পেটের মেদ কমাতে শুধু ডায়েট নয় অন্ত্রের স্বাস্থ্যও গুরুত্বপূর্ণ
পেটের মেদ কমানো একটি দীর্ঘমেয়াদী প্রক্রিয়া যা কেবল মিষ্টি ও ভাজাভুজি পরিহার করলেই হয় না। অনেক সময় ডায়েট ও নিয়মিত শরীরচর্চা করেও পেটের মেদ কমানো সম্ভব হয় না। এর কারণ হতে পারে অন্ত্রের অস্বাস্থ্যকর অবস্থা। বিশেষজ্ঞদের মতে, অন্ত্রের সঠিক স্বাস্থ্য ও হজমের সমস্যা পেটের মেদ না কমানোর পেছনে বড় কারণ হয়ে দাঁড়াতে পারে।
আমেরিকার হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয় থেকে প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত গ্যাস্ট্রোএনটেরোলজিস্ট ডা. সৌরভ শেঠি জানাচ্ছেন, পেটের মেদ কমানোর জন্য সঠিক অভ্যাস গড়ে তোলা অত্যন্ত জরুরি। তার পরামর্শে তিনটি বিশেষ অভ্যাস এখানে তুলে ধরা হলো:
রাতের খাবার আগে হালকা খাবার খান
অনেকেই রাতে ভারী খাবার খেয়ে ঘুমাতে যান, যা হজম প্রক্রিয়া ব্যাহত করে এবং মেদ বাড়ানোর অন্যতম কারণ হয়ে দাঁড়ায়। ডা. শেঠি পরামর্শ দিচ্ছেন, সন্ধ্যা ৭টা থেকে ৮টার মধ্যে স্যুপ বা সালাড জাতীয় হালকা খাবার খাওয়ার চেষ্টা করুন। এর ফলে অন্তত চার ঘণ্টা হজমের সময় পেয়ে শরীর বিশ্রাম নিতে পারে।
সারা দিন পানি পান করুন
শরীরের হজম প্রক্রিয়া সক্রিয় রাখতে গরম পানি উপকারী। ঠাণ্ডা পানি হজমের গতি কমিয়ে দেয়। সুতরাং, সারা দিন একটু একটু করে পানি পান করুন, যা শুধু হজমে সহায়ক নয়, বিপাকের হারও সঠিক রাখে। বিপাকের সঠিক কার্যকারিতা বজায় থাকলে ওজন কমাতে সাহায্য হয়।
বিশেষ কিছু মশলা ও ভেষজ খাদ্য তালিকায় যুক্ত করুন
শরীরের তাপমাত্রা ঠিক রাখতে এবং টক্সিন দূর করতে কিছু প্রাকৃতিক উপাদান খুবই কার্যকর। খাদ্য তালিকায় রাখতে পারেন আদা, গোলমরিচ, দারচিনি, হলুদের মতো মশলা। পাশাপাশি, ‘ত্রিফলা’ (আমলকি, হরিতকী, বহেরা) শরীরকে শুদ্ধ রাখতে সাহায্য করে। মেথি ও জিরে হজমে সহায়ক এবং পেটের মেদ কমাতে সহায়তা করে।
সবশেষে শুধু খাওয়া-দাওয়ার নিয়ন্ত্রণ নয় শরীরের অন্তর্গত প্রক্রিয়াগুলির সঠিক কার্যকারিতা নিশ্চিত করা ওজন কমানোর জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। ছোট ছোট এই অভ্যাসগুলো যদি জীবনের অংশ হিসেবে গ্রহণ করা হয় তবে পেটের মেদ কমানো সম্ভব হবে।
এসকে//