বউ মিথিলা এখন ‘ডক্টর’, আনন্দে আত্মহারা সৃজিত
বয়সের ভার, সম্পর্কের চড়াই-উতরাই কিংবা জীবনযুদ্ধে কোনও কিছুই মিথিলাকে থামাতে পারেনি। বাংলাদেশি নায়িকা রাফিয়াত রশিদ মিথিলা এখন আর শুধুই অভিনেত্রী নন, তিনি এখন ডক্টর রাফিয়াত রশিদ মিথিলা! হ্যাঁ, আপনি ঠিকই শুনেছেন। মিথিলা এখন পিএইচডি অর্জন করেছেন এবং তার এই দারুণ সাফল্য সোশ্যাল মিডিয়ায় ব্যাপক আলোড়ন সৃষ্টি করেছে।
মিথিলা তার পোস্টে লেখেন, “আজ আমি আবেগপ্রবণ, গর্বিত এবং কিছুটা অবাকও! পাঁচ বছরের কঠোর পরিশ্রমের পর অবশেষে আমি জেনেভা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পিএইচডি থিসিস সফলভাবে শেষ করতে পেরেছি।” বোঝাই যাচ্ছে, এই অর্জন শুধু একটি একাডেমিক ডিগ্রি নয়, বরং দীর্ঘ পাঁচ বছরের লম্বা যাত্রা যেখানে তিনি একদিকে অভিনয়, অন্যদিকে পরিবার এবং পড়াশোনার মাঝখানে সুসমন্বয় রেখে কাজ করেছেন। “এটি ছিল আমার জীবনের সবচেয়ে বড় মাস্টারক্লাস, যা আমাকে শিখিয়েছে কীভাবে জীবনের অনেক দিক একসঙ্গে সামলাতে হয়।”
এই অসাধারণ অর্জনে সৃজিত মুখোপাধ্যায়ের গর্বের কমতি ছিল না। সৃজিত তার ফেসবুক প্রোফাইলে মিথিলার পোস্ট শেয়ার করে লিখেছেন, “অবিশ্বাস্য অর্জন, একরাশ প্রশংসা!” একটি মিষ্টি কমেন্ট যা ছিল না শুধু প্রশংসা বরং, ভালোবাসার এক বিশেষ প্রকাশও ছিল। সৃজিতের দৃষ্টিতে মিথিলার এই অর্জন তাকে শুধু ডক্টর বানিয়ে তুলেনি বরং, তার ভালোবাসা এবং সম্মান আরও গভীর করেছে।
সম্প্রতি সৃজিত তার ফেসবুক প্রোফাইলে আয়রারও একটি বিজ্ঞাপন পোস্ট শেয়ার করেছেন, যা তার ফলোয়ারদের জন্য আরও একবার মনোমুগ্ধকর।
উল্লেখ্য, ২০১৩ সালে তাহসান এবং মিথিলা তাদের একমাত্র কন্যা আয়রা-কে স্বাগত জানিয়েছিলেন। কিন্তু ২০১৭ সালে তাদের সম্পর্ক ভেঙে গেলে তারা মেয়ে আয়রার জন্য একসাথে দায়িত্ব পালন করেছে।
সূত্র : হিন্দুস্তান টাইমস
এসকে//