মারা গেছেন থ্রি ইডিয়টস-এর রাগী অধ্যাপক
আমির খানের থ্রি ইডিয়টস সিনেমায় রাগী অধ্যাপকের ভূমিকায় যে চরিত্রটি দর্শকদের মন জয়ের করেছিল, সেটির অভিনয় করেছিলেন অচ্যুত পোতদার। আজও সেই চরিত্রের জনপ্রিয় সংলাপ, “আরে, কেহনা ক্যা চাহতে হো”, সোশ্যাল মিডিয়ায় মিম হিসেবে ঘুরে বেড়ায়।
গত সোমবার (১৮ আগস্ট) ভারতের ঠাণের জুপিটার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ৯১ বছর বয়সে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেছেন এই বলিউড ও মারাঠি চলচ্চিত্রের জনপ্রিয় অভিনেতা। শারীরিক জটিলতার কারণে হাসপাতালে ভর্তি করা হলেও মৃত্যুর সঠিক কারণ এখনও জানানো হয়নি। তার শেষকৃত্য আজ মঙ্গলবার (১৯ আগস্ট) ঠাণেতে অনুষ্ঠিত হবে।
অচ্যুত পোতদারের অভিনয়জীবন ছিল দীর্ঘ ও বহুমুখী। চার দশকের বেশি সময় ধরে তিনি ১২৫টিরও বেশি হিন্দি ও মারাঠি ছবিতে কাজ করেছেন। বাণিজ্যিক সিনেমা হোক বা সমালোচকদের প্রশংসিত চলচ্চিত্র, সব ধরনের চরিত্রেই তিনি দক্ষতার সঙ্গে অভিনয় করেছেন।
তার উল্লেখযোগ্য সিনেমার মধ্যে রয়েছে আক্রোশ, আলবার্ট পিন্টো কো গুসা কিউঁ আতা হ্যায়, অর্ধসত্য, তেজাব, পরিন্দা, রাজু বন গয়া জেন্টলম্যান, দিলওয়ালে, রঙ্গিলা, বাস্তব, হম সাথ সাথ হ্যায়, পরিণীতা, লাগে রহো মুন্না ভাই, দাবাং ২ এবং ভেন্টিলেটর।
ছোট পর্দাতেও অচ্যুত পোতদারের শক্তিশালী উপস্থিতি ছিল। ভারত এক খোঁজ, অল দ্য বেস্ট (দূরদর্শন), প্রধান মন্ত্রী (জি টিভি), আহত (১৯৯৫-২০০১, সনি টিভি), ওয়াগলে কি দুনিয়া এবং মাঝা হোশিল না (জি মারাঠি)-তে তার অভিনয় দর্শকদের মনে জায়গা করে নিয়েছে।
অভিনয়ে আসার আগে তার জীবনও ছিল ভিন্ন পথে। মধ্যপ্রদেশের রেওয়ায় অধ্যাপক হিসেবে কর্মজীবন শুরু করার পর তিনি ভারতীয় সেনাবাহিনীতে যোগ দেন এবং ১৯৬৭ সালে ক্যাপ্টেন পদে অবসর নেন। এরপর প্রায় ২৫ বছর ইন্ডিয়ান অয়েলে উচ্চপদে দায়িত্ব পালন করেন। ৪৪ বছর বয়সে চলচ্চিত্রে পা রাখার সঙ্গে সঙ্গে শুরু হয় তার অভিনয়যাত্রা, যা আজও দর্শকদের হৃদয়ে অমর হয়ে আছে।
অচ্যুত পোতদারের প্রয়াণে বলিউড, মারাঠি চলচ্চিত্র ও টেলিভিশন অঙ্গন শোকস্তব্ধ। সহকর্মী ও ভক্তরা সোশ্যাল মিডিয়ায় তাকে শ্রদ্ধা জানিয়ে স্মরণ করছেন।
এসি//