বিয়ে করায় স্কুল থেকে ছাত্রীকে বের করে দিলেন প্রধান শিক্ষক
ঝিনাইদহের মহেশপুর উপজেলার স্বরুপপুর কুসুমপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ১৯ম শ্রেনীর শিক্ষার্থী রিনা আক্তার মনিরা। বাবার অকাল মৃত্যু আর সংসারের টানাপোড়েনে বাধ্য হয়েই বসতে হয়েছে বিয়ের পিঁড়িতে। সদ্য বিবাহিত এই কিশোরী তার পরেও চাইল্যে যেতে চান পড়াশোনা। কিন্তু সেখানে বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছেন ওই বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মমিনুল রহমান।
গত ২০ জুলাই মাকে সঙ্গে নিয়ে মনিরা গেলে স্বরুপপুর কুসুমপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে, সেখানে প্রধান শিক্ষক মমিনুল রহমান তাকে ক্লাসে বসতে দেননি। বরং জানিয়ে দেন, “বিবাহিত মেয়েরা স্কুলে পড়তে পারবে না। বাধ্য হয়ে সম্প্রতি এই কিশোরী উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসে দায়ের করে অভিযোগ।
কিন্তু অভিযোগ দেওয়ার পরেও মেলেনি কোনো সুরাহা।
স্কুলে না যেতে পেরে ভেঙে পড়েছে মনিরা। তার ভাষ্য, আমি লেখাপড়া করে শিক্ষক হতে চাই। বিয়ে হয়েছে মানে এই না যে স্বপ্ন শেষ। আমি স্কুলে ফিরে যেতে চাই।
এই ঘটনার পর এলাকায় ব্যাপক ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। অনেক শিক্ষার্থী ও অভিভাবক প্রধান শিক্ষকের এমন মনগড়া আচরণে বিস্ময় প্রকাশ করেছেন। কারণ শিক্ষা মন্ত্রণালয় বা কোনো সরকারি নির্দেশনায় নেই যে, বিবাহিত শিক্ষার্থীরা স্কুলে পড়তে পারবে না।
স্কুলের প্রধান শিক্ষকের কাছে বিষয়টি জানতে চাইলে তিনি বলেন অভ্যন্তরীণ আইন করে এই সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়েছে
এ বিষয়ে মহেশপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার বলেন, বিষয়টি আমরা গুরুত্ব দিয়ে দেখছি। তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
মনিরা চায়, আর দশটা শিক্ষার্থীর মতোই তারও যেন স্কুলে ফিরে লেখাপড়া করার অধিকার থাকে। সমাজ ও শিক্ষাব্যবস্থার কাছে তার আবেদন আমার স্বপ্ন যেন থেমে না যায়। রিনা আক্তার মনিরা ঐ উপজেলার চাপাতলা গ্রামের মনিরুল ইসলামের মেয়ে।
আই/এ