জাতীয়

প্রতিকূল পরিস্থিতি ছাড়াই নির্বাচন আয়োজনে পরামর্শ চেয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা : সাকি

গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়ক জোনায়েদ সাকি বলেছেন, কোনও ভয়, চাপ প্রতিকূল পরিস্থিতি ছাড়াই নির্বাচন আয়োজনে পরামর্শ চেয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা। এই সরকারের রাষ্ট্র পরিচালনা ও পুনর্গঠন যথার্থ হয়নি। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর ভূমিকাও প্রশ্নের জন্ম দিচ্ছে। নুরুল হক নুরের বিষয়টিও আলোচনায় এসেছে।

মঙ্গলবার (২ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার পর প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে ৭ রাজনৈতিক দলের বৈঠক শেষে তিনি এ কথা জানান। বৈঠক শেষে দলগুলোর প্রতিনিধিরা এক ব্রিফিংয়ে নিজেদের অবস্থান তুলে ধরেন।

গণঅধিকার পরিষদের সাধারণ সম্পাদক রাশেদ খাঁন বলেছেন, নুরুল হক নুরের ওপর হামলার ঘটনায় সরকারের পক্ষ থেকে দুঃখ প্রকাশ করা হয়েছে। আওয়ামী লীগের আমলে যে অত্যাচারিত হলো সে এ আমলেও মার খাওয়া দুঃখজনক, সে কথা বলেছেন প্রধান উপদেষ্টা। আজ রাতের মধ্যেই এ বিষয়ে বিচার বিভাগীয় তদন্ত কমিটি প্রকাশ করা হবে। এছাড়া নুরকে বিদেশে চিকিৎসার জন্য প্রধান উপদেষ্টা স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়কে নির্দেশ দিয়েছেন বলেও তিনি জানান।

ইসলামী আন্দোলনের প্রেসিডিয়াম সদস্য আশরাফ আলী আকন্দ বলেন, ৫৩ বছর ধরে চলে আসা ধারায় নির্বাচন করে দেশ ও জাতির প্রত্যাশা পূরণ হবে না। ঐকমত্য কমিশনে ২৬টি দল পিআর পদ্ধতির পক্ষে। পিআর পদ্ধতি বাস্তবায়নে গণভোটের আয়োজন করতে প্রধান উপদেষ্টাকে বলা হয়েছে। সুষ্ঠু নির্বাচন আয়োজনে এই সরকার সক্ষম হবে এমন আস্থা এখনও আসেনি।

এবি পার্টির চেয়ারম্যান মজিবুর রহমান মঞ্জু বলেছেন, সরকারের কাজে দৃঢ়তা ও সমন্বয়ের অভাব রয়েছে। সরকার ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর মধ্যে কর্তৃত্বের ঘাটতিও আছে। এটি কাটানো না গেলে ভোট নিয়ে সংশয় কাটবে না। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সঙ্গে আলাদাভাবে বৈঠক করার পরামর্শ তারা দিয়েছেন। পাশাপাশি নির্বাচন নিয়ে অভিজ্ঞদের চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ দেয়ার কথা বলেছি।

এলডিপির মহাসচিব রেদোয়ান আহমেদ বলেছেন, পিআর বা সংখ্যানুপাতিক পদ্ধতি বাংলাদেশের জন্য উপযুক্ত নয়। ফলে এলডিপি পিআর পদ্ধতির পক্ষে নয়।

 

প্রসঙ্গত,  বৈঠকে অংশ নেয়া দল ও সংগঠনগুলো হচ্ছে আমার বাংলাদেশ (এবি) পার্টি, নাগরিক ঐক্য, গণসংহতি আন্দোলন, গণঅধিকার পরিষদ, এলডিপি, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ, জাতীয় গণফ্রন্ট ও ধর্মীয় সংগঠন হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশ।

আই/এ

এ সম্পর্কিত আরও পড়ুন