যুক্তরাষ্ট্র ও ইসরাইলের জন্য ইরানের ‘নতুন চমক’ অপেক্ষা করছে
যুক্তরাষ্ট্র ও ইসরাইলকে সতর্ক করে ইরানের সশস্ত্র বাহিনীর জেনারেল স্টাফ মেজর জেনারেল আবদুলরহিম মৌসাভি বলেছেন, তাদের জন্য “নতুন চমক” অপেক্ষা করছে। যেকোনো নতুন আগ্রাসনের জবাব হবে জুনে সংঘটিত ১২ দিনের যুদ্ধে প্রদর্শিত আত্মসংযমকে ছাড়িয়ে বহুগুণ শক্তিশালী ও ধ্বংসাত্মক।
শনিবার (১৬ আগস্ট) ইরানের সশস্ত্র বাহিনীর জেনারেল স্টাফ ১৯৯০-এর দশকে ইরাক থেকে যুদ্ধবন্দীদের মুক্তি বার্ষিকী উদযাপন করার সময় এই হুঁশিয়ারি দিয়েছেন।
রোববার (১৭ আগস্ট) ইরানের সংবাদ মাধ্যম তাসনিম নিউজের প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা যায়।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রকে “অপরাধী” এবং ইসরাইলকে “বর্বর ইহুদিবাদী সরকার” আখ্যা দিয়ে বলা হয়েছে, তারা ইরানি জাতির বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র বন্ধ করবে না, তবে ইরান কোনো হুমকির সামনে মাথা নত করবে না।
জেনারেল স্টাফ আরও বলেন, জুন মাসে ইরানের বিরুদ্ধে আগ্রাসন শুরু করার পরে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও ইসরাইল তাদের পদক্ষেপের জন্য অপমানজনক ব্যর্থতার মুখোমুখি হয়েছে। তিনি সতর্ক করে বলেন, ভুল গণনার পুনরাবৃত্তি বা নতুন আগ্রাসন হলে ইরান আরও ধ্বংসাত্মক পদক্ষেপ নেবে।
এ সময় তিনি জোর দিয়ে উল্লেখ করেন, ১২ দিনের যুদ্ধে ইরান আত্মসংযম দেখিয়েছিল এবং তার ব্যাপক অভিযানকে বাধা দিয়েছিল, কিন্তু ভবিষ্যতে এমন সহনশীলতা হবে না।
১৩ জুন ইসরাইল ইরানের বিরুদ্ধে আগ্রাসন শুরু করে। ১২ দিন ধরে ইরানের সামরিক, পারমাণবিক এবং আবাসিক এলাকায় হামলা চালানো হয়। ২২ জুন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ইরানের নাতানজ, ফোরদো ও ইসফাহানের পারমাণবিক স্থাপনায় সামরিক হামলা চালায়।
ইরান তাৎক্ষণিকভাবে শক্তিশালী প্রতিরোধ গড়ে তোলে। ইসলামিক রেভোলিউশনারি গার্ড কর্পস (IRGC) অ্যারোস্পেস ফোর্স “অপারেশন ট্রু প্রমিস III”-এর অংশ হিসেবে ইসরাইলি শাসনের বিরুদ্ধে ২২টি ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালায়, যা অধিকৃত এলাকায় শহরগুলোতে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি ডেকে আনে।
এছাড়াও, মার্কিন হামলার জবাবে কাতারের আল-উদেইদ বিমান ঘাঁটিতে একাধিক ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালানো হয়, যা পশ্চিম এশিয়ার সবচেয়ে বড় আমেরিকান সামরিক ঘাঁটি।
২৪ জুন কার্যকর হওয়া যুদ্ধবিরতি পরিস্থিতি স্থিতিশীল করে।
এসি//