স্বাস্থ্য

কমলো ৩৩টি অতিপ্রয়োজনীয় ওষুধের দাম

দেশের ওষুধ প্রস্তুতকারক প্রতিষ্ঠান এসেনসিয়াল ড্রাগস কোম্পানি লিমিটেড (ইডিসিএল) তাদের উৎপাদিত ৩৩টি অতিপ্রয়োজনীয় ওষুধের দাম কমিয়েছে। এর মধ্যে কিছু ওষুধের দাম অর্ধেক পর্যন্ত হ্রাস পেয়েছে। তালিকায় অতিপ্রয়োজনীয় অ্যান্টিবায়োটিক এবং নিউমোনিয়া, সর্দি-জ্বর, উচ্চরক্তচাপ, গ্যাস্ট্রিক আলসার, কৃমিনাশক, ব্যথানাশক, হাঁপানির ওষুধ ও ভিটামিন রয়েছে। 

প্রতিষ্ঠানটির নথি বিশ্লেষণে জানা যায়, এটি ইডিসিএলের ইতিহাসে প্রথম বড় ধরনের মূল্যহ্রাস। আগামী সপ্তাহে আরও পাঁচটি ওষুধের দাম কমতে পারে বলেও ইঙ্গিত দিয়েছে কর্তৃপক্ষ।

এসেনসিয়াল ড্রাগসের ওষুধ নিবন্ধন খাতার তথ্য অনুযায়ী, অ্যাজমা বা হাঁপানি প্রতিরোধে মন্টিলুকাস্ট ট্যাবলেটের দাম পাঁচ টাকা করা হয়েছে। আগে এর মূল্য ছিল ১০ টাকা ৬৭ পয়সা। পাকস্থলীর এসিড নিঃসরণে ব্যবহৃত ওমিপ্রাজল ক্যাপসুলের দাম পাঁচ পয়সা কমে দুই টাকা ৭০ পয়সা, ব্যথা সারানোর ইনজেকশন কেটোরোলাক ভায়াল ৩০ থেকে কমে ২৩ টাকা হয়েছে। এমিটোজেনিক ক্যান্সার কেমোথেরাপির ক্ষেত্রে বমি প্রতিরোধী অনডানসেট্রন ইনজেকশন ভায়ালে কমেছে তিন টাকা, ব্যাকটেরিয়া সংক্রমণে ব্যবহৃত সেফট্রিয়াক্সোন ইনজেকশনের দাম ১১৫ থেকে ৯০ টাকা করা হয়েছে। নিউমোনিয়া চিকিৎসায় ব্যবহৃত সেফটাজিডিম ইনজেকশনের দাম কমিয়ে ১৫০ থেকে ১০০ টাকা এবং শ্বাসযন্ত্রের সংক্রমণ প্রতিরোধী সেফট্রিয়াক্সোন ইনজেকশন ১৭৫ থেকে ১৬০ টাকা করা হয়েছে। সেফুরোক্সিম ইনজেকশনে কমেছে ১০ টাকা। গ্যাস্ট্রিক এসিড নিঃসরণে ব্যবহৃত ইসোমিপ্রাজল ইনজেকশনের দামও ১০ টাকা কমেছে। মেরোপেনের দাম ৪৫০ থেকে ৩৪৩ টাকা করা হয়েছে। ওমিপ্রাজল ইনজেকশনের দাম ৬৪ থেকে কমিয়ে ৫২ টাকা করা হয়েছে।

ইডিসিএলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সামাদ মৃধা জানান, স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে যৌথ উদ্যোগে দরপত্র প্রক্রিয়া থেকে পূর্বের সিন্ডিকেট ভাঙা হয়েছে। এতে বেশি সংখ্যক দরদাতা প্রতিযোগিতামূলক মূল্য দিয়েছে, যার ফলে কাঁচামাল আগের তুলনায় সস্তায় কেনা সম্ভব হয়েছে। কর্মঘণ্টা ও দক্ষতা বৃদ্ধির কারণে উৎপাদন বেড়েছে ৫৯ কোটি টাকার, আর খরচ কমেছে প্রায় ৩০ কোটি ৬৭ লাখ টাকা। ধাপে ধাপে আরও ওষুধের দাম কমানো হবে বলে তিনি জানান।

 

 

এমএ//

এ সম্পর্কিত আরও পড়ুন