লাইফস্টাইল

শরীরের বন্ধু না শত্রু সালাদ

সালাদ যাকে আমরা প্রায়শই স্বাস্থ্যকর খাবারের প্রতীক হিসেবে মনে করি, কিন্তু সব ধরনের সালাদ সমানভাবে উপকারী নয়। কোন সালাদ স্বাস্থ্যবান্ধব এবং কোনটি খেতে গিয়ে ক্ষতি করতে পারে চলুন জেনে নেয়া যাক। 

স্বাস্থ্যকর সালাদ সাধারণত শাক-সবজি ও প্রোটিন সমৃদ্ধ। লেটুস, পালং, ব্রোকলি, শসা, বেল পেপার, টমেটো এবং ক্র্যানবেরি বা বেরি জাতীয় ফল এতে ব্যবহার করা হয়। প্রোটিনের জন্য গ্রিলড চিকেন, মাছ বা ডিম যোগ করা যায়। ড্রেসিং হিসেবে জলপাই তেল, লেবুর রস বা হালকা ভিনেগার ব্যবহার করলে ক্যালোরি কম থাকে। এমন সালাদ শরীরের জন্য স্বাস্থ্যকর, হজম সহজ করে, ওজন নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে এবং হৃদরোগ ও ডায়াবেটিসের ঝুঁকি কমায়।

অন্যদিকে, স্বাস্থ্যক্ষতিকর সালাদ তৈরিতে মূল সমস্যা আসে অতিরিক্ত চর্বি ও ক্যালোরি থেকে। মেয়োনিজ, ক্রিম বা চিজের বেশি ব্যবহার, ভাজা ক্রুটন বা তৈলাক্ত ফ্রাইড উপকরণ, কিংবা রেডি-মেড ড্রেসিংয়ে চিনি, সোডিয়াম বা ট্রান্সফ্যাট থাকলে সালাদ স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর হতে পারে। উদাহরণ হিসেবে সিজার সালাদে অতিরিক্ত মেয়োনিজ ও পারমিজান চিজ ব্যবহার বা ক্রিমি ফ্রুট সালাদে চিনি ও ক্রিমের অতিরিক্ত ব্যবহার আছে। এমন সালাদ ওজন বাড়াতে, রক্তে শর্করার মাত্রা বৃদ্ধি করতে এবং হৃদরোগের ঝুঁকি বাড়াতে পারে।

স্বাস্থ্যকর সালাদ

উপকরণ :

• শাক-সবজি: লেটুস, পালং, ব্রকোলি, শসা, বেল পেপার

• ফল: টমেটো, আপেল, বেরি জাতীয় ফল

• প্রোটিন: গ্রিলড চিকেন, মাছ, ডিম, বীজ বা বাদাম

• হালকা ড্রেসিং: জলপাই তেল, লেবুর রস, ভিনেগার

স্বাস্থ্য সুবিধা :

• হজম সহজ করে

• ওজন নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে

• হৃদরোগ ও ডায়াবেটিসের ঝুঁকি কমায়

• ফাইবার ও অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট সমৃদ্ধ

উদাহরণ :

• গ্রিন সালাদ: লেটুস, পালং, শসা, বেল পেপার, টমেটো + জলপাই তেল ও লেবুর রস

• কুইনোয়া সালাদ: কুইনোয়া, ব্রকোলি, বেল পেপার, বাদাম, লেবুর রস

স্বাস্থ্যক্ষতিকর সালাদ

ঝুঁকির কারণ :

• অতিরিক্ত চর্বি ও ক্যালোরি: মেয়োনিজ, ক্রিম, চিজ

• প্রক্রিয়াজাত বা ভাজা উপকরণ: চিপস, তৈলাক্ত ক্রুটন, ভাজা মুরগি

• রেডি-মেড ড্রেসিং: চিনি, সোডিয়াম বা ট্রান্সফ্যাট থাকে

• ফল বা ড্রাই ফ্রুটের অতিরিক্ত ব্যবহার: রক্তে শর্করার মাত্রা বাড়াতে পারে

উদাহরণ :

• সিজার সালাদ: অতিরিক্ত মেয়োনিজ, পারমিজান চিজ ও ক্রুটন যুক্ত

• ক্রিমি ফ্রুট সালাদ: চিনি ও ক্রিম বেশি

ঝুঁকি :

• ওজন বৃদ্ধি

• রক্তে শর্করার মাত্রা বৃদ্ধি

• হৃদরোগ ও লিভারের সমস্যা

সতর্কতা

• শাক-সবজি বেশি রাখুন, প্রক্রিয়াজাত কমান

• ড্রেসিং সীমিত করুন

• ফাইবার ও প্রোটিন যুক্ত করুন

• পরিমাণ নিয়ন্ত্রণ করুন

এসকে// 

এ সম্পর্কিত আরও পড়ুন