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।

প্রকল্পের দুর্নীতির কৌশল:

প্রথমে ১৬৯ কোটি টাকার কেনাকাটা ৬টি ছোট প্যাকেজে ভাগ করা হয়। কারণ, ৩০ কোটি টাকার নিচের ক্রয়ের জন্য কেন্দ্রীয় অনুমোদনের প্রয়োজন পড়ে না।

প্রতিটি বালিশের জন্য ব্যয় দেখানো হয়েছে ৫,৯৫৭ টাকা। কমফোর্টারের বাজারমূল্য ৪,৫০০–১৩,৫০০ টাকা হলেও প্রকল্পে প্রতিটি কমফোর্টারের জন্য খরচ দেখানো হয়েছে ১৬,৮০০ টাকা। চাদরের বাজারমূল্য ৩,০০০–৩,৫০০ টাকা হলেও প্রকল্পে ক্রয়মূল্য ধরা হয়েছে ৫,৯৩৬ টাকা।

এছাড়া, খাট সরানোর মজুরি, আলাদা ট্রাক ভাড়া ও তত্ত্বাবধানকারীর পারিশ্রমিকও অতিরিক্ত দেখানো হয়েছে। ৩০টি কমফোর্টারের জন্য ৩০,০০০ টাকা ট্রাক ভাড়া এবং প্রতিটি খাটে তোলার জন্য ২,১৪৭ টাকা খরচ দেখানো হয়েছে।

 

এমএ//

এ সম্পর্কিত আরও পড়ুন