ঘরে ঘরে ভাইরাল জ্বর; সতর্কতা ও চিকিৎসা
দেশজুড়ে ভাইরাল জ্বরের প্রকোপ বেড়ে যাওয়ায় স্বাস্থ্য সচেতনতা বৃদ্ধি পাচ্ছে। অনেক বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, এই জ্বরের লক্ষণ এবং এর দ্রুত বিস্তারকে নজর রাখতে হবে। কারণ এটি সাধারণত শীতে এবং বর্ষাকালে বেশি ছড়িয়ে পড়ে।
গেল কয়েক সপ্তাহে বিভিন্ন অঞ্চলে ভাইরাল জ্বরের সংক্রমণ ব্যাপকভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে। এই জ্বরটি সাধারণত সর্দি-কাশি, গা-পা ব্যথা, হালকা জ্বর, এবং ক্লান্তির মতো উপসর্গ নিয়ে শুরু হয়। তবে কিছু ক্ষেত্রে এটি তীব্র রূপ নিতে পারে। যেমন- উচ্চ তাপমাত্রা, বমি, ডিহাইড্রেশন এবং বুকের ব্যথা।
তবে ভাইরাল জ্বর সাধারণত এক থেকে দুই সপ্তাহের মধ্যে সুস্থ হয়ে যায়। তবে সংক্রমণের ভয়াবহতা এবং রোগীর শারীরিক অবস্থার ওপর নির্ভর করে এর সময়সীমা পরিবর্তিত হতে পারে। যারা উচ্চ ঝুঁকিতে আছেন যেমন- বৃদ্ধ, শিশুরা এবং রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কম থাকলে তাদের জন্য দ্রুত চিকিৎসা নেয়া অত্যন্ত জরুরি।
লক্ষণ :
সর্দি, কাশি, মাথাব্যথা, গা-পা ব্যথা, উচ্চ তাপমাত্রা, ক্লান্তি, বমি বা ডিহাইড্রেশন।
প্রতিরোধ :
ভালোভাবে হাত ধোয়া, সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখা, মাস্ক পরিধান করা এবং সঠিক পুষ্টি নিশ্চিত করা।
চিকিৎসা :
সাধারণত বিশ্রাম, প্রচুর পানি পান এবং সর্দি-কাশি উপশম করার ওষুধ ব্যবহার করা হয়। তবে উচ্চ তাপমাত্রা বা জটিলতার ক্ষেত্রে চিকিৎসকের পরামর্শ গ্রহণ করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
সতর্কতা :
বিশেষ করে যারা বাড়ির বাইরে অনেক সময় কাটাচ্ছেন, তারা সংক্রমণের জন্য বেশি ঝুঁকিতে আছেন। এর সাথে সব ধরনের জনসমাগম ও গণজমায়েত থেকে বিরত থাকতে বলা হচ্ছে। এছাড়া আবহাওয়া পরিবর্তনের সঙ্গে ভাইরাল সংক্রমণের হার বাড়ছে, তাই সাবধানতা অবলম্বন করা অত্যন্ত জরুরি। যদি এখনই সতর্ক না হওয়া হয় তবে ভাইরাল জ্বরের সংক্রমণ আরও বৃদ্ধি পেতে পারে। তাই সঠিক সময়ে চিকিৎসা গ্রহণ, স্বাস্থ্য বিধি অনুসরণ এবং সতর্কতার সাথে চলা গুরুত্বপূর্ণ।
এসকে//