আন্তর্জাতিক

কাতারের ঘাঁটিতে হামলা যুক্তরাষ্ট্র ও ইসরায়েলের ওপর চূড়ান্ত আঘাত; ইরানের বাসিজ বাহিনীর প্রধান

ছবি: সংগৃহীত

সাম্প্রতিক ইসরায়েল-ইরান সংঘর্ষে শহীদদের স্মরণে সভা হয়েছ ইরানের রাজধানী তেহরানে। তেহরানের ইমাম আল-হাসান আল-মুজতবা মসজিদে মঙ্গলবার (৯ জুলাই) এই আয়োজন করা হয়। সেখানে ইরানী সামরিক কর্মকর্তাসহ সরকারের উচ্চপর্যায়ের নেতারা উপস্থিত ছিলেন। ইসলামি বিপ্লবী গার্ড বাহিনী, আইআরজিসি এই আয়োজন করে। 

অনুষ্ঠানে শহীদদের পরিবার সদস্যরা প্রিয়জনদের ছবি নিয়ে উপস্থিত ছিলেন। 

এক শহীদ সেনার বোন মির শাফিয়ান বলেন,"আমরা হাজার হাজার শহীদ দিবো, কিন্তু আমাদের জমির এক ইঞ্চিও ছাড়ব না।"

তিনি আরও বলেন, "এই রক্তপাতে আমরা ভীত নয় ,আরও ঐক্যবদ্ধ হয়েছি।"

ইরানের বাসিজ বাহিনীর প্রধান গোলামরেজা সোলেইমানি বলেন,"কাতারের আল-উদেইদ ঘাঁটিতে ইরানের হামলাই ছিল যুক্তরাষ্ট্র ও ইসরায়েলের ওপর চূড়ান্ত আঘাত।"

তিনি প্রশ্ন তোলেন, "যদি ইসরায়েল জিতত, তবে কেন তারা যুক্তরাষ্ট্রের সরাসরি সাহায্য চাইল? আর যুক্তরাষ্ট্র জিতলে কেন কাতারসহ অন্য দেশগুলোকে মধ্যস্থতাকারী বানালো?"

এসময় ইরানের সংসদের জাতীয় নিরাপত্তা কমিশনের সদস্য এসমাইল কোওসারি বলেন,"ইসরায়েল যদি আবার আক্রমণ করে, তাহলে 'অপারেশন ট্রু প্রমিজ ৩' থেকেও ভয়াবহ জবাব পাবে। তারা দাঁড়াতেই পারবে না, পশ্চিম এশিয়া থেকে পালিয়ে যেতে বাধ্য হবে।"

উল্লেখ্য, গেল ২৪ জুন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ঘোষণা দেন যে, ইসরায়েল ও ইরানের মধ্যে 'সম্পূর্ণ ও সর্বাত্মক' যুদ্ধবিরতি কার্যকর হয়েছে।  এই ঘোষণায় ১২ দিনব্যাপী ভয়াবহ সংঘর্ষের অবসান ঘটে।

গেল ১৩ জুন 'রাইজিং লায়ন' নামে এক অভিযানে ইরানের পারমাণবিক ও সামরিক স্থাপনায় হামলা চালায় ইসরায়েল। ওই হামলায় বেশ কয়েকজন বিজ্ঞানী ও সামরিক নেতা নিহত হন। 

জবাবে 'অপারেশন ট্রু প্রমিজ ৩' শুরু করে ইরান। ইসরায়েলের তেল আবিবসহ বিভিন্ন স্থাপনায় ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালায়। এসব হামলায় প্রাণহানির ঘটনা ঘটে।

এসব হামলা আর পাল্টা হামলায় যুদ্ধবিরতি কার্যকর হলেও মধ্যপ্রাচ্যে এখনো উত্তেজনা বিরাজ করছে। 

 

এ সম্পর্কিত আরও পড়ুন