পাথর মেরে হত্যার ঘটনায় অস্ত্রসহ গ্রেপ্তার ৪, রিমান্ডে ২
ঢাকায় মিডফোর্ড হাসপাতালের সামনে প্রকাশ্যে পাথর মেরে ব্যাবসায়ী সোহাগকে হত্যার ঘটনায় ৪ জনকে অস্ত্রসহ গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ ও র্যাব। এর মধ্যে দুই আসামী মাহমুদুল হাসান মহিন (৪১) ও তারেক রহমান রবিনকে (২২) যথাক্রমে ৫ দিন ও দুই দিনের রিমাণ্ডে নেয়ার আদেশ দিয়েছেন আদালত।
শুক্রবার (১১ জুলাই) ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) মিডিয়া ও পাবলিক রিলেশন্স বিভাগ থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে গ্রেপ্তারের তথ্য জানানো হয়।
এতে বলা হয়, বুধবার বিকেল ৬টার দিকে রাজধানীর স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের তিন নম্বর গেটের সামনে পাকা রাস্তার ওপর একদল লোক সোহাগকে এলোপাতাড়িভাবে আঘাত করে ও কুপিয়ে হত্যা করে। ঘটনার সংবাদ পাওয়ার পর কোতয়ালি থানা পুলিশ দ্রুত ঘটনাস্থলে যায় এবং পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। পরে পুলিশ নিহতের লাশের সুরতহাল প্রতিবেদন প্রস্তুত করে এবং ময়নাতদন্তের জন্য তা হাসপাতালের মর্গে প্রেরণ করে। এ ঘটনায় নিহতের বড় বোন বাদী হয়ে কোতয়ালী থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ‘পুলিশ ঘটনাস্থলের সিসিটিভি ফুটেজ সংগ্রহ করে এবং রাজধানীর বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে এজাহার নামীয় আসামি মাহমুদুল হাসান মহিন ও তারেক রহমান রবিনকে গ্রেফতার করে। এ সময় রবিনের কাছ থেকে একটি বিদেশি পিস্তল উদ্ধার করা হয়।
প্রাথমিকভাবে জানা যায়, ব্যবসায়িক দ্বন্দ্ব এবং পূর্ব শত্রুতার জের ধরে এ হত্যাকাণ্ড হয়েছে। ঘটনার প্রকৃত কারণ অনুসন্ধানে এবং ঘটনার সাথে জড়িত অন্যদের গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে। এ ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে র্যাব আরও দুইজনকে গ্রেপ্তার করেছে। এ নিয়ে এ ঘটনায় মোট চারজনকে গ্রেপ্তার হলো।
এদিকে স্থানীয়রা জানিয়েছেন, নিহত সোহাগ এবং হামলায় নেতৃত্ব দেওয়া মহিন ও টিটুসহ অধিকাংশ আসামি ৩০ নম্বর ওয়ার্ড যুবদলের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত।
লালবাগ থানা ছাত্রদলের সদস্য সচিব রাব্বি জানান, মহিন যুবদলের সক্রিয় কর্মী। দীর্ঘদিন ধরে চকবাজার থানায় যুবদলের কোনো কমিটি নেই।
নিহত সোহাগের বন্ধু মামুনের দাবি, মহিন যুবদলের চকবাজার থানার সাধারণ সম্পাদক প্রার্থী।
আই/এ