পাকিস্তানে ভয়াবহ বন্যা-ভূমিধস, নিহত ৫৬
পাকিস্তানের খাইবার পাখতুনখাওয়া, গিলগিত-বালতিস্তান এবং আজাদ জম্মু ও কাশ্মীরে (এজেকে) টানা বর্ষণে ভয়াবহ বন্যা ও ভূমিধসের ঘটনা ঘটেছে। এতে শুক্রবার (১৫ আগস্ট) পর্যন্ত নারী ও শিশুসহ অন্তত ৫৬ জনের মৃত্যু হয়েছে।
পাকিস্তানি সংবাদমাধ্যম জিও নিউজের খবরে বলা হয়, খাইবার পাখতুনখাওয়ার প্রাদেশিক দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষের (পিডিএমএ) তথ্য অনুযায়ী, গেল ২৪ ঘণ্টায় পাহাড়ি অঞ্চলে ভারি বর্ষণ ও আকস্মিক বন্যায় ৩৮ জন মারা গেছেন। শুধু বাজৌর জেলাতেই প্রাণ হারিয়েছেন ২১ জন, আহত হয়েছেন আরও আটজন। লোয়ার দিরে পাঁচজন, বাট্টাগ্রামে সাতজন এবং সুয়াত ও শাংলা থেকেও মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে।
এছাড়া গিলগিত-বালতিস্তানে ভারি বৃষ্টি ও ভূমিধসে অন্তত ১০ জনের মৃত্যু হয়েছে। এর মধ্যে ঘিজার জেলার খালথি উপত্যকায় প্রাণ গেছে তিনজনের। নিখোঁজ রয়েছেন কয়েকজন। বহু বাড়ি ধসে পড়েছে ও ধ্বংসস্তূপে চাপা পড়েছে।
এদিকে আজাদ জম্মু ও কাশ্মীরেও একই চিত্র। আকস্মিক বন্যা ও ভূমিধসে মারা গেছেন আটজন। মুজাফফরাবাদের নাসিরাবাদে একই পরিবারের ছয়জন ‘মেঘভাঙা বৃষ্টি’র কবলে প্রাণ হারান।
উল্লেখ্য, অল্প সময়ে অস্বাভাবিকভাবে বেশি পরিমাণে বৃষ্টিপাতকে মেঘভাঙা বৃষ্টি বলা হয়। সাধারণত প্রতি ঘণ্টায় ১০০ মিলিমিটার বা তার বেশি বৃষ্টি হলে একে মেঘভাঙা বৃষ্টি ধরা হয়। এর ফলে হঠাৎ বন্যা, ভূমিধস বা জলাবদ্ধতা দেখা দিতে পারে।
এমএ//