জাতীয়

ফিরে দেখা জুলাই গণঅভ্যুত্থান

বিএনপি-জামায়াত মানুষকে জিম্মি করার চেষ্টা করছে : ওবায়দুল কাদের

শনিবার, ২০ জুলাই ২০২৪। কোটা সংস্কার আন্দোলনকারীদের টানা দুই দিনের ‘কমপ্লিট শাটডাউন’ কর্মসূচিকে কেন্দ্র করে ব্যাপক সহিংসতা ও প্রাণহানি হয় এইদিন। সহিংসতাকে কেন্দ্র করে সারাদেশে কারফিউ জারি করে সরকার। জোরদার করা হয় সেনাবাহিনীর টহল । রাজধানীর আকাশে টহল দেয় র‍্যাবের হেলিকপ্টার। 

এছাড়া ২১ ও ২২ জুলাই সাধারণ ছুটি ঘোষণা করে সরকার। পোশাক কারখানার মালিকদের সংগঠন বিজিএমইএ, বিকেএমইএ ও বিটিএমএ ২১ জুলাই থেকে সারাদেশে পোশাক কারখানা বন্ধ ঘোষণা করে। 

২০ জুলাই তৃতীয় দিনের মতো সারাদেশে ইন্টারনেট বন্ধ সেবা বন্ধ রাখে সরকার। এদিন রাজধানী ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সঙ্গে বিক্ষোভকারীদের সংঘর্ষে ৩৭ জন নিহত হন। এর মধ্যে ঢাকায় দুই পুলিশসহ ২৫ জন নিহত হন। এ ছাড়া ময়মনসিংহ ও সাভারে ৪ জন করে, গাজীপুরে ২ জন এবং নরসিংদীতে ২ জন নিহত হন। 

আগের দিনে শুক্রবার দিবাগত রাত আড়াইটার দিকে রাজধানীর খিলগাঁও থেকে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক নাহিদ ইসলামকে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর পরিচয়ে তুলে নিয়ে যাওয়া হয়।

বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, ‘আওয়ামী ফ্যাসিস্ট সরকার দমন-পীড়ন চালিয়ে নিজেদের রক্ষা করতে পারবে না।’

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘কোটা আন্দোলনে ভর করে বিএনপি জামায়াত দেশের মানুষকে জিম্মি করার চেষ্টা করছে।’

এদিন মেট্রোরেলের কাজীপাড়া স্টেশনে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়। জননিরাপত্তার স্বার্থে মেট্রোরেল, এক্সপ্রেসওয়ে ও মেয়র মোহাম্মদ হানিফ ফ্লাইওভার বন্ধ ঘোষণা করে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ।

এদিন গভীর রাতে আন্দোলনের তিন সমন্বয়কের সঙ্গে মিন্টো রোডের রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন পদ্মায় বৈঠক করেন সরকারের মন্ত্রীরা। এ সময় তারা সরকারের কাছে আট দফা দাবি উত্থাপন করেন। 

বৈঠক শেষে আইনমন্ত্রী আনিসুল হক বলেন, শিক্ষার্থীরা যেসব দাবি করেছেন, তা যৌক্তিক এবং সমাধানযোগ্য।’

 

এমএ//

 

এ সম্পর্কিত আরও পড়ুন