আন্তর্জাতিক

নিশ্চয়তা চায় স্থায়ী সমাধানের

গাজায় যুদ্ধবিরতি আলোচনায় আগ্রহী হামাস

গাজা উপত্যকায় চলমান যুদ্ধ থামাতে যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যস্ততায় যুদ্ধবিরতির প্রস্তাবে আগ্রহ প্রকাশ করেছে হামাস। হামাসের অন্যান্য মিত্র প্রতিরোধ গোষ্ঠীর সঙ্গে আলোচনা শেষে তারা মধ্যস্থতাকারীদের কাছে একটি ‘ইতিবাচক প্রতিক্রিয়া’ জমা দিয়েছে বলে জানিয়েছে হামাস।

টেলিগ্রামে প্রকাশিত এক বিবৃতিতে হামাস জানায়, তারা নতুন আলোচনায় অবিলম্বে অংশ নিতে প্রস্তুত এবং যুদ্ধবিরতির রূপরেখা বাস্তবায়নের ব্যাপারে আন্তরিকভাবে আগ্রহী।

এ বিষয়ে অবগত এক ফিলিস্তিনি কর্মকর্তা ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসিকে বলেন, হামাস প্রস্তাবিত কাঠামোর মূল অংশ মেনে নিয়েছে। তবে তারা কয়েকটি শর্তে সংশোধনের দাবি জানিয়েছে। এর মধ্যে একটি গুরুত্বপূর্ণ দাবি হলো—যদি আলোচনা ব্যর্থ হয়, তবুও যেন আবার হামলা শুরু না হয়। তা নিশ্চিত করতে যুক্তরাষ্ট্রকে স্পষ্ট নিশ্চয়তা দিতে হবে।

হামাসের ঘনিষ্ঠ গোষ্ঠী ইসলামিক জিহাদও যুদ্ধবিরতির পক্ষে অবস্থান নিয়েছে। তবে তারা জোর দিয়ে বলেছে, আলোচনার ফলাফল যেন একটি স্থায়ী সমাধানে পৌঁছায়। সে নিশ্চয়তা দরকার।

এদিকে, মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প জানিয়েছেন, ইসরাইল ছয় সপ্তাহের যুদ্ধবিরতির শর্ত মেনে নিয়েছে। এই সময়ের মধ্যে পক্ষগুলো যুদ্ধ বন্ধের ব্যাপারে চূড়ান্ত সিদ্ধান্তে পৌঁছানোর চেষ্টা করবে।

তিনি জানান, হামাসের সামনে এখনই ‘চূড়ান্ত ও সর্বোত্তম’ প্রস্তাবটি রয়েছে। এটি প্রত্যাখ্যান করলে পরিস্থিতি আরও ভয়াবহ হতে পারে।

সমঝোতার অংশ হিসেবে হামাস ধাপে ধাপে ১০ জন জীবিত ইসরাইলি জিম্মিকে ছাড়ার পাশাপাশি ১৮ জনের মরদেহ ফিরিয়ে দেবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। এর বিনিময়ে ফিলিস্তিনি বন্দীদের মুক্তি দেওয়ার কথা রয়েছে।

ধারণা করা হচ্ছে, এখনো গাজায় অন্তত ৫০ জন ইসরাইলি জিম্মি রয়েছে, যাদের মধ্যে ২০ জনের বেশি জীবিত আছেন।

যুদ্ধবিরতির এই পরিকল্পনায় আরও বলা হয়েছে, জাতিসংঘ ও রেডক্রসের সমন্বয়ে গাজায় জরুরি মানবিক সহায়তা পৌঁছাতে দেওয়া হবে। এতে চিকিৎসা, খাদ্য এবং আশ্রয়ের মতো প্রয়োজনীয় সরঞ্জাম পাঠানোর সুযোগ তৈরি হবে বলে আশা করা হচ্ছে।

 

এমএ//

এ সম্পর্কিত আরও পড়ুন